ব্যাসদেব কে? তার বিরুদ্ধে জনার অভিযোগ কি? নীলধ্বজের প্রতি জনা |


তীর্থ ভ্রমণের সময় পরাশর মুনি খেয়া-পারাপারকারী ধীবর পালিতা মৎস্যগন্ধা
সত্যবতীর প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার সঙ্গে মিলিত হন।। এভাবেই সত্যবতীর গর্ভে কৃষ্ণদ্বৈপায়ন
ব্যাসের জন্ম হয়। পুরান ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই ব্যাস কৃষ্ণেরই অংশ। তিনি শুধু মহাভারত
রচয়িতা রূপে বিখ্যাত নন, বেদের বিভাগ ও বেদান্ত দর্শন ও তাঁর সৃষ্টি।

       পুত্রহন্তা পার্থের সঙ্গে নীলধ্বজের সখ্যতায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে
গিয়ে জনা কুন্তী, দ্রৌপদী, অর্জুনের সাথে ব্যাসদেবকেও আক্রমণ করেছেন।

        ব্যাসদেবের জন্মের পর সত্যবতীর সঙ্গে বিবাহ হয় মহারাজ শান্তনুর। তাদের
দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে চিত্রাঙ্গদ এবং বিচিত্রবীর্য। এরপর স্বয়ংবর সভায় ভীষ্ম
কতৃক
  বিজিতা কাশীরাজকন্যা অম্বিকা এবং অম্বালিকার সঙ্গে বিচিত্রবীর্যের বিবাহ
হয়। কিন্তু সাত বছর পরে বিচিত্রবীর্যের মৃত্যুর পর বংশ রক্ষার জন্য মাতা সত্যবতীর
অনুরোধে বিচিত্রবীর্যের দুই বিধবা স্ত্রী – অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে যথাক্রমে ধৃতরাষ্ট্র
এবং পাণ্ডুর জন্ম দেন ব্যাসদেব। তাই জনার অভিযোগ-

“……. করিলা

কামকেলি লয়ে কোলে ভাতৃবধূদ্বয়ে”,

ব্যাসদেব এহেন চরিত্রহীন। তার জন্ম বৃত্তান্ত ও লজ্জাজনক। কারণ তাঁর-

” ধীবর জননী, পিতা ব্রাহ্মণ”!

তাঁর পান্ডব গুনকীর্তন
গ্রাহ্য বা বিশ্বাস করার সুদৃঢ় কোনো ভিত্তি নেই। তিনি কুলাচার্য হলেও কু-কুলের কুলাচার্য।
“ধর্ম মতি”! বলে জনা তাঁকে তীব্র ব্যাঙ্গ এবং ভৎসনা করেছেন।



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *