[PDF] বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের বিবর্তিত রূপ ব্যাখ্যা করো | Philosophy Class Xii Note | ClassGhar |

 
[PDF] বিভিন্ন প্রকার নিরপেক্ষ বচনের বিবর্তিত রূপ ব্যাখ্যা করো

বিভিন্ন
প্রকার নিরপেক্ষ বচনের বিবর্তিত রূপ-

 ● A
বচনের বিবর্তিত রূপ-

    A- সকল ছাত্র হয় চালাক।

     ∴
E- কোন ছাত্র নয় অচালাক।

        উক্ত যুক্তিতে দেখি বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে-

a.     এর আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “ছাত্র” সিদ্ধান্তে
উদ্দেশ্য স্থানে বসেছে।

b.     আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “চালাক” এর বিরুদ্ধ
পদ “অচালাক” সিদ্ধান্তে
 
বিধেয় স্থানে বসেছে।

c.     এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ আলাদা হয়েছে। অর্থাৎ
এর আশ্রয় বাক্য সদর্থক এবং সিদ্ধান্ত নঞর্থক হয়েছে।

d.     এর আশ্রয় বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ একই হয়েছে।
অর্থাৎ এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য বচন হয়েছে।

        অতএব বলা যায় A বচনের বিবর্তিত রূপ হল E বচন।


E বচনের বিবর্তিত রূপ-

   E- কোন ছাত্র নয় পরিশ্রমী।

   ∴
A- সকল ছাত্র হয় ও পরিশ্রমী।

      উক্ত যুক্তিতে দেখি বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে-

a.
এর আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “ছাত্র”সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য স্থানে বসেছে।

b.
এর আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “পরিশ্রমী” এর বিরুদ্ধ পদ “অপরিশ্রমী”
সিদ্ধান্তে
  বিধেয় স্থানে বসেছে।

c.
এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ আলাদা হয়েছে। অর্থাৎ আশ্রয় বাক্য নঞর্থক এবং সিদ্ধান্ত
সদর্থক হয়েছে।

d.
এর আশ্রয় বাক্য
  ও সিদ্ধান্তের পরিমাণে
একই
  হয়েছে।অর্থাৎ এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য
বচন হয়েছে।

      অতএব বলা
যায় E বচনের বিবর্তিত রূপ হল A বচন।


I বচনের বিবর্তিত রূপ-

  I- কোন কোন কবি হয় ভাবুক।

O-
কোন কোন কবি নয় অ-ভাবুক।

       উক্ত 
যুক্তিতে দেখি
  বিবর্তনের নিয়মানুসারে-
a.এর আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “কবি” সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য স্থানে বসেছে।

 b.
এর আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “ভাবুক” এর বিরুদ্ধ পদ
  “অ-ভাবুক” সিদ্ধান্তে বিধেয় স্থানে বসেছে।

 C.এর
আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ আলাদা হয়েছে। অর্থাৎ এর আশ্রয় বাক্য সদর্থক এবং
  সিদ্ধান্ত নঞর্থক  হয়েছে।

d.
এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণে একই
 
হয়েছে। অর্থাৎ উভয়ই
 
বিশেষ বচন হয়েছে।

    অতএব বলা যায় I বচনের বিবর্তিত
রূপ হল O বচন।


O বচনের বিবর্তিত রূপ-

   O- কোনো কোনো কাক নয় কালো।

   ∴
I- কোনো কোনো  কাক হয় অ-কালো।

            উক্ত যুক্তিতে দেখি বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে-

 a.
এর উদ্দেশ্য পদ “কাক” সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য স্থানে বসেছে।

b.
এর বিধেয় পদ কালো
  এর বিরুদ্ধ পদ “অ-কালো”  সিদ্ধান্তে বিধেয় স্থানে বসেছে।

C.
এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ আলাদা হয়েছে। অর্থাৎ এর আশ্রয় বাক্য নঞর্থক
 এবং সিদ্ধান্ত সদর্থক হয়েছে।

 d.
এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের
 পরিমাণে
একই
  হয়েছে।অর্থাৎউভয়ই বিশেষ বচন হয়েছে।

            অতএব, বলা
যায় O বচনের বিবর্তিত রূপ হল I বচন।


বস্তুগত বিবর্তন- বস্তুগত বিবর্তন হল একপ্রকার
নতুন ধরনের বিবর্তন।এই
 
বিবর্তনের
  একমাত্র প্রবক্তা হলেন
যুক্তি বিজ্ঞানী বেইন।তিনি বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে এই বিবর্তন প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেছেন- যে বিবর্তনে বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য
পদের বিপরীত পদকে সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য রূপে বসিয়ে এবং আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ এর
বিপরীত পদকে বিধেয় স্থানে বসিয়ে এবং একই রেখে একটি নতুন বচন পাওয়া যায়, তাকেই বস্তুগত
বিবর্তন বলে। যেমন-

    A- আলো হয় সুখদায়ক।

    A- অন্ধকার হয় দুঃখ দায়ক।

এই
যুক্তিতে বস্তুগত বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে-

a.
এর আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্য পদ “আলো”- এটি বিপরীত পদ রূপে “অন্ধকার”
সিদ্ধান্তে উদ্দেশ্য পদ হয়েছে।

b.
আশ্রয় বাক্যের বিধেয় পদ “সুখদায়ক”- এর বিপরীত পদ “দুঃখদায়ক”
সিদ্ধান্তে বিধেয় পদ হয়েছে।

C.
এর আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ও একই আছে। তাই এটি বস্তুগত বিবর্তনের দৃষ্টান্ত
বলা যায়।

          কিন্তু এই বস্তুগত বিবর্তন কে প্রকৃত বিবর্তন বলা যায়
না। কারণ-

I.
প্রকৃত বিবর্তনে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তে একই থাকে। কিন্তু এখানে তা বিপরীত
হয়েছে।

ii. প্রকৃত
বিবর্তনে আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তে
  বিধেয় হয়।কিন্তু এখানে তা বিপরীত হয়েছে।

iii.
প্রকৃত বিবর্তনে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ আলাদা হয়। কিন্তু এখানে তা একই আছে।
               

            এইভাবে প্রকৃত বিবর্তনের বৈধ নিয়মগুলি লঙ্ঘন করায়
বস্তুগত বিবর্তনকে প্রকৃত বিবর্তন বলা যায় না।

   আবর্তন ও বিবর্তন করো- (মূল বচনকে একবার আবর্তন
এবং মূল বচনকে বিবর্তন করা)

   A- সকল পাতা হয় সবুজ।

  I-
কোন কোন সবুজ বস্তু হয় পাতা। (আবর্তিত)

   ∴
E- কোন পাতা নয় অ-সবুজ। (বিবর্তিত)

বিবর্তনের
আবর্তন করো- (মূল বচনকে বিবর্তন করে তাকে আবর্তন করা)

   E- কোন পাখি নয় ফুল।

  A-
সকল পাখি হয় অ-ফুল। (বিবর্তিত)

  ∴
I- কোন কোন অ-ফুল বস্তু হয় পাখি। (বিবর্তিতের
আবর্তিত)


সম বিবর্তন কর-( বি-আ-বি)

  E- কোন কবি নয় শিল্পী।

  A- সকল কবি হয় অ-শিল্পী। (বিবর্তিত)

   ∴
I- কোন কোন অ-শিল্পী হয় কবি। (বিবর্তিতের
আবর্তিত)

  O- কোন
কোন অ-শিল্পী নয় অ-কবি। (আবর্তিতের 

বিবর্তিত)


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *