অদ্বৈত বেদান্ত | একাদশ শ্রেণি পঞ্চম অধ্যায় ভারতীয় দর্শন নোটস |

 অদ্বৈত বেদান্ত 

 


দার্শনিক
উক্তি:

 

1. “আত্মা এবং
ব্রহ্ম এক ও অভিন্ন
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

2. “ব্রহ্ম
সত্য, জগৎ মিথ্যা, জীব ব্রহ্ম
 ছাড়া আর কিছুই নয়
বলেছেন -শঙ্করাচার্য।

 

3. “মায়া ঈশ্বরের
এক জাদু শক্তি
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

4. “স্বগুণ
ব্রহ্মই ঈশ্বর
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

5. “জীব ও ব্রহ্ম
অভিন্ন
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

6. “জগত ব্রহ্মের
বিবর্তক
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

7. “জীবাত্মা
অবিদ্যার সৃষ্টি
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

8. “ব্রম্ভ
নির্গুণ
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

9. “ব্রহ্ম
নির্বিশেষ
” বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

 



বিভিন্ন
গ্রন্থের রচয়িতার নাম:

 

1. “ব্রহ্মসূত্র”
– মহর্ষি বাদরায়ন

2. “শারীরক
ভাষ্য”- শঙ্করাচার্য

3. “শ্রীভাষ্য”-
রামানুজ

4. “মান্ডুক্য
কারিকা”- আচার্য গৌড়পাদ

5. “বিবেকচূড়ামণি”-
শংকরাচার্য

6. “দশশ্লোকি”-
শংকরাচার্য

7. “সর্ববেদান্ত
সিদ্ধান্ত”- শংকরাচার্য

 

1. অদ্বৈতবাদ কাকে
বলে?

যে দার্শনিক মতবাদে
বলা হয়েছে যে প্রকৃত সত্তা হচ্ছে এক এবং অদ্বিতীয় তাকে অদ্বৈতবাদ বলে। যেমন- ব্রহ্ম।

 

2. দুজন অদ্বৈতবাদী
দার্শনিকের নাম বল?

শঙ্করাচার্য ও রামানুজ।

 

3. “ব্রহ্ম
সৎ, চিৎ এবং আনন্দ স্বরূপ”- এ কথার অর্থ কি?

ব্রহ্ম “সৎ”
এর অর্থ ব্রহ্ম সনাতন সত্তা।

“চিৎ”
শব্দের অর্থ ব্রহ্ম চৈতন্য স্বরূপ।

“আনন্দ স্বরূপ”
এর অর্থ ব্রহ্ম দুঃখ স্বভাব নয়।

 

4. বেদান্ত শব্দের
অর্থ কি?

বেদের শেষ ভাগ।

 

5. শঙ্করাচার্যের
অদ্বৈতবাদের মূল কথা কি?

মূলকথা হলো ব্রহ্ম
এক ও অদ্বিতীয়।

 

6. অদ্বৈত বেদান্ত
মতে/ শঙ্করের মতে “মায়া” কি?

মায়া এক অনির্বচনীয়
শক্তি।

 

7. অদ্বৈত বেদান্ত
মতে, মায়ার দুটি কাজ কি?

মায়ার দুটি শক্তি
একটি আবরণ শক্তি যা ব্রহ্মের স্বরূপকে আচ্ছাদন করে এবং অন্যটি বিক্ষেপ শক্তি যা জীবের
চিত্তে জগৎ ভ্রম সাধন করে।

 

8. ব্রহ্মের তিন
প্রকার সত্ত্বা কি কি?

শঙ্করের মতে-


প্রতিভাসিক
সত্ত্বা- যা ক্ষণকালের জন্য প্রত্যক্ষীভূত হয়।

যেমন- রজ্জুতে সর্পভ্রম।


ব্যবহারিক
সত্ত্বা- যেসব বস্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিত্তি, যা ব্রহ্ম জ্ঞানের উদয়ের সঙ্গে
সঙ্গে অসত্য বলে প্রমাণিত হয়। যেমন- জগত।

পারমার্থিক সত্ত্বা-
যা কখনো বাধিত বা অসত্য বলে মনে হয় না।

যেমন- ব্রহ্ম।

 

9. অদ্বৈত বেদান্ত
মতে জগতের স্বরূপ কি কি?

অদ্বৈত বেদান্ত মতে
জগত ব্রহ্মের বিবর্ত। মায়া শক্তির প্রভাবে ব্রহ্ম জগত রূপে প্রকাশিত হয়।

 

10. শঙ্করের মতে,ব্রহ্ম
ও ঈশ্বর কি অভিন্ন?

শঙ্করের মতে, ব্যবহারিক
দৃষ্টিতে ব্রহ্ম স্বগুণ এবং এই স্বগুণ ব্রম্ভই হলো ঈশ্বর। কিন্তু পারমার্থিক দৃষ্টিতে
ব্রহ্ম নির্গুণ অর্থাৎ সত্য এবং ঈশ্বর মিথ্যা।

 

11. ব্রহ্ম কথার
অর্থ কি?

ব্রহ্ম কথার বুৎপত্তিগত
অর্থ হল বৃহৎ+মন=ব্রহ্ম। অর্থাৎ এর দ্বারা বোঝায় যার থেকে ব্যাপক আর কিছু নেই। যিনি
মহত্তম তিনিই ব্রহ্ম।

 

12. শঙ্করাচার্য
সমগ্র ও নির্গুণ ব্রহ্ম বলতে কি বুঝিয়েছেন?

 

শঙ্করাচার্য বলেছেন,
ব্যবহারিক দৃষ্টিতে যখন আমরা ব্রহ্মকে স্রষ্টা, রক্ষক এবং সংহারক বলে ভাবি তখন তিনি
সগুণ ব্রহ্ম বা ঈশ্বর। আর পারমার্থিক দৃষ্টিতে যখন নির্গুণ নির্বিশেষ,সৎ, চিৎ এবং আনন্দ
স্বরূপ ভাবি তখন তিনি নির্গুণ ব্রহ্ম।

 

13. বিবর্তনবাদ কাকে
বলে?

যে মতবাদ অনুসারে
জগৎ ব্রহ্মের বিবর্তন রূপ বলা হয়, তাকে বিবর্তনবাদ বলা হয়।

 

14. জীবের নিকট জগত
সত্য বা মিথ্যা বলে মনে হয় কেন?

মায়া আর আবরণ শক্তির
দ্বারা ব্রহ্মকে আবৃত করে বিক্ষেপ শক্তি দ্বারা জগৎ রচনা করায়, জগত সত্য বলে মনে হয়
এবং অবিদ্যা দূর হলে বা ব্রম্ভ জ্ঞান লাভ হলে, জগৎ মিথ্যা মনে হয়।

 

15. “সোহাম
ব্রহ্ম”- কথাটির অর্থ কি?

আমিই সেই ব্রহ্ম।

 

16. “তৎ ত্বম
আমি”- কথাটির অর্থ কি?

তুমিই সেই ব্রহ্ম।

 

17. বেদান্ত দর্শনের
প্রবর্তক হলেন- মহর্ষি বদরায়ন।

 

18. উপনিষদকে মুখ্যত-বেদান্ত
দর্শন বলে অভিহিত করা হয়।

 

19. রামানুজের মতবাদকে
বলা হয়- বিশিষ্টা দ্বৈতবাদ।

 

20. দ্বৈতা দ্বৈতবাদ
এর প্রবর্তক হলেন- নিম্বাকাচার্য।

 

21. উপনিষদকে – বেদান্ত
বলা হয়।

 

22. বেদান্ত দর্শনের
অপর নাম – উত্তর মীমাংসা।

 

23. শঙ্করের বেদান্ত-
অদ্বৈত বেদান্ত নামে পরিচিত।

 

24. “ব্রহ্মসূত্র”-
চারটি অধ্যায়ে বিভক্ত।

 

25. বেদের মূল গ্রন্থটি
হল- “ব্রহ্মসূত্র”।

 

26. “ব্রহ্মসূত্রের”
আরেক নাম- “বেদান্ত সূত্র”।

 

27. “একমেবাদ্বিতীয়ম্”
কথাটি বলেছেন- শঙ্করাচার্য।

 

28. শঙ্করাচার্যের
“বেদান্ত দর্শন” – বিশুদ্ধাদ্বৈতবাদ নামে পরিচিত।

 

29. “ব্রহ্মসূত্রের”
শ্লোক সংখ্যা – 555 টি।

 

30. “পঞ্চম
বেদ” বলা হয় – ইতিহাসপুরাণ কে।

 

31. বেদান্তের শ্রুতি
প্রস্থান হল- উপনিষদ, স্মৃতি প্রস্থান হল- শ্রীমদ্ভগবদগীতা এবং ন্যায় প্রস্থান হল-
ব্রহ্মসূত্র।

 

32. উপনিষদের সংখ্যা
হল – অসংখ্য।

 

33. শঙ্করাচার্যের
মতে- ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা, জীব ব্রহ্ম ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

34. “সকল বেদের
বেদ” বলা হয় – ব্যাকরণ কে।


 

1 thought on “অদ্বৈত বেদান্ত | একাদশ শ্রেণি পঞ্চম অধ্যায় ভারতীয় দর্শন নোটস |”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top