সহধ্বনির সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো | দ্বাদশ শ্রেণির নোটস |

 
সহধ্বনির সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

সহধ্বনির
সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য

 

সহধ্বনির
সংজ্ঞা

       বাংলায় মূলধ্বনিগুলি আসলে
এক একটি ধ্বনি পরিবার। অর্থাৎ মূলধ্বনির নানা উচ্চারণ বৈচিত্র থাকে। সাধারণভাবে এই
বৈচিত্র্যময় বাস্তব উচ্চারণগুলিকে সহধ্বনি বলা হয়। সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায় যে
, একাধিক ধ্বনি যদি উচ্চারণের দিক থেকে প্রায় একই রকম (Phonetically
similar)
হয় এবং তারা যদি পরিপূরক অবস্থানে
থাকে অর্থাৎ একটির জায়গায় অন্যটি বসতে না পারে এবং তারা যদি শব্দের অর্থ
পার্থক্য সৃষ্টি করতে না পারে তবে সেই ধ্বনিগুলি একটি ধ্বনি পরিবার বা স্বনিমের
সহধ্বনি।

 

সহধ্বনির বৈশিষ্ট্য

      সহধ্বনি গুলির চরিত্র পর্যালোচনা করে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য
নিরূপণ করা যায়-

১. সহধ্বনিগুলির
পারস্পরিক উচ্চারণগত পার্থক্য থাকলেও মিলের ভাগটাই বেশি। যেমন- “লঙ্কা”
, “আলতা” এবং “উল্টো” শব্দে “ল”  ধ্বনিটির
তিন রকম উচ্চারণ বৈচিত্র আছে। এরা কেউ দন্ত
, কেউ দন্তমূল আবার কেউ মূর্ধায় উচ্চারিত হলেও এরা সবাই পার্শ্বিক ধ্বনি তাই
মিলটাই বেশি।

 

২. সামান্য
হলেও উচ্চারণ পার্থক্য থাকার কারণে সহধ্বনি গুলি পরিপূরক অবস্থানে থাকে। অর্থাৎ
একটির জায়গায় অন্যটি বসতে পারে না। “আলতা” শব্দের “ল”
ধ্বনিকে যদি উল্টো শব্দের “ল” এর মতো মূর্ধায় উচ্চারণ করলে তার উচ্চারণ
বিকৃতি ঘটে।

 

৩. সহধ্বনি
আসলে ধ্বনিমূলের বাস্তব এবং বৈচিত্র্যময় উচ্চারণ- যা ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে
বাস্তব প্রয়োগ ঘটে।

 

৪. সহধ্বনি
গুলির মধ্যে উচ্চারণগত কিছু পার্থক্য থাকলেও তারা শব্দের অর্থ পার্থক্য ঘটাতে পারে
না। যেমন- “লঙ্কা” শব্দের দন্তমূলীয় “ল” ধ্বনিকে
“উল্টো” শব্দের মতো মুর্ধাকে স্পর্শ করে উচ্চারণ করলে “লঙ্কা”
শব্দের উচ্চারণ হয়তো কিছুটা বিকৃত হয়
, কিন্তু অর্থ পার্থক্য ঘটে না।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *