পরিমাণ ও গুণের সংযুক্তির ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচন
পরিমাণ ও গুণের সংযুক্তির ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার। যথা- সামান্য
সদর্থক বচন, সামান্য নঞর্থক বচন, বিশেষ সদর্থক বচন, বিশেষ নঞর্থক বচন ।
জানা যায় যুক্তি বিজ্ঞানী অ্যারিস্টোটল ইংরেজিতে
যে পাঁচটি vowel আছে (A, E, I, O, U)এর মধ্যে প্রথম চারটি vowel কে নিয়ে উক্ত চারটি নিরপেক্ষ বচন কে সাংকেতিক এ নামকরণ
করলেন। যেটি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
1. সামান্য সদর্থক বচন– ‘A’
বচন।
2.সামান্য নঞর্থক বচন- E বচন।
3. বিশেষ সদর্থক বচন- ‘’I
বচন ।
4. বিশেষ নঞর্থক বচন- ‘O’
।
*বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের সাংকেতিক আকার কি ?
A বচন- সকল কবি হয় ভাবুক।
আকার- সকল S হয় P
E বচন- কোন কবি নয় ভাবুক।
আকার- কোন
S নয় P
I বচন- কোন কোন কবি হয় ভাবুক।
আকার- কোন কোন S হয় P
O বচন- কোন কোন কবি নয় ভাবুক।
আকার- কোন কোন S নয় P
এখানে চারটি নিরপেক্ষ বচন কে দৃষ্টান্তসহ সংক্ষেপে নিম্নে
আলোচনা করা হল ।
1. সামান্য সদর্থক বচন (A বচন )- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ এর সম্বন্ধ টি সমগ্র অর্থে স্বীকার করা বোঝায় তাকে সামান্য সদর্থক বচন বলে। যেমন-
সকল ফুল হয় সুন্দর।
2. সামান্য নঞর্থক বচন(E বচন)- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ এর সম্বন্ধ টি সমগ্র
অর্থে অস্বীকার করা বোঝায় তাকে সামান্য নঞর্থক বচন বলে।
যেমন -কোনো মানুষ নয় শিল্পী।
3. বিশেষ সদর্থক বচন (I বচন )- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ এর সম্বন্ধ টি আংশিক অর্থে
স্বীকার করা বোঝায় তাকে বিশেষ সদর্থক বচন
বলে।
যেমন -কোন কোন ফুল হয় লাল
।
4. বিশেষ নঞর্থক বচন (O বচন )- যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ এর সম্বন্ধ টি আংশিক
অর্থে অস্বীকার করা বোঝায় তাকে বিশেষ নঞর্থক
বচন বলে।
যেমন- কোনো কোনো ছাত্র নয়
বিনয়ী।