ন্যায় দর্শনের অনুমান সম্পর্কে বক্তব্য | Philosophy Class XI, 7th Chapter

একাদশ শ্রেণীর ভারতীয় দর্শনের “ন্যায় দর্শনের অনুমান সম্পর্কে বক্তব্য” অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর।

ন্যায় দর্শনের অনুমান সম্পর্কে বক্তব্য
ন্যায় দর্শনের অনুমান সম্পর্কে বক্তব্য

ন্যায় দর্শনের অনুমান সম্পর্কে বক্তব্য

১. ব্যাপ্তি কাকে বলে?

উঃ- অনুমানে হেতু পদের সঙ্গে সাধ্য পদের নিয়ত ও সাহচর্য নিয়মকে ব্যাপ্তি বলে।

২. ব্যাপ্য ও ব্যাপক কি? 

উঃ- যে দুটি পদার্থ বা বিষয়ের মধ্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধ থাকে তাদের একটিকে ব্যাপ্য এবং অন্যটিকে ব্যাপক বলে। 

৩. “ব্যপ্তি হল উপাধিহীন, নিয়ত ও অবব্যাহিচারী সম্বন্ধ”-এখানে ” উপাধি”, “নিয়ত” ও “অব্যাহিচারী” শব্দের অর্থ কি? 

উঃ- উপাধি কথার অর্থ হল শর্ত। নিয়ত কথার অর্থ সতত বা সর্বদা। অব্যাহিচারী কথার অর্থ ব্যতিক্রমহীন।

৪. বৌদ্ধমতে ব্যাপ্তিজ্ঞান কয়টি নীতির উপর নির্ভরশীল?

উঃ- দুইটি।যথা- তাদাত্ম নীতি ও কার্যকারণ নীতি।

৫. ন্যায় মতে ব্যাপ্তি কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- দুই প্রকার। যথা- সমব্যপ্তি ও বিষম ব্যাপ্তি। 

৬. সমব্যপ্তি কাকে বলে?

উঃ- যে ব্যাপ্তিতে ব্যাপ্য ও ব্যাপক এর সম্বন্ধ সমান তাকে সমব্যপ্তি বলে। 

৭. বিষম ব্যাপ্তি কাকে বলে?

উঃ- যে ব্যাপ্তিতে ব্যাপ্য ও ব্যাপক এর সম্বন্ধ অসমান বোঝায় 

তাকে বিষমব্যাপ্তি বলে। 

৮. ব্যপ্তি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন স্তরগুলি কি কি? 

উঃ- 6 প্রকার। যথা- অন্বয়, ব্যতিরেক,ব্যভিচারাগ্রহ, উপাধি নিরাস, তর্ক ও সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ।

৭. অন্বয় কাকে বলে? 

উঃ- দুটি বিষয়ের মধ্যে একত্র উপস্থিতির মিল দেখে তাদের মধ্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধ আছে বলা যায়। 

৮. অন্বয় কথার অর্থ কি?

 উঃ- মিল বা সাদৃশ্য। 

৯. ব্যতিরেক কথার অর্থ কি?

উঃ- ব্যতীত বা ছাড়া।

১০. ব্যতিরেক কাকে বলে? 

উঃ- দুটি বিষয়ের মধ্যে একত্র অনুপস্থিতির মিল দেখে তাদের ব্যাপ্তি সম্বন্ধ আছে বলা যায়। 

১১.ব্যভিচারাগ্রহ কাকে বলে? 

উঃ- দুটি বিষয়ের মধ্যে একটি উপস্থিত আছে এবং অন্যটি অনুপস্থিত এমন বিপরীত দৃষ্টান্ত যদি না দেখি তাহলে তাদের মধ্যে ব্যপ্তি সম্বন্ধ আছে বলা যায়। 

১২. ব্যভিচার কথার অর্থ কি?

উঃ- বিপরীত দৃষ্টান্ত।

১৩. আগ্রহ কথার অর্থ কি?

উঃ- অদর্শন বা না দেখা।

১৪. উপাধি নিরাস বলতে কী বোঝো? 

উঃ- দুটি বিষয়ের মধ্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠার শর্তহীন বোঝায়।

১৫.উপাধি কথার অর্থ কি?

উঃ- শর্ত।

১৬. নিরাস কথার অর্থ কি?

উঃ- নিরসন।

১৭. উপাধি নিরাস কি?

 উঃ- শর্ত না থাকাকে বোঝায়। 

১৮. ভূয়ো দর্শন কাকে বলে?

 উঃ- দুটি বিষয়ের একত্র উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির মিল বারবার দেখে তাদের ব্যপ্তি সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করা যায় যাকে ভূয়ো দর্শন বলে। 

১৯. তর্ক কি?

 উঃ- তর্ক হলো মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের বিরুদ্ধে বচনকে অসত্য প্রমাণ করে মূল বচনের সত্যতা প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি। 

২০. সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে?

উঃ- যখন কোনো বস্তু বা বিষয়কে দেখে তার জাতির প্রত্যক্ষণ হয় তাকে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে। 

নির্বিকল্পক ও সবিকল্পক প্রত্যক্ষের পার্থক্য

২১. সামান্য কথার অর্থ কি?

উঃ-  সমগ্র জাতি। 

২২.ন্যায় মতে অনুমান কয় প্রকার ও কি কি?

উঃ- দুই প্রকার। যথা-  স্বার্থানুমান ও পরার্থানুমান।

২৩. স্বার্থানুমান কাকে বলে?

 উঃ- নিজ জ্ঞানলাভের প্রয়োজনে যে অনুমান করা হয় তাকে স্বার্থানুমান বলে।

২৪. স্বার্থানুমানের কয়টি অবয়ব বা অংশ থাকে?

 উঃ- তিনটি। যথা- প্রধান আশ্রয় বাক্য, অপ্রধান আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত। 

২৫. ত্রিঅবয়বী ন্যায় কাকে বলে?

উঃ- স্বার্থানুমানকে। কারণ এখানে তিনটি অবয়ব থাকে। 

২৬. পরার্থানুমান কাকে বলে?

 উঃ- নিজ জ্ঞান লাভের বিষয়টি অন্যকে বোঝানোর প্রয়োজনে যে অনুমান করা হয়। 

২৭. পরার্থানুমানের কয়টি অবয়ব থাকে ও কি কি?

 উঃ- পাঁচটি অবয়ব থাকে। যথা- প্রতিজ্ঞা, হেতু,উদাহরণ,উপনয় ও নিগমন বা সিদ্ধান্ত।

২৮. প্রতিজ্ঞা বাক্যের উদাহরণ দাও। 

উঃ- পর্বতটি হয় বহ্নিমান।

২৯. হেতু বাক্যের উদাহরণ দাও।

 উঃ- পরবর্তী হয় ধূমবান।

৩০. ন্যায় দর্শন অনুযায়ী “মান” কথার অর্থ কি? 

উঃ- জ্ঞান

৩১. ন্যায় দর্শন অনুযায়ী “অনু” শব্দের অর্থ কি?

 উঃ- পরবর্তী। 

৩২. ন্যায় দর্শন অনুযায়ী “মিতি” শব্দের অর্থ কি? 

উঃ- জ্ঞান। 

৩৩. অনুমিতি শব্দের আক্ষরিক অর্থ কি?

উঃ-  পশ্চাদ্বর্তী জ্ঞান।

৩৪. ব্যাপ্তি জ্ঞান যে জ্ঞানের করণ তাকে কি বলে?

 উঃ- অনুমিতি। 

৩৫. অন্য জ্ঞানের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানকে কি বলা হয়?

উঃ- অনুমিতি। 

৩৬. “দূরে পাহাড়ে ধূম আছে,সুতরাং সেখানে আগুন আছে”- এটি কি জ্ঞান?

 উঃ- অনুমান। 

৩৭. পক্ষ কাকে বলে? 

উঃ- যে পদার্থে সাধ্যের উপস্থিতি সম্পর্কে সংশয় থাকে। 

৩৮. কোনো কিছুর অনুমান করা হয় কোন অধিকরণে?

উঃ- পক্ষ। 

৩৯. যেখানে সাধ্যের সিদ্ধি করা হয় সেটি কি? 

উঃ- পক্ষ।

৪০. যে পদার্থকে অনুমান করা হয় তাকে কি বলে?

 উঃ- সাধ্য।

ন্যায় সম্মত প্রত্যক্ষের লক্ষণ

৪১. সাধ্য কাকে বলে?

 উঃ- যে পদার্থের দ্বারা পক্ষে সাধ্যকে অনুমান করা হয়। 

৪২. “সন্ধিগ্ধসাধ্য” কথার অর্থ কি?

উঃ- যে সাধ্য সংশয়ের বিষয়। 

৪৩. যে পদার্থের দ্বারা পক্ষে সাধ্যকে অনুমান করা হয় তাকে কি বলে?

উঃ- হেতু।

৪৪. হেতুর অপর নাম কি?

উঃ- লিঙ্গ। 

৪৫. অনুমানের কোন পদকে সাধন বলা হয়?

উঃ- হেতু পদকে।

৪৬. হেতু কাকে বলে?

উঃ- যে পদার্থের দ্বারা পক্ষে সাধ্যকে অনুমান করা হয়। 

৪৭. পক্ষসত্ত্ব কি?

উঃ-  পক্ষে হেতু থাকার ধর্মকে বোঝায়। 

৪৮. ন্যায় দর্শন অনুযায়ী যেখানে সাধ্যের নিশ্চিত জ্ঞান থাকে তাকে কি বলা হয়? 

উঃ- স্বপক্ষ।

৪৯. ন্যায় দর্শন অনুযায়ী অনুমানের যে স্থানে সাধ্যের অভাবের নিশ্চিত জ্ঞান থাকে তাকে কি বলা হয়? 

উঃ- বিপক্ষ। 

৫০. ন্যায় মতে সৎ হেতুর বৈশিষ্ট্য কয়টি?

উঃ- পাঁচটি। 

৫১. ন্যায় মতে বিপক্ষে হেতুর অনুপস্থিতিকে কি বলে?

উঃ- বিপক্ষাসত্ত্ব।

৫২. হেতু ও সাধ্যের সাহচর্য নিয়মকে কি বলে?

উঃ- ব্যাপ্তি। 

৫৩. হেতু ও সাধ্যের মধ্যে নিয়ত ও সমানাধিকরনের সম্পর্ককে কি বলে!

উঃ- ব্যপ্তি। 

৫৪. বহ্নি ও ধুমের ব্যাপ্তি সম্বন্ধটি কি ধরনের ব্যাপ্তির উদাহরণ?

উঃ- উপাধিযুক্ত ব্যপ্তি।

৫৫. অসমব্যাপক দুটি পদার্থের মধ্যে যে ব্যপ্তি সম্বন্ধ তাকে কি বলে?

উঃ- অসমব্যাপ্তি।

৫৬. ব্যাপ্তিগ্রহ কি?

উঃ- ব্যাপ্তি লাভের জ্ঞান। 

৫৭. ব্যাপ্তি নির্ণয়ের প্রথম স্তর কোনটি?

উঃ- অন্বয়। 

৫৮. দুটি বিষয়ের একত্র অনুপস্থিতির ঐক্যকে কি বলা হয়?

উঃ- ব্যতিরেক। 

৫৯. ব্যাপ্তি নির্ণয়ের তৃতীয় স্তর কোনটি? 

উঃ- ব্যভিচারাগ্রহ। 

৬০. দুটি পদার্থের সহচার বারবার দর্শন করাকে কি বলা হয়?

উঃ- ভূয়ো দর্শন। 

চার্বাক কর্তৃক অনুমান, প্রমাণ, খন্ডন

৬১. পরামর্শ কথার অর্থ কি? 

উঃ- ব্যাপ্তিবিশিষ্ট পক্ষধর্মতা জ্ঞান।

৬২. ন্যায় মতে পক্ষে হেতুর প্রত্যক্ষ বা অবস্থানকে কি বলা হয়? 

উঃ- পক্ষধর্মতা।

৬৩. যে অনুমিতিকে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না সেটি কোনটি? 

উঃ- পরার্থানুমিতি।

৬৪. পঞ্চাবয়বী ন্যায় মেনেছেন কারা?

উঃ- নৈয়ায়িকরা।

৬৫. উদাহরণ কাকে বলে?

উঃ- যে বাক্য ব্যপ্তি প্রতিপাদন করে। 

৬৬. যে বাক্য দৃষ্টান্তসহ ব্যপ্তি বা সাহচর্যের নিয়ম জ্ঞাপন করে তাকে কি বলা হয়?

 উঃ- উদাহরণ।

৬৭. যে বাক্য ব্যপ্তিবিশিষ্ট হেতু বা লিঙ্গ প্রতিপাদন করে তাকে কি বলে? 

উঃ- উপনয়।

৬৮. পঞ্চাবয়বী ন্যায়ের যে বাক্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধ প্রতিপাদন করা হয় তাকে কি বলা হয়?

 উঃ- উদাহরণ বাক্য। 

৬৯. যে বাক্য সাধ্যবিশিষ্ট পক্ষের প্রতিপাদক তাকে কি বলে?

 উঃ- নিগমন। 

৭০. পরার্থানুমানে সাধ্যকে প্রমাণ করে কোন বাক্য?

 উঃ- নিগমন।

৭১. সাধ্য ব্যাপ্য হেতু পক্ষে আছে, এটি উল্লেখ থাকে পরার্থানুমানের কোন বাক্যে?

 উঃ- উপনয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top