বচনের স্বরূপ
বাক্য ও বচনের মধ্যে পার্থক্য
1. বাক্য হলো অর্থ যুক্ত শব্দ বা শব্দের সমষ্টি।
1. বচন হল দুটি পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি।
2. বচনের চারটি অংশ থাকে। যথা- পরিমাণ, উদ্দেশ্য, বিধেয় ও সংযোজক।
3. বাক্যের নির্দিষ্ট আকার নেই ।যেমন -যাও, তুমি যাও ,তুমি নিয়ে যাও ইত্যাদি।
3. বচনের নির্দিষ্ট আকার আছে। যেমন- কোনো কোনো মানুষ হয় শিল্পী। কোনো মানুষ নয় অমর ইত্যাদি।
4. বাক্য বিভিন্ন প্রকার হয় ।যেমন- নির্দেশ মূলক, প্রশ্ন বোধক ,আদেশ মূলক ইত্যাদি।
4. বচন কেবল নির্দেশক বা ঘোষক বাক্যগুলি হয়।
5. বাক্য অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ যে কোন কালের হয়। যেমন- রাম রাজা ছিলেন (অতীত)।
5. বচন কেবলমাত্র বর্তমানকালের হয় ।যেমন- রাম হয় ব্যক্তি যিনি রাজা ছিলেন।
6. বাক্যের ক্ষেত্রে সত্য- মিথ্যার প্রশ্ন নেই।
6. বচনে সত্য-মিথ্যা নির্ণয় এর প্রশ্ন থাকে।
7. বাক্যের নঙর্থক চিহ্নটি বিধেয়র অংশ রূপে প্রকাশ পায়।
7. বচনে নঙর্থক চিহ্নটি সংযোজকের অংশরূপে প্রকাশ পায় ।
8. বাক্যের ব্যাপ্তি বচন এর থেকে বেশি।
8. বচন এর ব্যপ্তি বাক্যের থেকে কম।
9. সব বচন বাক্য হয়।
9. সব বাক্য বচন নয়।
10. বাক্যে গুণ পরিমাণ এর উল্লেখ থাকে না। যেমন- মানুষ মরণশীল ।
10. বচনে গুণ -পরিমাণ অবশ্যই উল্লেখ থাকবে। যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল। কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ।