ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ | Class XI Philosophy Notes | Semester- I  

ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ একাদশ শ্রেণির দর্শনের পঞ্চম অধ্যায়ের সমস্ত নোটস। প্রথম সেমিস্টারের জন্য।

ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ
ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ

ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ (দর্শন পঞ্চম অধ্যায়)

১. ন্যায় দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উঃ- মহর্ষি গৌতম।

২. ন্যায় দর্শনের আকর বা আদি গ্রন্থের নাম কি?

উঃ ন্যায় সূত্র।

৩. “ন্যায় সূত্র”- এর রচয়িতা কে?

উঃ- মহর্ষি গৌতম।

৪. ন্যায় দর্শনের ভাষ্যকার কে?

উঃ- মহর্ষি বাৎস্যায়ন। 

৫. “ন্যায় সূত্র” গ্রন্থের কয়টি অধ্যায় আছে?

উঃ- পাঁচটি।

৬. “ন্যায় সূত্র” গ্রন্থের আহ্নিক কয়টি? 

উঃ- দুইটি।

৭. “ন্যায় সূত্র” গ্রন্থের মোট আহ্ণিক সংখ্যা কয়টি? 

উঃ- দশটি।

৮. “ন্যায় সূত্র” গ্রন্থের সূত্র সংখ্যা কয়টি? 

উঃ- ৫২৮টি।

৯. মহর্ষি গৌতমের অপর নাম কি?

উঃ- অক্ষ পাদ। 

১০. মহর্ষি গৌতমকে অক্ষ পাদ মুনি কেন বলা হয়?

উঃ- মহর্ষি গৌতম একসময় যোগবলে বেদব্যাসকে দর্শন করার জন্য নিজ চরণে চক্ষু ইন্দ্রিয় সৃষ্টি করেছিলেন।

দর্শন শব্দের অর্থ | ভারতীয় দর্শন | Class -11, Semester 1 | P-1, Philosophy Notes

১১.  কোন দর্শনকে “সর্বশাস্ত্রের প্রদীপ” বলা হয় এবং কেন?

উঃ- ন্যায় দর্শনকে। কারণ ন্যায় দর্শন জ্ঞানের এমন এক শৈলী রচনা করে যার দ্বারা সমস্ত শাস্ত্রের আলোচনা সম্ভব।

১২.  কোন দর্শনকে প্রমাণ শাস্ত্র বলা হয়?

উঃ- ন্যায় দর্শনকে। 

১৩. ন্যায় দর্শনকে হেতু বিদ্যা বলা হয় কেন? 

উঃ- কারণ ন্যায় দর্শন হেতু জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। 

১৪. “অন্বীক্ষা” শব্দের অর্থ কি?

উঃ- প্রত্যক্ষ বা শ্রুতির সাহায্যে পাওয়া জ্ঞানকে পুনরায় বিচার বিবেচনা করাকে অন্বীক্ষা বলে। 

১৫. ন্যায় দর্শনের কয়টি শাখা ও কি কি?

উঃ- 2 টি।যথা- প্রাচীন ন্যায় ও ও নব্য ন্যায়।

১৬. প্রাচীন ন্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে? 

উঃ- মহর্ষি গৌতম। 

১৭. নব্য ন্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উঃ- গঙ্গেশ উপাধ্যায়। 

১৮. গঙ্গেস উপাধ্যায় রচিত গ্রন্থটির নাম কি?

উঃ- “তত্ত্বচিন্তামণি”। 

১৯. ন্যায় মতে জ্ঞান কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- দুই প্রকার। যথা-  স্মৃতি ও অনুভব।

২০.  ন্যায় মতে জ্ঞান বা বুদ্ধি কার গুণ? এই গুণ কয়টি?

উঃ- আত্মার গুণ। এটি ২৪ টি।

ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ একাদশ শ্রেণির দর্শন পঞ্চম অধ্যায়

২১. ন্যায় মতে প্রত্যক্ষ কাকে বলে? 

উঃ- ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগে পাওয়া যে জ্ঞান অন্যের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়, যা ব্যতিক্রমহীন ও সুনিশ্চিত তাকেই প্রত্যক্ষ বলে। 

২২. ন্যায় মতে প্রত্যক্ষ কয় প্রকার ও কি কি? 

উঃ- দুই প্রকার। যথা- লৌকিক ও অলৌকিক। 

২৩. লৌকিক প্রত্যক্ষ কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- দুই প্রকার। যথা- বাহ্য ও আন্তর প্রত্যক্ষ। 

২৪. বাহ্য প্রত্যক্ষ কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- তিন প্রকার। যথা- নির্বিকল্পক,সবিকল্পক ও প্রত্যভিজ্ঞা। 

২৫. নির্বিকল্পক কাকে বলে? 

উঃ- যে প্রত্যক্ষে নাম, জাতি, গুণ,ক্রিয়া ইত্যাদি বিশেষণহীন রূপে শুধুমাত্র বস্তুর অস্তিত্বটুকু জানা যায় তাকে নির্বিকল্পক প্রত্যক্ষ বলে। 

২৬. সবিকল্পক প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যে প্রত্যক্ষে নাম, জাতি,গুণ, ক্রিয়া ইত্যাদি বিশেষণ রূপে বস্তুর মূল স্বরূপকে জানা যায় তাকে সবিকল্পক প্রত্যক্ষ বলে। 

২৭. প্রত্যভিজ্ঞা কাকে বলে?

উঃ- যখন কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে দেখে তার পূর্বপরিচিত বলে জানা যায় তাকে প্রত্যভিজ্ঞা বলে।

২৮. অলৌকিক প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যে প্রত্যক্ষে ইন্দ্রিয়ের সাথে বিষয়ের অলৌকিক সন্নিকর্ষ ঘটে তাকে অলৌকিক প্রত্যক্ষ বলে।

২৯.  সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে? 

উঃ- যে প্রত্যক্ষে ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগ ঘটা মাত্রই তার জাতির প্রত্যক্ষণ হয় তাকে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে।

৩০.  জ্ঞানলক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যে প্রত্যক্ষে কোনো ইন্দ্রিয়ের নিজস্ব বিষয়ীভূত গুণ ছাড়াও অন্য ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত গুণ প্রত্যক্ষ করা যায় তাকে জ্ঞান লক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে। 

ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায়গুলির শ্রেণীবিভাগ | Class XI Philoshopy Notes, Semester-I | Part- I

৩১. যোগজ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যোগীরা যোগ সাধনা বলে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়ে অতীত, ভবিষ্যৎ ও অতি সূক্ষ্ম পদার্থের যে প্রত্যক্ষণ করে তাকে যোগজ  প্রত্যক্ষ বলে। 

৩২. লৌকিক প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যে প্রত্যক্ষে ইন্দ্রিয়ের সাথে বিষয়ের সরাসরি সংযোগ হয় তাকে লৌকিক প্রত্যক্ষ বলে।

৩৩.  সন্নিকর্ষ কি? 

উঃ- ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের যে সংযোগ বা সম্বন্ধ ঘটে তাকেই সন্নিকর্ষ বলে। 

৩৪. সন্নিকর্ষ কথার অর্থ কি?

উঃ- সংযোগ বা সম্বন্ধ। 

৩৫. সন্নিকর্ষ কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- ছয় প্রকার। যথা- সংযোগ, সংযুক্ত সমবায়, সংযুক্ত সমবেত সমবায়, সমবায়, সমবেত সমবায় ও বিশেষ্য বিশেষণাভাব সন্নিকর্ষ।

৩৬. সংযোগ সন্নিকর্ষ কাকে বলে?

উঃ- ইন্দ্রিয়ের সাথে বিষয়ের যে সম্বন্ধ ঘটে তাকে সংযোগ সন্নিকর্ষ বলে। 

৩৭.  সংযুক্ত সমবায় কাকে বলে?

উঃ- ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগ ঘটা মাত্রই বস্তুর রূপের বা গুণের যে সম্বন্ধে ঘটে তাকে সংযুক্ত সমবায় বলে। 

৩৮. সংযুক্ত সমবেত সমবায় কাকে বলে?

উঃ- ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে বিষয়ের সংযোগ ঘটা মাত্রই বস্তুর রূপ বা গুণের জাতির যে সন্নিকর্ষ হয় তাকে সংযুক্ত সমবেত সমবায় বলে। 

৩৯. সমবায় সন্নিকর্ষ কাকে বলে? 

উঃ- কর্ণ ইন্দ্রিয় দ্বারা শব্দ প্রত্যক্ষে যে সন্নিকর্ষ হয় তাকে সমবায় সন্নিকর্ষ বলে। 

৪০. সমবেত সমবায় কাকে বলে?

উঃ- কর্ণ ইন্দ্রিয় দ্বারা শব্দ প্রত্যক্ষকালে শব্দত্ব জাতির যে সন্নিকর্ষ হয় তাকে সমবেত সমবায় সন্নিকর্ষ বলে।

৪১. বিশেষ্য বিশেষণাভাব কাকে বলে? 

উঃ- বস্তুর অভাব প্রত্যক্ষে  যে সন্নিকর্ষ হয় তাকে বিশেষ্য বিশেষণাভাব সন্নিকর্ষ বলে। 

৪২. “ন্যায়বর্তিক তাৎপর্য টীকা” গ্রন্থটি কে রচনা করেন? 

উঃ- বাচস্পতি মিশ্র।

৪৩. “ন্যায় কুসুমাঞ্জলি” গ্রন্থটি কার লেখা? 

উঃ- উদয়ন।

৪৪. “ন্যায় কন্দলী” গ্রন্থটি কার লেখা?

উঃ- শ্রীধর ভট্ট।

৪৫. “ন্যায় কুসুমাঞ্জলি প্রকাশ” গ্রন্থটির রচয়িতা কে? 

উঃ- বর্ধমান উপাধ্যায়।

৩৬. “ভাষা পরিচ্ছেদ” গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উঃ- বিশ্বনাথ। 

৩৭. “সিদ্ধান্ত মোক্তাবলী” গ্রন্থের রচয়িতা কে?

উঃ- বিশ্বনাথ। 

৩৮. চক্ষু ইন্দ্রিয় কোন মহাভূত থেকে গঠিত?

উঃ- তেজ (ত্বৈজস বা রূপ)।

৩৯. কর্ণ কোন মহাভূত থেকে গঠিত?

উঃ- ব্যোম( শব্দ)।

৪০. নাসিকা কোন মহাভূত থেকে গঠিত?

উঃ- ক্ষিতি (গন্ধ)।

৪১. জিহ্বা কোন মহাভূত থেকে গঠিত?

উঃ- অব(স্বাদ)। 

৪২. ত্বক কোন মহাভূত থেকে গঠিত?

উঃ- মরুৎ (স্পর্শ)। 

৪৩. যিনি জ্ঞান লাভ করেছেন তাকে কি বলা হয়? 

উঃ- জ্ঞাতা। 

৪৪. “ব্যবসায়ত্মক”  কথাটির অর্থ কি? 

উঃ- নিশ্চয়াত্মক জ্ঞান। 

৪৫. “এটি একটি ফুল”- কি ধরনের প্রত্যক্ষ?

উঃ- সবিকল্পক প্রত্যক্ষ।

৪৬. “এই সেই রাজধানী এক্সপ্রেস”- এটি কিসের উদাহরণ? 

উঃ- প্রত্যভিজ্ঞা। 

৪৭. আপেল প্রত্যক্ষের জন্য কোন ধরনের সন্নিকর্ষের প্রয়োজন হয়?

উঃ- সংযোগ সন্নিকর্ষ। 

৪৮. গোলাপ ফুল প্রত্যক্ষে চক্ষুর সঙ্গে বিষয়ের যে সন্নিকর্ষ হয় তার নাম কি?

উঃ- সংযোগ সন্নিকর্ষ। 

৪৯. আপেলের লাল রং প্রত্যক্ষের জন্য যে সন্নিকর্ষের প্রয়োজন হয় তার নাম কি?

উঃ- সংযুক্ত সমবায়। 

৫০. ফুলের গন্ধ প্রত্যক্ষে কোন সন্নিকর্ষ হয়?

উঃ- সংযুক্ত সমবায়। 

জ্ঞানলাভের ছয়টি পদ্ধতি- (প্রমাণ  সম্পর্কে ভারতীয় তত্ত্বসমূহ | Class XI, Philosophy Notes, New Syllabus

৫১. ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে দ্রব্যের গুণত্ব জাতির কি ধরনের সন্নিকর্ষ হয়?

উঃ- সংযুক্ত সমবেত সমবায়। 

৫২. “তোমার কলমে কালি নেই”-এই প্রত্যক্ষের জন্য কি ধরনের সন্নিকর্ষ এর প্রয়োজন হয়?

উঃ- বিশেষ্য বিশেষণভাব সন্নিকর্ষ।

৫৩. “ভূতলে ঘটের অভাব”- এই সন্নিকর্ষটি কিসের উদাহরণ?

উঃ- বিশেষ্য বিশেষণভাব সন্নিকর্ষ। 

৫৪. “দড়িতে সর্পভ্রম”- কি ধরনের প্রত্যক্ষ?

উঃ- অলৌকিক প্রত্যক্ষ।

৫৫. মরীচিকায় জলভ্রম কীসের প্রত্যক্ষ?

উঃ- অলৌকিক প্রত্যক্ষ।

৫৬. বরফ দেখে শীতল স্পর্শের যে অনুভূতি- এই রূপ প্রত্যক্ষের জন্য কোন সন্নিকর্ষ এর প্রয়োজন হয়?

উঃ- জ্ঞানলক্ষণ সন্নিকর্ষ।

1 thought on “ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ | Class XI Philosophy Notes | Semester- I  ”

  1. Pingback: নির্বিকল্পক ও সবিকল্পক প্রত্যক্ষের পার্থক্য | Class XI Philosophy Notes | MCQ Notes | - Class Ghar

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top