[PDF] মাধ্যম যুক্তি (নিরপেক্ষ ন্যায়) | মাধ্যম যুক্তি বা ন্যায় কাকে বলে ? নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে? নিরপেক্ষ ন্যায়ের গঠন ও বৈশিষ্ট্য কি?

মাধ্যম যুক্তি (নিরপেক্ষ ন্যায়) দ্বাদশ শ্রেণির দর্শনের পঞ্চম অধ্যায়। এখানে মাধ্যম যুক্তি (নিরপেক্ষ ন্যায়)- এর অধ্যায় থেকে 1.  মাধ্যম যুক্তি বা ন্যায় কাকে বলে? 2.  নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে? 3.  নিরপেক্ষ ন্যায়ের গঠন ও বৈশিষ্ট্য কি4. ন্যায়ের বচন গুলির নামকরণ প্রশ্ন-উত্তরের নোটস PDF সহ দেওয়া হল। PDF Link নীচে দেওয়া আছে।

 


মাধ্যম
যুক্তি (নিরপেক্ষ ন্যায়)

 

1.     মাধ্যম যুক্তি বা ন্যায় কাকে বলে?

যে
অবরোহ মূলক যুক্তিতে পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত দুটি আশ্রয় বাক্যের উপর ভিত্তি করে অনিবার্যভাবে
একটি সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়
 
এবং যে সিদ্ধান্তটি আশ্রয় বাক্যের তুলনায় কম ব্যাপক বা সম ব্যাপক হয় তাকে মাধ্যম
যুক্তি বা ন্যায় বলে।
 
ন্যায় দুই প্রকার- অমিশ্র ন্যায় ও মিশ্র ন্যয়।

অমিশ্র
ন্যায় তিন প্রকার। যথা- অমিশ্র নিরপেক্ষ ন্যায়, অমিশ্র প্রাকল্পিক ন্যায় ও অমিশ্র
  বৈকল্পিক 
ন্যায়

মিশ্র  ন্যায় তিন প্রকার। যথা- প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়,
বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় ও দ্বিকল্প ন্যায়

2.    নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে?

 যে
অবরোহ মূলক মাধ্যম যুক্তিতে পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনকে আশ্রয় করে অনিবার্যভাবে
একটি সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয় এবং যে সিদ্ধান্তটি আশ্রয় বাক্যের তুলনায় কম ব্যাপক বা
সমব্যাপক হয়, তাকে নিরপেক্ষ ন্যায় বলে।

যেমন-     A-
সকল কবি হয় ভাবুক।

                সুকান্ত হয় একজন কবি।

        ∴  A-সুকান্ত হয়
ভাবুক।

3.     নিরপেক্ষ ন্যায়ের
গঠন ও বৈশিষ্ট্য কি?

 গঠন

a.
নিরপেক্ষ ন্যায় এর তিনটি নিরপেক্ষ বচন থাকে। যার দুটিকে আশ্রয় বাক্য এবং একটিকে সিদ্ধান্ত
বলে। যেমন প্রধান আশ্রয় বাক্য, অপ্রধান আশ্রয় বাক্য এবং সিদ্ধান্ত বচন।

b.
প্রত্যেক নিরপেক্ষ ন্যায়ে তিনটি পদ থাকে। যথা- পক্ষ বা অপ্রধান পদ, সাধ্য বা প্রধান
পদ ও হেতু বা মধ্যপদ।


পক্ষ পদ-  ন্যায়ের সিদ্ধান্ত বচনের উদ্দেশ্য পদকে পক্ষ বা অপ্রধান পদ বলে।যার সাংকেতিক চিহ্ন S 


সাধ্য পদ- ন্যায়ের সিদ্ধান্ত বচনের বিধেয়
পদকে
  সাধ্য পদ বলে। এর সাংকেতিক
চিহ্ন P।

● হেতু পদ- যে পদ ন্যায়ের দুটি আশ্রয় বাক্যে থাকে  কিন্তু সিদ্ধান্তে থাকেনা, যার মাধ্যমে সিদ্ধান্তের
পক্ষ ও সাধ্য পদের সম্বন্ধ স্থাপন করা হয় তাকে হেতু বা মধ্যপদ বলে।

বৈশিষ্ট্য- ন্যায়ের  সংজ্ঞার ভিত্তিতে এর কিছু বৈশিষ্ট্য হল-

i.
ন্যায় একপ্রকার অবরোহ মূলক মাধ্যম যুক্তি।

ii.
ন্যায়ের তিনটি বচন থাকে।যার দুটি আশ্রয় বাক্য এবং একটি সিদ্ধান্ত বচন।যেমন- প্রধান
আশ্রয় বাক্য, অপ্রধান আশ্রয় বাক্য এবং সিদ্ধান্ত।

iii.
এর বচন গুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্বন্ধ থাকে। iv.এর সিদ্ধান্তটি আশ্রয় বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে
নিঃসৃত হয়।

v.
এর সিদ্ধান্তটি আশ্রয় বাক্যের তুলনায় কম ব্যাপক বা সম ব্যাপক হয়।

vi.
ন্যায় আকারগত সত্যতার উপর গুরুত্ব দেয়।

vii.
ন্যায়ে বহু সংস্থান ও মূর্তির উল্লেখ পাওয়া যায়।

viii.
ন্যায় বৈধ বা অবৈধ হয়।

ix.
প্রত্যেক ন্যায়ের তিনটি পদ থাকে। যথা-পক্ষ পদ, সাধ্য পদ ও হেতু পদ।এর প্রতিটি পদ একই
অর্থে দুবার করে একটি ন্যায়ে মোট ছয়বার বসবে।

 x.
ন্যায়ের আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রসক্তি সম্পর্ক থাকে।

ন্যায়ের বচন গুলির নামকরণ-

i.
প্রধান আশ্রয়বাক্য- ন্যায়ের যে আশ্রয় বাক্যে সাধ্য বা প্রধান পদ এবং হেতু পদের উপস্থিত
থাকে, তাকে সাধ্য বা প্রধান আশ্রয় বাক্য /যুক্তিবাক্য /হেতু বাক্য /উপত্ব বলা হয়।

যেমন-P+M/
M+P

ii.
অপ্রধান আশ্রয় বাক্য- ন্যায়ের
 
যে আশ্রয়বাক্যে

পক্ষ
বা অপ্রধান পদ এবং হেতু পদের উপস্থিত থাকে ,তাকে অপ্রধান বা পক্ষ পদ বলে।

 যেমন-S+M/
M+S

iii.
সিদ্ধান্ত বচন- ন্যায়ের যে বচনটিতে পক্ষ পদ ও সাধ্যপদ উপস্থিত থাকে তাকে সিদ্ধান্ত
বচন বলে। 

যেমন -S+P

5.   


Dowvload Pdf

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *