বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান লেখ | Satyajit Ray’s contribution to the history of cinema |

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান
সত্যজিৎ রায়

     উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পৌত্র, সুকুমার রায়ের
পুত্র সত্যজিৎ রায় শৈশব থেকেই সংস্কৃতির আঙ্গিকে বড় হয়েছেন। যৌবনের ইতালিয় চলচ্চিত্রকার
ভিত্তোরিও দে-সিকা ও ফরাসি জাঁ রেনোয়ার এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।

     বিভূতিভূষণ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’ সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় চলচ্চিত্রায়িত হয়ে রিলিজ
হয় কলকাতায় 26 আগস্ট 1955 খ্রিস্টাব্দে। এটি তার প্রথম সিনেমা। সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র
উৎসবে “দ্যা বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট” (মানবতা শ্রেষ্ঠ দলিল) শিরোপা নিয়ে পুরস্কৃত
হয়। এরপর ‘পথের পাঁচালী’ পরের অংশের কাহিনী নিয়ে তৈরি করলেন “অপরাজিত” ও  “অপুর সংসার”, যা “অপুর ট্রিলজি” নামে সমাদৃত। এই
তিনটি সিনেমা বিশ্বের সিনেমা দর্শকদের কাছে সম্মান ও সমাদর লাভ কর্মাদ। সত্যজিৎ রায়
40 বছর ধরে 36 টি ছবি তৈরি করেন। অপু ট্রিলজি ছাড়া বাকি উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হল- “জলসাঘর”,
“চারুলতা”, “মহানগর”, “তিন কন্যা” প্রভৃতি।

 শিশু চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে “গুপী গাইন বাঘা বাইন”,
“হীরক রাজার দেশে” ছাড়াও তার নিজের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা “ফেলুদার” কাহিনী অবলম্বনে “সোনার
কেল্লা”, “জয় বাবা ফেলুনাথ” শিশু, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সম্মান ভাবে মনোরঞ্জন করেছেন।
1992 সালে তাকে “ভারতরত্ন” সম্মানে সম্মানিত করা হয়. এ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
ক্ষেত্রে থেকে প্রাপ্ত তার সম্মান ও পুরস্কারের সংখ্যা শতাধিক।

1 thought on “বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সত্যজিৎ রায়ের অবদান লেখ | Satyajit Ray’s contribution to the history of cinema |”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *