বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের আবর্তিত রূপ দৃষ্টান্তসহ
ব্যাখ্যা:-
●
A বচনের আবর্তিত রূপ-
A-সকল জবাফুল হয় লাল।
∴ I- কোন কোন লাল ফুল হয় জবাফুল।
উক্ত যুক্তিতে দেখি আবর্তনের নিয়ম অনুসারে-
i.
আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “জবাফুল” সিদ্ধান্তে বিধেয় হয়েছে।
ii.
আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “লাল” গুণটি সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হয়েছে।
iii.
আবর্তনের নিয়ম অনুসারে এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ একই।অর্থাৎ দুটি সদর্থক বচন হয়েছে।
iv.
আর চতুর্থত এর সিদ্ধান্ত বচনটি “I” বচনে কোনো কোনো পদ ব্যাপ্য না হওয়ায়
এর ব্যাপ্যতার নিয়মটি ও যথাযথ অনুসরণ
করা হয়েছে।
সুতরাং বলা যায় A বচনের আবর্তিত রূপ হল I বচন।
●
E বচনের আবর্তিত রূপ-
E- কোন ছাত্র নয় চালাক।
∴
E-কোনো চালাক ব্যক্তি নয় ছাত্র।
উক্ত যুক্তিতে দেখি আবর্তনের নিয়ম অনুসারে –
i.
আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “ছাত্র” সিদ্ধান্তে বিধেয় হয়েছে।
ii.
আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “চালাক” গুণটি সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হয়েছে।
iii.
আবর্তনের নিয়ম অনুসারে এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তে গুণ একই অর্থাৎ দুটি নঞর্থক বচন
হয়েছে।
iv.
আর চতুর্থত এর সিদ্ধান্ত বচনটি “E”বচন বিধেয় এবং উদ্দেশ্য উভয় পদই ব্যাপ্য হওয়ায় নিয়মটি ও যথাযথ অনুসরণ
করা হয়েছে।
সুতরাং বলা যায় E বচনের আবর্তিত রূপ হল E বচন।
●
I বচনের আবর্তিত রূপ-
I- কোন কোন মানুষ স্বার্থপর।
∴ I-কোন কোন স্বার্থপর ব্যক্তি হয় মানুষ।
উক্ত যুক্তিতে দেখি আবর্তনের নিয়ম অনুসারে –
i.
আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “মানুষ” সিদ্ধান্তে বিধেয় হয়েছে।
ii.
আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “স্বার্থপর” গুণটি সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হয়েছে।
iii.
আবর্তনের নিয়ম অনুসারে এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তে গুণ একই। অর্থাৎ দুটি সদর্থক
বচন হয়েছে ।
iv.
আর চতুর্থত এর সিদ্ধান্ত বচনটি “I” বচনে কোন পদ ব্যাপ্য না হওয়ায় ব্যাপ্যতার নিয়মটি ও যথাযথ অনুসরণ করা হয়েছে।
সুতরাং বলা যায় I বচনের আবর্তিত রূপ হল I বচন।
●
O বচনের আবর্তিত রূপ-
O- কোন কোন কবি নয় ভাবুক।
∴ O-
কোন কোন ভাবুক ব্যক্তি নয় কবি।
উক্ত যুক্তিতে দেখি আবর্তনের নিয়ম অনুসারে-
i.
আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “কবি” সিদ্ধান্তে বিধেয় হয়েছে।
ii.
আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “ভাবুক” গুণটি সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হয়েছে।
iii.
আবর্তনের নিয়ম অনুসারে এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ একই। অর্থাৎ দুটি নঞর্থক
বচন হয়েছে ।
এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ “ভাবুক”
O বচনে বিধেয় হওয়াতে
ব্যাপ্য হয়েছে। কিন্তু আবার
“ভাবুক” পদটি যখন আশ্রয় বাক্যে O বচনের উদ্দেশ্য হয়েছে তখন তা ব্যপ্য হয়নি। কারণ আমরা জানি,O বচনে শুধুমাত্র বিধেয় পদ
ব্যাপ্য হওয়ায় এই বচনটির আবর্তন জনিত দোষ ঘটেছে।
☆ চতুর্থ
নিয়মে আমরা জানি, কোন পদকে সিদ্ধান্তে ব্যপ্য হতে গেলে তাকে অবশ্যই আগে আশ্রয় বাক্যে
ব্যপ্য হতে হবে। কিন্তু উক্ত যুক্তিতে দেখি যে, সিদ্ধান্ত O বচনে বিধেয় পদ “ভাবুক”
ব্যাপ্য হয়েছে। তবে এই পদটি আশ্রয় বাক্য O বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় সেটি ব্যপ্য
না হয়ে আবর্তনের বৈধ নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। সেজন্য দেখা
যায় উক্ত যুক্তিতে O বচনের আবর্তন জনিত দোষ
ঘটেছে। সুতরাং O বচনের আবর্তন
সম্ভব নয়।
- অমাধ্যম যুক্তি (আবর্তন ও বিবর্তন) | প্রশ্ন-উত্তর
- বচনের বিরোধানুমান কি | বিরোধানুমান কয় প্রকার ও কি কি | দৃষ্টান্তসহ ব্যাখ্যা করো | বিভিন্ন প্রকার বিরোধানুমান এর নিয়ম লেখ
- সাধারন বিরোধিতা ও অ্যারিস্টোটলের বিরোধিতার পার্থক্য |
- বিরোধিতা কথার অর্থ কি? বচনের বিরোধিতা বলতে কী বোঝায়? বিরোধিতার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি? বচনের বিরোধিতা কয় প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার বিরোধিতা ব্যাখ্যা করো। অসম বিরোধিতা কে প্রকৃত বিরোধিতা বলা যায় কি?