পাঠক্রমের সাংগঠনিক উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও |

 পাঠক্রমের সাংগঠনিক
উপাদান

পাঠক্রমের সাংগঠনিক উপাদানগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও


পাঠক্রমের সাংগঠনিক উপাদান : পাঠক্রমের সাংগঠনিক
উপাদানগুলিকে মূলত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। নীচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হল :

1. সক্রিয়তাজনিত উপাদান: পাঠক্রমের সাংগঠনিক
উপাদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সক্রিয়তা। পুথিসর্বস্ব লিখন-পঠনজনিত পাঠক্রম
অসম্পূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলিকে সার্থকভাবে রূপায়িত করতে হলে
সক্রিয় অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীকে শিখতে দিতে হবে।

2. সংগতিমূলক উপাদান: পাঠক্রমের বিভিন্ন
উপাদানের মধ্যে সংগতি আনা বিশেষ প্রয়োজন। একটি বিষয়ের সঙ্গে অন্য বিষয়ের সংযোগ চিহ্নিত
করে তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পাঠক্রম নির্ধারণ করতে হবে। এইভাবে সমগ্র
পাঠক্রমের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নতা বজায় থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের বোঝার পক্ষেও তা সহজ
হবে।

3. পরিবর্তন সম্পর্কিত উপাদান: পাঠক্রম সর্বদা
পরিবর্তনশীল হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে
মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি সমাজের আশাপ্রত্যাশারও পরিবর্তন
ঘটছে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে সংগতি রেখে পাঠক্রম প্রণয়ন করতে হবে।

4. ক্রমবিন্যাসজনিত উপাদান: পাঠক্রম প্রণয়নের
সময় ক্রমবিন্যাসের নীতিটি বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রাথমিক,
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক প্রভৃতি স্তরে বিভক্ত থাকলেও মনে রাখতে হবে যে, পাঠক্রম একটি
একক অভিজ্ঞতার প্রবাহ। তাই যে-কোনো স্তরের পাঠক্রম নির্ধারণ করার সময় পূর্ববর্তী এবং
পরবর্তী স্তরের পাঠক্রমের সঙ্গে তার ক্রম বজায় রাখতে হবে।

5. আনন্দদায়ক উপাদান : পাঠক্রমের মধ্যে
খেলাধুলা, গানবাজনা, নাটক, অভিনয়, বিভিন্ন দলগত কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত না করলে, শিক্ষার্থীরা
ওই পাঠক্রমে আনন্দ পাবে না, পাঠক্রম তাদের একঘেয়ে লাগবে। সেই কারণে বর্তমানে পাঠক্রম
প্রণয়নের সময় বিভিন্ন ধরনের সহপাঠক্রমিক কার্যাবলীর অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীকে
বিদ্যালয়মুখি করার চেষ্টা করা হয়।


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *