শিল্পকেন্দ্রিক বুনিয়াদি পাঠক্রম কী? কেন্দ্রীয় বা মূল পাঠক্রম বলতে কী বোঝো?

শিল্পকেন্দ্ৰিক বুনিয়াদি
পাঠক্রম

    গান্ধিজি শিক্ষাকে
ভবিষ্যৎ জীবনের প্রস্তুতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বুনিয়াদি শিক্ষাব্যবস্থায়
শিক্ষার্থীদের দেহ, মন এবং আত্মার সামগ্রিক বিকাশের জন্য যে বিশেষ ধরনের পাঠক্রম প্রণয়ন
করেছিলেন, তা শিল্পকেন্দ্রিক বুনিয়াদি পাঠক্রম নামে পরিচিত। এই পাঠক্রম একটি শিল্পকে
কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়। এই পাঠক্রমটি উল্লেখ করা

হল—



(1) শিল্পশিক্ষা
: সুতোকাটা ও তাঁতের কাজ, কৃষিকাজ, কাঠের কাজ, চামড়ার কাজ প্রভৃতির মধ্যে থেকে একটি
শিল্প বেছে নিতে হয়।

(2) গণিত : দৈনন্দিন
জীবনে প্রয়োজনীয় গণিতের জ্ঞান অর্জন করতে হয়।

(3) সমাজশিক্ষা
: ইতিহাস এবং ভূগোলের পাঠ দেওয়া হয়।

(4) সাধারণ বিজ্ঞান
: উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, প্রকৃতিপাঠ, বিজ্ঞানীদের জীবনী পাঠ প্রভৃতি
বিষয়ে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা থাকে। এ ছাড়া চিত্রাঙ্কন, সংগীত, ব্যায়াম এবং হিন্দি ভাষা
শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এই ধরনের পাঠক্রমে শিক্ষার্থীরা শিল্পশিক্ষা বিষয়টির মাধ্যমে
নিজের হাতে কাজ করতে করতে শেখে।

অন্যদিকে, শিক্ষক
অনুবন্ধ প্রণালীতে শিল্পের সাথে যুক্ত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানদান করেন। শিক্ষার্থীরা
জ্ঞানমূলক বিষয়গুলিকে কর্ম অভিজ্ঞতার সাথে যুক্ত করতে শেখে।

এই ধরনের পাঠক্রম
শিক্ষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি আদর্শ পাঠক্রম। তবে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে
আমাদের দেশে এই পাঠক্রম বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি।

 

কেন্দ্ৰীয় বা মূল
পাঠক্রম

এই ধরনের পাঠক্রমে
দুটি অংশ থাকে। একটি অংশ হল কেন্দ্রীয় এবং অন্যটি হল প্রান্তীয় । কেন্দ্রীয় বা মূল
অংশটি সবধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে প্রান্তীয় অংশটি ঐচ্ছিক।
কেন্দ্রীয় বা মূল অংশটি সবধরনের শিক্ষার্থীর চাহিদা ও সমাজের প্রয়োজনের প্রতি নজর
দিয়ে প্রণয়ন করা হয়। অন্যদিকে পাঠক্রমের প্রান্তীয় অংশ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থী
নিজের আগ্রহ ও ক্ষমতা অনুযায়ী একটি বা দুটি বিষয় গ্রহণ করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক
পাঠক্রমে এই নীতি অনুসৃত হয়।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top