প্রাচীন মতে শিক্ষা | Prachin Mote Sikkha |
প্রাচীন ভারতীয়
মতে শিক্ষা কী ?
» শিক্ষা—প্রাচীন ভারতীয় মত: প্রাচীন
ভারতবর্ষের বিভিন্ন গ্রন্থ ও বহু বিশিষ্ট চিন্তাবিদের
মতানুসারে শিক্ষার
একাধিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যেমন—
·
যাজ্ঞবল্ক্য : “শিক্ষা হল তা-ই যা মানুষকে সৎ
চরিত্রের অধিকারী করে এবং বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য বা
প্রয়োজনীয় করে তোলে”।
·
কৌটিল্য : “শিক্ষার অর্থ দেশমাতৃকার জন্য
প্রশিক্ষণ এবং জাতির প্রতি প্রীতি”।
·
শঙ্করাচার্য : “আত্ম-উপলদ্ধির উপায় হল শিক্ষা”।
·
কণাদেব : “শিক্ষা হল আত্মতৃপ্তির বিকাশসাধন”।
·
ঋগবেদঃ “শিক্ষা হল এমন এক প্রক্রিয়া যা
মানুষকে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মত্যাগী হতে উদ্বুদ্ধ করে”।
·
উপনিষদ: “শিক্ষা হল এমন কিছু যার অন্তিম পরিণতি
মোক্ষ লাভ” (সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে)।
প্রাচীনকালের পাশ্চাত্য
চিন্তাবিদদের মতে শিক্ষা কী?
শিক্ষা—প্রাচীন
পাশ্চাত্য চিন্তাবিদদের মত : প্রাচীনকালে পাশ্চাত্যের বহু বিশিষ্ট চিন্তাবিদ নিজ নিজ আদর্শ ও ভাবধারার
প্রেক্ষিতে শিক্ষাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন—
Ø প্লেটো : “শিক্ষা হল এমন একটি ধারণাশক্তি যা সঠিক মুহূর্তে আনন্দ ও বেদনা অনুভবে
সাহায্য করে। এটি ছাত্রছাত্রীর
দেহ ও মনের সৌন্দর্য ও অন্তর্নিহিত পূর্ণতাকে বিকশিত করে”।
Ø অ্যারিস্টটল : “সুস্থ দেহে সুস্থ মনের সৃষ্টিই হল শিক্ষা। এটি মানুষের মধ্যে এমন এক
সত্তার আবির্ভাব ঘটায় যার দ্বারা মানুষ শাশ্বত সত্য, মহত্ত্ব এবং সুন্দরের আরাধনায়
নিজেকে নিয়ােজিত করতে সমর্থ হয়’’।
Ø কমেনিয়াস : “পৃথিবীতে যারা মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছে তাদের শিক্ষার প্রয়ােজন, কারণ
শিক্ষা হল এমন কিছু যা তাদের প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শিক্ষা ছাড়া তারা
বন্যপ্রাণী, বুদ্ধিহীন পশু বা বন্যঝোপের পর্যায়ে
থেকে যাবে। এ ছাড়া, শিক্ষা হল মানুষের নৈতিক উন্নতিসাধনে সহায়ক, যা তাকে ইহলোক পরলোকের জন্য সম্পূর্ণরূপে
প্রস্তুত করে এবং নিজেকে ও জগৎকে জানতে সাহায্য করে”।
Ø মন্টেগু: “শিক্ষা হল মানুষের
বিভিন্ন প্রকার মানসিক শক্তির বিকাশসাধন ও উপযুক্ত অনুশীলন”।