একাদশ শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় এর “চার্বাক কর্তৃক অনুমান, প্রমাণ, খন্ডন” থেকে সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর দেওয়া হল।
চার্বাক কর্তৃক অনুমান, প্রমাণ, খন্ডন
১. চার্বাক দর্শনকে বেদ নিন্দুক বলেছেন কে?
উঃ- মনু।
২. আধ্যাত্মবাদী দর্শনের বিপরীত মতবাদ কোনটি?
উঃ- জড়বাদ।
৩. কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে জড়ই চরম ও পরমতত্ত্ব?
উঃ- চার্বাক।
৪. দুর্যোধনের সখারূপে চার্বাক রাক্ষসের উল্লেখ কোথায় আছে?
উঃ- মহাভারতে।
৫. কোথায় চার্বাকদের অসূর নামে অভিহিত করা হয়েছে?
উঃ- বিষ্ণুপুরাণে।
৬. কোন বেদ থেকে চার্বাক মত শুরু হয়েছে?
উঃ- ঋকবেদ থেকে।
৭. একজন চার্বাক পন্ডিতের নাম বলুন।
উঃ- জয়রাশি।
৮. চার্বাক দর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কী?
উঃ- তত্ত্বোপপ্লবসিংহ।
৯. “বার্হ্যস্পত্যসূত্রম” কার লেখা?
উঃ- দেবগুরু বৃহস্পতি।
১০. চার্বাক দর্শন অন্য কোন দর্শন নামে পরিচিতি?
উঃ- বার্হ্যস্পত্যদর্শন।
১১. কোন দর্শনকে বাস্তবমুখী দর্শন বলা হয়?
উঃ- চার্বাক দর্শনকে।
১২. চার্বাক দর্শনকে “লোকায়ত দর্শন” বলা হয় কেন?
উঃ- চার্বাকদের চিন্তা প্রত্যক্ষ জগতেই সীমাবদ্ধ এবং তারা পরলোক, ঈশ্বর, আত্মা ইত্যাদি কিছুই মানে না। সেজন্য তাদের দর্শনকে লোকায়ত দর্শন বলা হয়।
১৩. লোকায়ত দর্শন অনুযায়ী “লোক” কথার অর্থ কি?
উঃ- জগত।
১৪. চার্বাকদের কোন সম্প্রদায়কে “আদি চার্বাক” বলা হয়?
উঃ- বৈতণ্ডিক সম্প্রদায়কে।
১৫. “বৈতণ্ডিক” কথাটি কোথা থেকে এসেছে?
উঃ- বিতণ্ডা থেকে। এর অর্থ হল তর্ক।
১৬. সবচেয়ে বেশি পরিচিত চার্বাক উপসম্প্রদায়টি কি?
উঃ- ধূর্ত চার্বাক।
১৭. ধূর্ত চার্বাক সম্প্রদায় কোন প্রমাণকে মেনেছেন?
উঃ- প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
১৮. ধূর্ত চার্বাকরা কি কি নামে পরিচিত?
উঃ- স্থূল চার্বাক,দেহাত্মবাদী, উচ্ছেদবাদী নামে পরিচিত।
১৯. সুশিক্ষিত চার্বাক সম্প্রদায় এর মতে আত্মা কি?
উঃ- কারো মতে “ইন্দ্রিয়ই আত্মা” তাই তারা ইন্দ্রিয়াত্মবাদী, কারো মতে “প্রাণই আত্মা” তাই তারা প্রাণাত্মবাদী, কারো মতে “মনই আত্মা” তাই তারা মনাত্মবাদী।
১৯. চার্বাক দর্শনের যৌক্তিক ভিত্তি কি?
উঃ- জ্ঞানতত্ত্ব।
২০. চার্বাক জ্ঞান বিদ্যার অপর নাম কি?
উঃ- প্রত্যক্ষবাদ।
দর্শন শব্দের অর্থ | ভারতীয় দর্শন | Class -11, Semester 1 | P-1, Philosophy Notes
২১. চার্বাক জ্ঞানতত্ত্বের মূলনীতি কি?
উঃ- প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ।
২২. চার্বাক মতে যথার্থ জ্ঞানের উৎস কি?
উঃ- প্রত্যক্ষ।
২৩. কোন দর্শনকে “প্রত্যক্ষ প্রমাণবাদী” দর্শন বলা হয়?
উঃ- চার্বাক দর্শনকে।
২৪. “অনুমান প্রমাণ নয়”- একথা কে বলেছেন?
উঃ- চার্বাক।
২৫. চার্বাকরা কিসের দ্বারা অনুমান প্রমাণ অস্বীকার করেছে?
উঃ- প্রত্যক্ষের দ্বারা।
২৬. অনুমানের অবয়ব কয়টি ও কি কি?
উঃ- তিনটি। যথা- প্রধান আশ্রয়বাক্য, অপ্রধান আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত।
২৭. অনুমানের কয়টি পদ থাকে ও কি কি?
উঃ- তিনটি পদ থাকে। যথা- পক্ষপদ, সাধ্য পদ ও হেতু পদ।
২৮. অনুমানের আকারগত ভিত্তি কি?
উঃ- ব্যাপ্তি।
২৯. “ব্যাপ্তি জ্ঞান সম্ভব নয়”- একথা কে বলেছেন?
উঃ- চার্বাক।
৩০. কোন সম্প্রদায় এর মতে “শব্দ প্রমাণ নয়”?
উঃ- চার্বাক।
৩১. “বেদ-বাক্য অর্থহীন”- একথা কারা বলেছেন?
উঃ- চার্বাকরা।
৩২. “বেদভণ্ড পুরোহিতদের রচনা”- এটি কাদের উক্তি?
উঃ- চার্বাকদের।
৩৩. ভারতীয় দর্শনের দুঃসাহসী চিন্তার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কোনটি?
উঃ- চার্বাক সম্প্রদায়।
৩৪. মাধবাচার্য কোন গ্রন্থে চার্বাকদের “নাস্তিক শিরোমণি” বলে উল্লেখ করেছেন?
উঃ- সর্বদর্শনসংগ্রহ।
৩৫. চার্বাকরা কর্মফল, পাপ,পুণ্য,স্বর্গ-নরক,ঈশ্বর,আত্মা, পুনর্জন্ম কোনো কিছু স্বীকার না করায় তাদের কি বলা হয়?
উঃ- নাস্তিক শিরোমণি।
৩৬. আধ্যাত্মবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদ স্বরূপ কোন দর্শনের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়?
উঃ- চার্বাক দর্শনে।
৩৭. যে মতবাদ অনুযায়ী আধ্যাত্মিক সত্তাই জগতের মূল তত্ত্ব তাকে কি বলা হয়?
উঃ- আধ্যাত্মবাদ।
৩৮. “ঈশ্বর,দেহাতিরিক্ত আত্মা, জন্মান্তরবাদ, কর্মবাদ এবং বেদের প্রামাণ্যকে স্বীকার করেন কারা”?
উঃ- আধ্যাত্মবাদীরা।
৩৯. আধ্যাত্মবাদ, উগ্র- ব্রাহ্মণধর্ম ও পুরোহিততন্ত্র এই সমস্ত কিছু অস্বীকার করেন কারা?
উঃ- চার্বাকগণ।
৪০. রামায়ণের “অযোধ্যাকাণ্ড”, মহাভারতের “শান্তিপর্ব”, “মনুসংহিতায়” কোন দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়?
উঃ- চার্বাক দর্শনের।
ভারতীয় দর্শন সম্প্রদায়গুলির শ্রেণীবিভাগ | Class XI Philoshopy Notes, Semester-I | Part- I
৪১. জড়বাদীদের নাস্তিক এবং পাষণ্ড বলা হয়েছে কোথায়?
উঃ- মনুসংহিতায়।
৪২. “অসুরদের বিনাশের জন্য দেবগুরু বৃহস্পতি জড়বাদ প্রবর্তন করেছিলেন” -এটি কোথায় ব্যাখ্যা করা আছে?
উঃ- মৈত্রী উপনিষদে।
৪৩. “ন্যায়মঞ্জরী” কার লেখা?
উঃ- জয়ন্তভট্ট।
৪৪. “বেদান্তসূত্র ভাষ্য”-এর রচয়িতা কে?
উঃ- শঙ্কর।
৪৫. “জড়” কে চরম তত্ত্ব বলে ঘোষণা করেছিলেন কে?
উঃ- ঋষি বৃহস্পতি।
৪৬. “চার্বাক দর্শনম্”-এর রচয়িতা কি?
উঃ- সায়নমাধব।
৪৭. “চার্বাক” শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ কি?
উঃ- চারুবাক্।
৪৮. “চারু” কথার অর্থ কি?
উঃ- মধুর।
৪৯. “বাক্” শব্দটির অর্থ কি?
উঃ- কথা।
৫০. যাদের কথা শ্রুতিমধুর বা সুন্দর তাদের কি বলে?
উঃ- চার্বাক সম্প্রদায়।
৫১. “চার্বাক” শব্দটি কোন ধাতু থেকে এসেছে?
উঃ- চর্ব ধাতু থেকে।
৫২. “চর্ব” কথাটির অর্থ কি?
উঃ- চর্বন।
৫৩. “বিতন্ডা” কথাটির অর্থ কি?
উঃ- তর্ক।
৫৪. কোন চার্বাক সম্প্রদায় কোনো প্রমাণ স্বীকার করেন না?
উঃ- বৈতণ্ডিক চার্বাক সম্প্রদায়।
৫৫. সবচেয়ে বেশি পরিচিত চার্বাক উপসম্প্রদায় কোনটি?
উঃ- ধূর্ত চার্বাক।
৫৬. সবচেয়ে বেশি মার্জিত চার্বাক সম্প্রদায়কে কি বলা হয়?
উঃ- সুশিক্ষিত চার্বাক।
৫৭. চার্বাক সম্প্রদায়ের মধ্যে বুদ্ধিশীল,সামাজিক এবং প্রগতিশীল সম্প্রদায় কোনটি?
উঃ- সুশিক্ষিত চার্বাক।
৫৮. অনুমানকে স্বীকার করলেও ঈশ্বর,আত্মা, পরলোক, পুনর্জন্ম ইত্যাদি অস্বীকার করেন কোন চার্বাক সম্প্রদায়?
উঃ- সুশিক্ষিত চার্বাক সম্প্রদায়।
৫৯. চার্বাক দর্শনের যৌক্তিক ভিত্তি কি?
উঃ- জ্ঞানতত্ত্ব।
৬০. জ্ঞানের উৎস, সীমা, জ্ঞানের স্বরূপ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় কোথায়?
উঃ- জ্ঞানতত্ত্বে।
৬১. চার্বাক জ্ঞানবিদ্যার অপর নাম কি?
উঃ- প্রত্যক্ষবাদ।
৬২. চার্বাকগণ “প্রত্যক্ষ” শব্দের দ্বারা কাদের বুঝিয়েছেন?
উঃ- প্রমা ও প্রমাণ উভয়কে।
৬৩. চার্বাক মতে যথার্থ জ্ঞানের উৎস কি?
উঃ- প্রত্যক্ষ।
৬৪. চার্বাকরা প্রত্যক্ষের বাইরে সমস্ত বিষয় কে কি বলে বিশ্বাস করেন?
উঃ- সংশয়াত্মক।
৬৫. চার্বাক মতে প্রত্যক্ষ জ্ঞান কিসের দ্বারা উৎপন্ন হয়?
উঃ- ইন্দ্রিয় সন্নিকর্ষ।
৬৬. “অর্থ” বলতে কী বোঝায়?
উঃ- বিষয়।
৬৭. “সন্নিকর্ষ” শব্দের অর্থ কি?
উঃ- সংযোগ।
৬৮. “টেবিল নামক বস্তুটি দেখে আমার এরকম জ্ঞান হল, এটি হয় টেবিল”- এই প্রকার জ্ঞানকে কি বলা হয়?
উঃ- প্রত্যক্ষ।
৬৯. যে অনুভব সরাসরি লাভ করা যায় ও যে অনুভব পূর্বার্জিত কোনো কোনো অনুভবের উপর নির্ভর করে না তাকে কি বলা হয়?
উঃ- অপরোক্ষ অনুভব।
৭০. “চক্ষুর দ্বারা টেবিলের জ্ঞান”- এই প্রকার জ্ঞান কিসের উদাহরণ?
উঃ- অপরোক্ষ জ্ঞান।
৭১. সম্যক কথাটির অর্থ কি?
উঃ- বিপর্যয় শূন্য।
৭২. যে বিষয়ে জ্ঞান পূর্বে হয়নি তাকে কি জ্ঞান বলা হয়?
উঃ- অনধিগত জ্ঞান।
৭৩. অনুমানের অবয়ব কয়টি?
উঃ- তিনটি।
৭৪. “ব্যাপ্তিজ্ঞান সম্ভব নয়”- একথা বলেছেন কারা?
উঃ- চার্বাকরা।
৭৫. চার্বাক দার্শনিকদের মতে, অনুমানের সাহায্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধের জ্ঞান হয়- এমন বলা হলে কোন দোষের উদ্ভব হয়?
উঃ- অনবস্থা দোষের।
৭৬. অনুমানকে প্রমাণ হিসেবে স্বীকার না করার জন্য চার্বাক মতবাদ কিসে পর্যবসিত হয়?
উঃ- নির্বিচারবাদে।
৭৭. “শব্দ” কথার অর্থ আপ্তপুরুষের বাক্য- মতটি কোন সম্প্রদায়ের?
উঃ- ন্যায় সম্প্রদায়ের।
৭৮. আপ্তপুরুষ বা বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির কাছ থেকে লাভ করা জ্ঞানকে ভারতীয় দর্শনে কি বলা হয়?
উঃ- শাব্দিক জ্ঞান।
৭৯. চার্বাক মতে, বেদ রচনা করেছেন কারা?
উঃ- ধূর্ত পুরোহিত।
অন্যান্য নোটস
- দর্শন নোটস- প্রথম অধ্যায়
- দর্শন নোটস- দ্বিতীয় অধ্যায়
- দর্শন নোটস- তৃতীয় অধ্যায়