ধ্বনির স্বরূপ আলোচনা করো | ধ্বনিতত্ত্ব | Class 12 Bengali Note |

 

ধ্বনির স্বরূপ আলোচনা করো

ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনির স্বরূপ

 

ধ্বনি” কথার অর্থ আওয়াজ। আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে নানা ধরনের আওয়াজ
শুনতে পাওয়া যায়। যেমন- মানুষের কথাবার্তা
, হাসি-কান্না, পশু -পাখির ডাক, যানবাহনের হর্ণ, যন্ত্রের শব্দ ইতাদি। কিন্তু এর সবগুলো আওয়াজ বা ধ্বনি হলেও ধ্বনিতত্ত্বে
কেবল কথা বলার সময় মানুষের বাগযন্ত্র থেকে উচ্চারিত বা সৃষ্ট আওয়াজের সবচেয়ে
ছোটো অংশকেই ধ্বনির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাই ধ্বনিতত্ত্বের ধ্বনি মানেই
বাগধ্বনি। অর্থাৎ কথা বলার সময় মানুষের বাগযন্ত্র থেকে উচ্চারিত অর্থপূর্ণ
আওয়াজের ক্ষুদ্রতম অংশকে ধ্বনি বা বাগধ্বনি বা স্বর (
Phone) বলা হয়।

 

        এই বাগধ্বনি সম্পর্কে মনে রাখতে হবে যে-

১. আমরা কথা
বলার সময় অবিচ্ছিন্নভাবে ধ্বনিগুলি উচ্চারণ করি এবং তারা পরস্পরের উচ্চারণকে
প্রভাবিত করে (যেমন-উৎ+লাস=
উল্লাস, পাঁচ শো> পাঁশশো, বড় ঠাকুর>বটঠাকুর) আর সেই
ধ্বনি প্রবাহের বাস্তবতা অনেক বেশি তবুও আলোচনার ও বিশ্লেষণের সুবিধার্থে ধ্বনি
বলতে ধ্বনি প্রবাহের খন্ড একক অর্থাৎ খন্ড ধ্বনি বা বিভাজ্য ধ্বনিকেই বুঝব।

 

২. যদিও
ধ্বনিসমষ্টি মিলে শব্দের (
word) একটি অর্থকে
সুস্পষ্ট করে তোলে তবুও বাগধ্বনির আলাদা কোনো অর্থ নেই। (যেমন- “বই”
শব্দটি অর্থ থাকলেও “ব+অ+ই” ধ্বনিগুলি অর্থহীন) অর্থাৎ ধ্বনিতত্ত্বের
আলোচ্য একক বাগধ্বনি অর্থহীন।

 

৩. ধ্বনির
লেখ্যরূপ বর্ণ কিন্তু ধ্বনি ও বর্ণের সম্পর্ক ১:১ নয়। একটি ধ্বনির জন্য কখনো
একাধিক বর্ণ ব্যবহৃত হয় (যেমন- শ
, ,
স তিনটি বর্ণের বাংলায় উচ্চারণ রুপ বা ধ্বনি একটি, সেটি “শ”)। আবার একটি বর্ণের একাধিক উচ্চারিত
রূপ বা ধ্বনি হতে পারে (যেমন- অতি
> ওতি,
অনেক> অনেক)
অর্থাৎ ধ্বনি ও বর্ণ অসমান বা তুল্যমূল্য নয়

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *