জ্ঞানের স্বরূপ ও উৎস | পাশ্চাত্য দর্শন | একাদশ শ্রেণীর দর্শন নোটস | প্রথম সেমিস্টার
জ্ঞানের স্বরূপ ও উৎস
১. জ্ঞান কী?
উঃ- কোনো বিষয় সম্পর্কে তার স্পষ্ট উপলব্ধি বা ধারণাকেই জ্ঞান বলে।
২. কোন কিছু জানাকে কি বলে?
উঃ- জ্ঞান বলে।
৩. “জানা” ক্রিয়াপদটি কয়টি অর্থে ব্যবহৃত হয় ও কি কি?
উঃ- তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়।যথা- পরিচয় অর্থে জানা,কর্মদক্ষতা বা কর্মকৌশল অর্থে জানা এবং বাচনিক অর্থে জানা।
৪. কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সঙ্গে সাক্ষাৎ পরিচয় ঘটলে সেই জানাকে কি বলা হয়?
উঃ- পরিচয় অর্থে জানা।
৫. কোনো কাজ করতে পারার দক্ষতা বা ক্ষমতাকে কি অর্থে জানা বলে?
উঃ- কর্মদক্ষতা বা কর্মকৌশল অর্থে জানা।
৬. কোনো জানা বিষয়টি বচন এর মাধ্যমে প্রকাশ করাকে কী অর্থে জানা বলে?
উঃ- বাচনিক অর্থে জানা বলে।
৭. বাচনিক জ্ঞান কাকে বলে?
উঃ- কোনো জ্ঞানের বিষয়কে বচনের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে বাচনিক জ্ঞান বলে।
৮. বাচনিক জ্ঞানের কয়টি শর্ত ও কি কি?
উঃ- তিনটি।যথা-আবশ্যিক, পর্যাপ্ত, আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।
৯. আবশ্যিক শর্ত কয়টি ও কি কি?
উঃ- তিনটি।যথা- সত্যতা, বিশ্বাস ও বিশ্বাসযোগ্যতা।
১০. সত্যতা বলতে কী বোঝো?
উঃ- জ্ঞাত বচনটি অবশ্যই সত্য হতে হবে।
১১. বিশ্বাস বলতে কি বোঝো?
উঃ- জ্ঞাত বচনটি যে সত্য তার প্রতি বিশ্বাস থাকা দরকার।
১২. বিশ্বাসযোগ্যতা কি? বা যথার্থ বাচনিক জ্ঞান কাকে বলা যায়?
উঃ- জ্ঞাত বচনটি সত্য হবে, তার প্রতি বিশ্বাস থাকবে এবং বিশ্বাসের পক্ষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থাকলে তাকে যথার্থ বাচনিক জ্ঞান বলা যাবে।
১৩. সংশ্লেষক বাক্য কাকে বলে?
উঃ- যে বাক্যের বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্বন্ধে কোনো নতুন তথ্য দেয়।
১৪. বিশ্লেষক বাক্য কাকে বলে?
উঃ- যে বাক্যের বিধেয় পদটি উদ্দেশ্য পদ সম্বন্ধে কোনো নতুন তথ্য দেয় না।
১৫. উদ্দেশ্য পদের পুনরাবৃত্তি দ্বারা কোন বাক্যকে বোঝা যায়?
উঃ- বিশ্লেষক বাক্য।
১৬. জ্ঞানের উৎস সম্পর্কীয় মতবাদ কয়টি ও কি কি?
উঃ- চারটি।যথা- বুদ্ধিবাদ, অভিজ্ঞতাবাদ, বিচারবাদ ও স্বজ্ঞাবাদ।
১৭. যে মতবাদে বুদ্ধি বা প্রজ্ঞাকে যথার্থ জ্ঞানের উৎস বলা হয় তাকে কি বলে?
উঃ- বুদ্ধিবাদ বলে।
১৮. কয়েকজন প্রাচীন বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের নাম বলো।
উঃ- গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল।
১৯. আধুনিক বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের উদাহরণ দাও।
উঃ- ডেকার্ত, লাইবনিজ,স্পিনোজা।
২০. ডেকার্তের মতে ধারণা কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- তিন প্রকার।যথা-আগন্তুক ধারণা, কৃত্রিম বা কাল্পনিক ধারণা, সহজাত ধারণা।
২১. যে ধারণাগুলি বাহ্য ইন্দ্রিয় দ্বারা বাহ্য জগৎ থেকে পাওয়া যায় তাকে কি ধারণা বলে?
উঃ- আগন্তুক ধারণা।
২২. যে ধারণাগুলি মন সৃষ্টি করে তাকে কি ধারণা বলে?
উঃ- কৃত্রিম বা কাল্পনিক ধারণা।
২৩. যে ধারণাগুলি জন্ম মুহূর্তে ঈশ্বর আমাদের মনে গেঁথে দেয় সেগুলিকে কি বলে?
উঃ- সহজাত ধারণা।
২৪. ডেকার্তের বুদ্ধিবাদকে গাণিতিক বুদ্ধিবাদ কে বলেছেন?
উঃ- পলসন।
২৫. “গণিতের জ্ঞানই হলো আদর্শ জ্ঞান”- কে বলেছেন?
উঃ- ডেকার্ত।
২৬. “বুদ্ধি যথার্থ জ্ঞানের উৎস”- উক্তিটি কাদের?
উঃ- বুদ্ধিবাদীদের।
২৭. “কোনো কোনো ধারণা সহজাত”- উক্তিটি কার?
উঃ- ডেকার্তের।
২৮. “আমি চিন্তা করি অর্থাৎ আমি আছি” / “Cogito Ergo Sum” – উক্তিটি কার?
উঃ- ডেকার্তের।
২৯. একজন দ্বৈতবাদী দার্শনিকের উদাহরণ দাও।
উঃ- ডেকার্ত।
৩০. “ঈশ্বর একমাত্র দ্রব্য”-কথাটি কে বলেছেন?
উঃ- স্পিনোজা।
৩১. “দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি” – কে বলেছেন?
উঃ- স্পিনোজা।
৩২. ঈশ্বরের নেশায় পাগল কাকে বলা হয়?
উঃ- স্পিনোজাকে।
৩৩. স্পিনোজা কি ধরনের দার্শনিক?
উঃ- অদ্বৈতবাদী দার্শনিক।
৩৪. “সব ধারনা সহজাত”- কথাটি কে বলেছেন?
উঃ- বহুত্ববাদী দার্শনিক লাইবনিজ।
৩৫. লাইবনিজের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ মনাড কী?
উঃ- ঈশ্বর।
দর্শনের স্বরূপ ও শাখাসমূহ | পাশ্চাত্য দর্শন | একাদশ শ্রেণীর দর্শন নোটস
৩৬. অভিজ্ঞতাবাদের জনক কে?
উঃ- বেকন।
৩৭. কয়েকজন অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকের উদাহরণ দাও। বা আধুনিক অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক কারা?
উঃ- লক, বার্কলে,হিউম।
৩৮. পাশ্চাত্য দর্শনে অভিজ্ঞতাবাদের পুরোহিত কে?
উঃ- জন লক।
৩৯. লকের মতে ধারণা কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- সরল ধারণা ও জটিল ধারণা।
৪০. লকের মতে জ্ঞানলাভের উপায় কি?
উঃ- অভিজ্ঞতা।
৪১. অভিজ্ঞতার কয়টি পদ থাকে ও কি কি?
উঃ- দুইটি পদ।যথা- সংবেদন ও অন্তর্দর্শন।
৪২. লক কয় প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন ও কি কি?
উঃ- তিন প্রকার। যথা- জড়দ্রব্য,আত্মা দ্রব্য ও ঈশ্বর দ্রব্য।
৪৩. লকের মতে দ্রব্যের গুণ কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- মোক্ষ গুণ ও গৌণ গুণ।
৪৪. লকের মতে আকার, ওজন, আয়তন, গতি, বিস্তৃতি ইত্যাদি কি ধরনের গুণ?
উঃ- মোক্ষ গুণ।
৪৫. বর্ণ, স্বাদ-গন্ধ, স্পর্শ ইত্যাদি কি গুণের উদাহরণ?
উঃ- গৌণ গুণ।
৪৬. লকের মতে মোক্ষগুণ গুলি কি?
উঃ- অপরিবর্তনশীল।
৪৭. লকের মতে গৌণ গুণগুলি কেমন?
উঃ- পরিবর্তনশীল।
৪৮. “জন্মের সময় মানুষের মন থাকে একটি অলিখিত সাদা কাগজের মতো”- কথাটি কে বলেছেন?
উঃ- জন লক।
৪৯. লকের মতে জ্ঞান কি?
উঃ- দুটি ধারণার মধ্যে মিল ও অমিল প্রত্যক্ষ করাই হল জ্ঞান।
৫০. “বুদ্ধিতে এমন কিছু নেই যা পূর্বে ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ছিল না”- কথাটি কে বলেছেন?
উঃ- জন লক।
৫১. “দ্রব্য হল জ্ঞাত গুণের অজ্ঞাত আধার”- উক্তিটি কার?
উঃ- জন লক।
৫২. “অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর”- উক্তিটি কার?
উঃ- বার্কলে।
৫৩. বিমূর্ত সামান্য ধারণা খন্ডন করেছেন কে?
উঃ- বার্কলে।
৫৪. মোক্ষ ও গৌণ গুণের পার্থক্য অস্বীকার করেছেন কে?
উঃ- বার্কলে।
৫৫. বার্কলের দর্শনের চরম পরিণতি কি?
উঃ- অহংসর্বস্ববাদ।
৫৬. অহংসর্বস্ববাদ বা আত্মকেন্দ্রিকতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঈশ্বরকে টেনে এনেছেন কে?
উঃ- বার্কলে।
৫৭. একজন নরমপন্থী অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকের উদাহরণ দাও।
উঃ- হিউম।
৫৮. হিউম রচিত গ্রন্থটির নাম কি?
উঃ- A Treatise of Human।
৫৯. কার মতে জ্ঞানের উৎস হল মুদ্রণ ও ধারণা?
উঃ- হিউম।
৬০. “জ্ঞান হল ধারণার অনুষঙ্গ”- উক্তিটি কার?
উঃ- হিউমের।
৬১. অনুষঙ্গ নিয়ম কয়টি ও কি কি?
উঃ- তিনটি। যথা- সাদৃশ্য, সান্নিধ্য, কার্যকারণ সম্বন্ধ।
৬২. হিউমের মতবাদের চরম পরিণতি কি?
উঃ- সংশয়বাদ।
৬৩. বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের মতে জ্ঞানলাভের পদ্ধতি কোনটি?
উঃ- অবরোহ।
৬৪. অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকের মতে জ্ঞান লাভের পদ্ধতি কোনটি?
উঃ- আরোহ।