একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার বাংলা নোটস “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর”
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
১. “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’ কবিতাটির উৎস কি?
উঃ- মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬)।
২. কবিতাটির মূল গ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?
উঃ- ৮৬ সংখ্যক কবিতা।
৩. কবিতাটি কী জাতীয় কবিতা?
উঃ- সনেটধর্মী কবিতা।
৪. সনেট কী?
উঃ- সমদৈর্ঘ্যের চোদ্দো পংক্তি কবিতা।
৫. সনেটধর্মী কবিতার দ্বিতীয় ও প্রথম স্তবককে কি বলা হয়?
উঃ- প্রথম আট লাইন অষ্টক এবং শেষ ছয় লাইনকে ষষ্টক বলা হয়।
৬. বাংলা ভাষায় প্রথম সনেটধর্মী কবিতা রচনা করেন কে?
উঃ- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৭. মধুসূদন কোথায় বসে সনেট রচনা করেছিলেন?
উঃ- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে।
৮. “চতুর্দশপদী কবিতাবলী” গ্রন্থটির প্রকাশক কে ছিলেন?
উঃ- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
৯. মূল গ্রন্থটি কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?
উঃ- স্টেন হোপ প্রেস থেকে।
১০. চতুর্দশপদী কবিতাবলীতে মোট কতগুলি কবিতা রয়েছে?
উঃ- 102 টি।
১১. Timothy Penpoem ছদ্মনামে মধুসূদন কোন কোন কাব্যগ্রন্থ লেখেন?
উঃ- The Captive Lady, A vision to the past।
১২. মধুসূদন দত্ত বাংলায় কোন ছন্দের প্রবর্তন ঘটান?
উঃ- পাশ্চাত্য কবি মিল্টনের ব্ল্যাঙ্ক ভার্স ছন্দের অনুকরনে অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
১৩. মধুসূদনের অমর সৃষ্টি কোন কাব্যকে বলা হয়?
উঃ- সাহিত্যিক মহাকাব্য “মেঘনাদবধ কাব্য”।
১৪. মধুসূদন দত্তের লেখা একটি পত্র কাব্যের নাম লেখ।
উঃ- “বীরাঙ্গনা কাব্য”।
১৫. মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম সাহিত্য সৃষ্টির নাম কি?
উঃ- “শর্মিষ্ঠা নাটক”।
১৬. মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা দুটি প্রহসনের নাম লেখ।
উঃ- “একেই কি বলে সভ্যতা”, “বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ”।
১৭. “বিদ্যার সাগর তুমি”- কার উদ্দেশ্য এই স্তুতি করা হয়েছে?
উঃ- ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
১৮. কবিতায় কাকে “করুণার সিন্ধু” বা করুণার সাগর বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উঃ- ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে।
১৯. “সেই জানে মনে”- কে কি জানে?
উঃ- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় যে করুণার সাগরস্বরূপ তা মধুসূদন দত্ত জানেন।
২০. দীনের বন্ধু কে?
উঃ- বিদ্যাসাগর মহাশয়।
২১. হেমাদ্রি শব্দের অর্থ কি?
উঃ- সুবর্ণকান্তি পর্বত।
২২. “হেমকান্তি” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- স্বর্ণকান্তি যুক্ত।
২৩. হেমকান্তি কার?
উঃ- হেমাদ্রির।
২৪. কবিতায় কবি “হেমাদ্রির হেমকান্তি”-র সঙ্গে কার তুলনা করেছেন?
উঃ- বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জ্ঞান ও হৃদয়ের দ্যুতিকে।
২৫. অম্লান শব্দের অর্থ কি?
উঃ- অমলিন।
২৬. কিরণ শব্দের অর্থ কি?
উঃ- আলোক রশ্মি।
২৭. কে ভাগ্যবান বলে কবির মনে হয়েছে?
উঃ- যে মহাপর্বতের সুবর্ণচরে পর্বতে অর্থাৎ ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চরণতলে আশ্রয় পায়।
২৮. ভাগ্যবান কে?
উঃ- অন্তর্নিহিতার্থে কবি মধুসূদন দত্ত।
২৯. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়কে “দীনের বন্ধু” বলা হয়েছে কেন?
উঃ- দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে।
৩০. “সেই জানে”- কী জানে?
উঃ- সুমহান হিমালয় পর্বতরূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গুনাবলী।
৩১. “যে জন আশ্রয় লয়”- কোথায় আশ্রয় নিয়েছে?
উঃ- মহাপর্বত রূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সুবর্ণ চরণে।
৩২. আলোচ্য কবিতায় গিরীশ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ- গিরীরাজ হিমালয় রূপ বিদ্যাসাগর মহাশয়কে।
৩৩. “কী সেবা তার সে সুখ সদনে”!- কোন সুখ সদনে?
উঃ- সুবিশাল হিমালয়ের স্বর্ণচরণে।
৩৪. বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সুমহান হৃদয়কে কোন মহাপর্বতের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উঃ- হিমালয়।
৩৫. “দানে বারি”- কে বারি অর্থাৎ জল দান করে?
উঃ- নদী।
৩৬. “বিমলা” ও “কিঙ্করী”- শব্দদুটির অর্থ কি?
উঃ- “বিমলা” ও “কিঙ্করী” শব্দ-দু’টির অর্থ হল যথাক্রমে পরিচ্ছন্ন ও দাসী।
৩৭. “বিমলা” ও “কিঙ্করী” শব্দ দুটি কি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে?
উঃ- আলোচ্য কবিতায় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিঃশব্দ উপকারের মানসিকতা বোঝাতে শব্দদুটি ব্যবহৃত হয়েছে।
৩৮. “জোগায় অমৃত ফল”- কে জোগায়? অমৃত ফল বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ- সুদীর্ঘ গাছেরা যোগায়।
অমৃতফল বলতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অকৃপণ দানের কথা বলা হয়েছে।
৩৯. আলোচ্য কবিতায় “পরিমল” শব্দটি কোন অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে? কারা পরিমলে দশ-দিশ ভরিয়ে তোলে?
উঃ- সুগন্ধ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
ফুল- কুল-দশ-দিশ ভরিয়ে তোলে।
৪০.বনেশ্বরী দিবসে ও রাত্রে কী কী দান করে?
উঃ- দিবসে শীতল শ্বাসী ছায়া ও রাত্রে সুশান্ত নিদ্রা দান করে এবং ক্লান্তি পরিহার করে।