[PDF] বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে? এর বৈধতার নিয়ম কি? এর নিয়ম লঙ্ঘন জনিত দোষ গুলি কিকি? ষষ্ঠ অধ্যায়- মিশ্র ন্যায় বা যৌগিক যুক্তি |

[PDF] বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে? এর গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ। বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ে “অথবা” শব্দটি কি কি অর্থে ব্যবহৃত হয়? এর বৈধতার নিয়ম কি? এর নিয়ম লঙ্ঘন জনিত দোষ গুলি কিকি? দৃষ্টান্তসহ ব্যাখ্যা করো। ষষ্ঠ অধ্যায়- মিশ্র
ন্যায় বা যৌগিক যুক্তি | Note with PDF |



বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়

বৈকল্পিক নিরপেক্ষ
ন্যায় কাকে বলে? এর গঠন ও বৈশিষ্ট্য লেখ। বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ে “অথবা”
শব্দটি কি কি অর্থে ব্যবহৃত হয়? এর বৈধতার নিয়ম কি? এর নিয়ম লঙ্ঘন জনিত দোষ গুলি
কিকি? দৃষ্টান্তসহ ব্যাখ্যা করো।

  • বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় যে মিশ্র ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্য বৈকল্পিক
    বচন, অপ্রধান আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষ বচন দ্বারা গঠন করা হয় তাকে বৈকল্পিক
    নিরপেক্ষ বচন বলে।

 যেমন- রাম যাবে
অথবা শ্যাম যাবে।

এমন নয় যে রাম
যাবে।

এমন যে শ্যাম  যাবে।

  • আকার- P অথবা
    Q

এমন নয় যে P

এমন যে Q

  • গঠন ও বৈশিষ্ট্য-

1. এটি এক প্রকার
মিশ্র ন্যায়।

2. এর প্রধান আশ্রয়বাক্য
বৈকল্পিক বচন হয়।

3. এর অপ্রধান
আশ্রয় বাক্য নিরপেক্ষ বচন হয়।

4. এর সিদ্ধান্ত
বচনটিও নিরপেক্ষ বচন হয়।

5. এই ন্যায় বৈধ
অথবা অবৈধ হয়।

  • অথবা শব্দের অর্থ- বৈকল্পিক ন্যায়ে “অথবা”
    শব্দটি দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথা- বিসংবাদি অর্থে (পরস্পর বিরোধী বোঝাতে) ও অবিসংবাদী
    অর্থে (পরস্পর অবিরোধী বোঝাতে)
  • বৈধতার নিয়ম (অবিসংবাদী অর্থে)– এই অর্থে প্রধান আশ্রয়বাক্যে দুটি বিকল্প
    পরস্পর অবিরোধী বোঝাতে -এর যেকোনো একটি বিকল্পকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে অস্বীকার করে
    সিদ্ধান্তে অন্য বিকল্পটি স্বীকার করলে যুক্তিটি বৈধ হয়। এর বৈধ মূর্তির নাম
    MODUS TOLLENDO PONENS সংক্ষেপে MTP বলে।

         যেমন- রাম যাবে
অথবা শ্যাম
  যাবে।

            এমন নয় যে রাম যাবে।

এমন যে শ্যাম যাবে।

  • দোষ– কিন্তু এই ন্যায়ে প্রধান আশ্রয়বাক্যের কোন বিকল্পকে অপ্রধানে স্বীকার
    করে সিদ্ধান্তে অন্য বিকল্পটি অস্বীকার করলে যুক্তিটি অবৈধ হয় এবং যুক্তিটিতে
    “বিকল্প স্বীকার জনিত দোষ”/ “বিকল্প পরিগ্রহণ দোষ”দেখা যায়।

       যেমন- রাম সৎ অথবা
চালাক।

            এমন যে রাম সৎ।

এমন নয় যে রাম চালাক।

  • বৈধতার নিয়ম (বিসংবাদি অর্থে)– এই অর্থে প্রধান আশ্রয়বাক্যের দুটি বিকল্প
    যেহেতু পরস্পর বিরুদ্ধ বোঝায়, সেহেতু এর দুটি বিকল্প একসঙ্গে সত্য হতে পারে না। তাই
    এ ক্ষেত্রে উক্ত বৈধতার নিয়মটির মতো এটি চলে না। এই যুক্তি যেকোনো অবস্থায় বৈধ হয়।
    এটি কখনো অবৈধ হয় না। এর বৈধ মূর্তির নাম DISJUNCTIVE SYLLOGISM বা সংক্ষেপে DS

     যেমন- রাম জীবিত
অথবা মৃত।

এমন যে রাম জীবিত।

এমন নয় যে রাম মৃত।

 এমন যে রাম মৃত ।

এমন নয় যে রাম জীবিত

      মনে রাখার বিষয়:– বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়ে দুটি অর্থে বৈধতার নিয়মটি
আমরা এইভাবে মনে রাখবো যে-

1. অবিসংবাদী অর্থে
-অস্বীকার করে স্বীকার করলে যুক্তিটি বৈধ হয় এবং স্বীকার করে অস্বীকার করলে অবৈধ হয়।
সে ক্ষেত্রে “বিকল্প স্বীকার জনিত দোষ” দেখা যায়।

2. বিসংবাদি অর্থে-
বিকল্প অস্বীকার করে স্বীকার
  কিংবা স্বীকার করে অস্বীকার করলে যেকোনো
অবস্থায় যুক্তি বৈধ হয়। এর বৈধ মূর্তি DS

  • পূর্ব কল্প কি?

     প্রাকল্পিক বচনে
“যদি”- র পরবর্তী অংশকে বলা হয় পুবর্গ বা পূর্বকল্প।

  • অনুকল্প কি?

    প্রাকল্পিক বচনে
“তবে” বা “তাহলে”- এর পরবর্তী অংশকে বলা হয় অনুগ বা অনুকল্প।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top