জ্ঞানলাভের ছয়টি পদ্ধতি- (প্রমাণ সম্পর্কে ভারতীয় তত্ত্বসমূহ) একাদশ শ্রেণীর দর্শন এর নোটস। তৃতীয় অধ্যায়ের সম্পূর্ণ নোটস।
জ্ঞানলাভের ছয়টি পদ্ধতি
১. ভারতীয় দর্শনে যথার্থ জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- প্রমা।
২. ভারতীয় দর্শনে অ-যথার্থ জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- অপ্রমা।
৩. ভারতীয় দর্শনের মৌলিক ধারণা বা প্রত্যয় গুলি কি কি?
উঃ- প্রমা,অপ্রমা, প্রমাতা, প্রমেয় ও প্রমাণ।
৪. প্রমা কাকে বলে?
উঃ- কোনো বিষয়ে যথার্থ বা শ্রেষ্ঠ জ্ঞানকে।
৫. প্রমার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উঃ-
- প্রমা হল নিঃসন্ধিগ্ধ জ্ঞান অর্থাৎ যে জ্ঞানে কোনো সন্দেহ থাকে না।
- প্রমা হল বিপর্যয় শূন্য অনুভব।
৫. প্রতিটি জ্ঞানের আবশ্যিক শর্ত গুলি কি কি?
উঃ- আবশ্যিক শর্ত তিনটি। যথা- প্রমাতা, প্রমেয় এবং প্রমাণ।
৬. ভারতীয় দর্শনে জ্ঞানকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?
উঃ- দু’ভাগে। যথা- স্মৃতি ও অনুভব।
৭. স্মৃতি ও অনুভব কাকে বলে?
উঃ- সংস্কার থেকে উৎপন্ন জ্ঞানকে বলে স্মৃতি। সংস্কার ভিন্ন জ্ঞানকে বলা হয় অনুভব।
৮. অনুভব কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- যথার্থ ও অযথার্থ।
৯. অপ্রমা কি?
উঃ- ভারতীয় দর্শনে কোনো বিষয়ে অযথার্থ জ্ঞানকে অপ্রমা বলে।
১০. প্রমা কাকে বলে?
উঃ- যথার্থ অনুভবকে প্রমা বলা হয়।
১১. প্রমাতা কি?
উঃ- কোনো বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান লাভকারীকে বলা হয় প্রমাতা।
১২. প্রমেয় কি?
উঃ- যথার্থ জ্ঞান লাভের বিষয়েকে বলা হয় প্রমেয়।
১৩. প্রমাণ কি?
উঃ- ভারতীয় দর্শনে যথার্থ জ্ঞান লাভের উৎস বা উপায়কে বলা হয় প্রমাণ।
১৪. প্রমাণ কয়টি ও কি কি?
উঃ- ছয়টি। যথা- প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান, শব্দ, অর্থাপত্তি ও অনুপলব্ধি।
১৫. প্রত্যক্ষ প্রমাণ কি?
উঃ- ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সহযোগের মাধ্যমে যে জ্ঞানলাভ হয় তাকেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলে।
১৬. অনুমান কি?
উঃ- যে মানসিক প্রক্রিয়ায় জানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অজানা বিষয়ের জ্ঞান লাভের চেষ্টা করা হয় তাকেই অনুমান বলে।
১৭. উপমান প্রমাণ কি?
উঃ- দুটি ব্যক্তি বা বস্তু বা বিষয়ের মধ্যে কতগুলি বিষয়ে মিল দেখে যখন তাদের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে মিল অনুমান করা হয় তাকে উপমান প্রমাণ বলে।
১৮. শব্দ প্রমাণ কি?
উঃ- কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির বিবৃতি থেকে আমরা যে জ্ঞান লাভ করি তা হল শব্দ প্রমাণ।
১৯. অর্থাপত্তি প্রমাণ কি?
উঃ- কোনো বিষয়ের আপত্তির ভিত্তিতে যে জ্ঞান লাভ হয় তাকে অর্থাপত্তি প্রমাণ বলে।
২০. অনুপলব্ধি প্রমাণ কি?
উঃ- বস্তুর অভাব প্রত্যক্ষে যে জ্ঞান লাভ হয় তাকে অনুপলব্ধি প্রমাণ বলে।
ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায়গুলির শ্রেণীবিভাগ | Class XI Philoshopy Notes, Semester-I | Part- I
২১. চার্বাক দর্শন কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- একটি- প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
২২. বৌদ্ধ ও বৈশেষিক সম্প্রদায় কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- দুইটি- প্রত্যক্ষ ও অনুমান।
২৩. সাংখ্য, যোগ ও জৈন সম্প্রদায় কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- তিনটি- প্রত্যক্ষ, অনুমান ও শব্দ।
২৪. ন্যায় দর্শন কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- চারটি- প্রত্যক্ষ, অনুমান, শব্দ ও উপমান।
২৫. মীমাংসা দর্শন কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- পাঁচটি- প্রত্যক্ষ, অনুমান, শব্দ, উপমান ও অর্থাপত্তি।
২৬. বেদান্ত দর্শন কয়টি প্রমাণ স্বীকার করে?
উঃ- ছয়টি – প্রত্যক্ষ , অনুমান, শব্দ, উপমান, অর্থাপত্তি।
২৭. অনুমানে কয়টি পদ থাকে ও কি কি?
উঃ- তিনটি। যথা- পক্ষ পদ,সাধ্য পদ ও হেতু পদ।
২৮. পক্ষ পদ কাকে বলে?
উঃ- যে স্থানে কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুমান করা হয় তাকে পক্ষপদ বলে।
২৯. সাধ্য পদ কাকে বলে?
উঃ- অনুমানে যার অস্তিত্ব সাধন বা প্রমাণ করতে চাই তাকে সাধ্য পদ বলে।
৩০. হেতু পদ কাকে বলে?
উঃ- অনুমানে যার সাহায্যে কোন কিছুর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাই তাকে হেতু ও মধ্য পদ বলে।
৩১. অনুমানের ভিত্তি কি?
উঃ- ব্যাপ্তি জ্ঞান ও পক্ষ ধর্মতা।
৩২. ব্যাপ্তি কি?
উঃ- হেতু পদের সঙ্গে সাধ্য পদের নিয়ত ও সহচার সম্বন্ধকে ব্যপ্তি বলে।
৩৩. পক্ষ ধর্মতা কি?
উঃ- পক্ষে হেতুর উপস্থিতিকেই পক্ষ ধর্মতা বলে।
৩৪. পরামর্শ কি?
উঃ- ব্যাপ্তি বিশিষ্ট পক্ষধর্মতা জ্ঞানকে পরামর্শ বলে।
৩৫.অনুমিতি কি?
উঃ- পরামর্শ থেকে যে জ্ঞান লাভ হয় তাকে অনুমিতি বলে।
৩৬. শব্দ প্রমাণ কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- দৃষ্টার্থ শব্দ প্রমাণ ও অদৃষ্টার্থ শব্দ প্রমাণ।
৩৭. দৃষ্টার্থ শব্দ প্রমাণ কি?
উঃ- এটি প্রত্যক্ষ যোগ্য বিষয়ের বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির বিবৃতি।
৩৮. অদৃষ্টার্থ শব্দ প্রমাণ কাকে বলে?
উঃ- যা অতীন্দ্রিয় বিষয়।
৩৯. অর্থাপত্তি কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- দৃষ্টার্থপত্তি ও শ্রুতার্থপত্তি।
৪০. দৃষ্টার্থপত্তি কাকে বলে?
উঃ- দৃষ্ট বিষয়ের মধ্যে অসংগতি ব্যাখ্যা করার জন্য যে কল্পনা করা হয়।
৪১. শ্রুতার্থপত্তি কাকে বলে?
উঃ- শ্রুত বিষয়ের মধ্যে অসংগতি ব্যাখ্যার যে কল্পনা করা হয়।
৪২. প্রমা ও প্রমাণ উভয় কী?
উঃ- প্রত্যক্ষ ও অর্থাপত্তি।
৪৩. কোন দর্শনে একটি প্রমাণ স্বীকার করা হয়েছে?
উঃ- চার্বাক দর্শনে।
৪৪. সব ভারতীয় দার্শনিক সম্প্রদায় কোন প্রমাণকে স্বীকার করেছেন?
উঃ- প্রত্যক্ষ প্রমাণকে।
৪৫. সুখ-দুঃখ ,আনন্দ-বেদনা ইত্যাদির জ্ঞান কোন প্রত্যক্ষের দ্বারা উৎপন্ন হয়?
উঃ- মানস প্রত্যক্ষ।
৪৬. চার্বাক মতে, বাহ্যবিষয়ের জ্ঞান কিসের দ্বারা উৎপন্ন হয়?
উঃ- পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা।
৪৭. “যে জ্ঞান দ্রষ্টার নিজের মতোই সত্য তার যথার্থতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না”- একথা কে বলেছেন?
উঃ- চার্বাক।
৪৮. চার্বাকগণ কোন ইন্দ্রিয়ের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না?
উঃ- মন।
৪৯.বৌদ্ধ দর্শনে কোন প্রত্যক্ষকে স্বীকার করা হয়েছে?
উঃ- নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ।
৫০. সাংখ্য মতে “প্রতিবিষয়” কথাটির অর্থ কি?
উঃ- ইন্দ্রিয়।
ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায়গুলির শ্রেণীবিভাগ | Class XI Philoshopy Notes, Semester-I | Part- 2
৫১. সাংখ্য দর্শনে “অধ্যাবসায়” শব্দের দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
উঃ- সংশয়মুক্ত।
৫২. নৈয়ায়িকগণ প্রত্যক্ষের কয়টি স্তর স্বীকার করেছেন?
উঃ- দুইটি।
৫৩. কোন দর্শন সম্প্রদায়ের মতে নির্বিকল্পক জ্ঞান প্রবৃত্তির কারণ?
উঃ- মীমাংসা।
৫৪.অনুমান প্রমাণের প্রমা কি?
উঃ- অনুমিতি।
৫৫. অনুমান প্রমাণের “অনু” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- পশ্চাৎ।
৫৬. অনুমান প্রমাণের “মান” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- জ্ঞান।
৫৭. “অনুমান” কথাটির অর্থ কি?
উঃ- পশ্চাদবর্তী জ্ঞান।
৫৮. “যেখানে যেখানে ধুম আছে সেখানে সেখানে বহ্নি আছে”-এটি কি ধরনের সম্পর্ক?
উঃ- ব্যাপ্তি সম্পর্ক।
৫৯. “যেহেতু পর্বতে ধূম আছে, সেহেতু পর্বতে বহ্নি আছে”- এখানে পক্ষ পদ কোনটি?
উঃ- পর্বত।
৬০. “যেহেতু পর্বতে ধূম আছে, সেহেতু পর্বতে বহ্নি আছে”- এখানে সাধ্য পদ কোনটি?
উঃ- বহ্নি।
৬১. “পর্বতে ধূম আছে সেহেতু পর্বতে বহ্নি আছে”- এখানে হেতু পদ কোনটি?
উঃ- ধূম।
৬২. “পর্বতে ধুম আছে”- এটি কি ধরনের জ্ঞান?
উঃ- পক্ষধর্মতা জ্ঞান।
৬৩. “পর্বতে বহ্নি আছে”- এটি কি ধরনের জ্ঞান?
উঃ- অনুমিতি জ্ঞান।
৬৪. অনুমিতির জন্য কিসের প্রয়োজন হয়?
উঃ- ব্যাপ্তিস্মরণ।
৬৫. ব্যাপ্তিজ্ঞান ও পক্ষধর্মতা জ্ঞানের সম্বন্ধ স্থাপনে কি হয়?
উঃ- পরামর্শ।
৬৬. পরামর্শ থেকে উৎপন্ন জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- অনুমিতি।
৬৭. সাদৃশ্যজ্ঞানের ভিত্তিতে উৎপন্ন জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- উপমান।
৬৮. উপমানের বুৎপত্তিগত অর্থ কি?
উঃ- সাদৃশ্যজ্ঞান।
৬৯. “গবয় গরুর মত”- এটি কিসের উদাহরণ?
উঃ- উপমান।
৭০. “অতিদেশবাক্য” কথার অর্থ কি?
উঃ- বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির থেকে শোনা বাক্য।
৭১. “গবয়” কথার অর্থ কি?
উঃ- নীল গাই।
৭২. “সংজ্ঞা”-এর অর্থ কি?
উঃ- পদ।
৭৩. “সংজ্ঞি”- কথার অর্থ কি?
উঃ- পদ দ্বারা নির্দেশিত বস্তু।
৭৪. অতিদেশবাক্য বলতে কী বোঝায়?
উঃ- বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির বক্তব্য।
৭৫. গরুর সঙ্গে সাদৃশ্যযুক্ত কোনো পশুকে দেখে “এটি গবয়”- এই জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- উপমিতি।
৭৬. বৈশেষিকগণ উপমানকে কোন প্রমাণের অন্তর্ভুক্ত করেন?
উঃ- অনুমান।
৭৭. শব্দ প্রমাণকে আর কোন নামে জানা যায়?
উঃ- আগম।
৭৮. শব্দকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ বলে উল্লেখ করেছেন কারা?
উঃ- মীমাংসা।
৭৯. মীমাংসকরা শব্দকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ বলেছেন কেন?
উঃ- কারণ বেদবাক্যের প্রামাণ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
৮০. কাদের মতে বেদবাক্য স্বয়ংসিদ্ধ ও স্বতঃসত্য?
উঃ- মীমাংসক।
৮১. মীমাংসক মতে শব্দ কি?
উঃ- বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির বক্তব্য।
৮২. ন্যায় মতে, আপ্তব্যক্তির উপদেশ বাক্যকে কি বলা হয়?
উঃ- শব্দ প্রমাণ।
৮৩. শব্দের দুইটি প্রকার কি কি?
উঃ- বৈদিক বাক্য ও লৌকিক বাক্য।
৮৪. “আপ্তপদেশঃ শব্দঃ” – কথাটি কে বলেছেন?
উঃ- মহর্ষি গৌতম।
৮৫. লৌকিক বাক্য কি?
উঃ- সাধারণ মানুষের উচ্চারিত বাক্য।
৮৬.বৈদিক বাক্য কি?
উঃ- বেদের বাক্যকে অভ্রান্ত বলে স্বীকার করা।
৮৭. “দৃষ্টার্থ” শব্দের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ- বৈজ্ঞানিকদের উক্তি।
৮৮. “অদৃষ্টার্থ” শব্দের উদাহরণ দাও।
উঃ- পুনর্জন্ম।
৮৯. বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টির মধ্যে কোনো পদার্থকে নির্দেশ করার ক্ষমতা বা শক্তি থাকলে তাকে কি বলে?
উঃ- পদ বলে।
৯০. শক্তি যুক্ত একাধিক পদের অর্থপূর্ণ উক্তিকে কি বলে?
উঃ- বাক্য বলে।
৯১. শব্দের অর্থকে কি বলে?
উঃ- শব্দার্থ।
৯২. বাক্যের অর্থকে কি বলে?
উঃ- বাক্যার্থ।
৯৩. শক্তি কি?
উঃ- একপ্রকার সামর্থ্য।
৯৪. মীমাংসক মতে, যে বাক্যের অর্থ পূর্বে জানা ছিল না তাকে কি বলে?
উঃ- অসন্নিকৃষ্ট বাক্যার্থ।
৯৫. মীমাংসক মতে, অসন্নিকৃষ্ট বাক্যার্থের জ্ঞানকে কি বলে?
উঃ- শব্দ বলে।
৯৬. মীমাংসক মতে, আপ্তবাক্য কি?
উঃ- পৌরুষেয়।
৯৭. মীমাংসক মতে, অপৌরুষেয় কি?
উঃ- বেদ-বাক্য।
৯৮. প্রাভাকর মীমাংসাকগণ শব্দের কোন ভাগটিকে স্বীকার করেন?
উঃ- বৈদিক বাক্য।
৯৯. প্রাভাকর মীমাংসক পৌরুষেয় বাক্যকে স্বীকার করেন না কেন?
উঃ- কারণ এই বাক্য অসিদ্ধ হতে পারে।
১০০. কোন মীমাংসক সম্প্রদায় পৌরুষেয় ও অপৌরুষেয় উভয়কে মেনেছেন?
উঃ- ভাট্ট মীমাংসক।
১০১. ভাট্ট মীমাংসক মতে কোন বাক্য শব্দজ্ঞান উৎপন্ন করতে পারে না?
উঃ- মিথ্যাবাদী বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অজ্ঞ ব্যক্তির বচন বা বাক্য।
১০২. বেদের অন্তর্নিহিত দার্শনিক তত্ত্বকে কোথায় প্রকাশ করা হয়েছে?
উঃ- উপনিষদে।
১০৩. বেদান্তের দার্শনিক তত্ত্বসমূহ কি?
উঃ- ঋষিদের চৈতন্য উপলব্ধ সত্য।
১০৪. ভারতের কয়টি দার্শনিক সম্প্রদায় অর্থাপত্তি প্রমাণ স্বীকার করেছেন?
উঃ- দুইটি।
১০৫. “অর্থাপত্তি” শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ কি?
উঃ- অর্থের আপত্তি।
১০৬. “অর্থাপত্তি” শব্দের অন্তর্গত “অর্থ” শব্দটির অর্থ কি?
উঃ- বাস্তব বিষয়।
১০৭. “অর্থাপত্তি” শব্দের অন্তর্গত “আপত্তি” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- কল্পনা।
১০৮. “অর্থাপত্তি” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- বাস্তব বিষয়ের কল্পনা।
১০৯. বিষয়ের মধ্যেকার অসঙ্গতি দূর করে কোন প্রমাণ?
উঃ- অর্থাপত্তি।
১১০. কোন বিষয়কে কল্পনা না করলে দৃষ্ট বা শ্রুত বিষয়ের মধ্যে অসঙ্গতি ব্যাখ্যা করা যায় না?
উঃ- উপপাদক।
১১১. “স্থূল দেবদত্ত পীনতনু”- এখানে “পীনতনু” কথার অর্থ কি?
উঃ- স্থূলতা।
১১২. “স্থূল দেবদত্ত দিনে কিছু খায় না”- এতে উপপাদক কি?
উঃ- স্থূলতা।
১১৩. “স্থূল দেবদত্ত দিনে কিছু খায় না”- এতে উপপাদ্য কোনটি?
উঃ- নৈশ ভোজন।
১১৪. ন্যায় দর্শনে অর্থাপত্তি কোন প্রমাণ এর অন্তর্গত?
উঃ- অনুমান।
১১৫. বস্তুর অভাবের জন্য অনুপলব্ধি প্রমাণ স্বীকার করেছেন কারা?
উঃ- অদ্বৈত বেদান্ত।
১১৬. অভাবের জ্ঞানের জন্য অনুপলব্ধি প্রমাণ স্বীকার করেছে কোন মীমাংসা সম্প্রদায়?
উঃ- ভাট্ট।
১১৭. প্রাভাকর মীমাংসক অনুপলব্ধি প্রমাণ স্বীকার করেন না কেন?
উঃ- কারণ অভাবকে স্বতন্ত্র পদার্থ হিসেবে স্বীকার করেননি বলে।
১১৮. “অনুপলব্ধি” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- উপলব্ধির অভাব।
১১৯. ভাট্ট মীমাংসকগণ কোন অনুপলব্ধি স্বীকার করেছেন?
উঃ- যোগ্যানুপলব্ধি।
১২০. উপলব্ধির সমস্ত উপকরণ থাকা সত্বেও যদি ঘরে ঘটের অস্তিত্বের উপলব্ধি না হয় তাহলে কিসের উপলব্ধি হয়?
উঃ- ঘটের অভাবের।
নতুন সিলেবাসে দর্শনের নোটশ প্রথম অধ্যায় Click Here
নতুন সিলেবাসে দর্শনের নোটশ দ্বিতীয় অধ্যায় Click Here