বাক্যতত্ত্ব | দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা নোটস PDF |

বাক্যতত্ত্ব


 বাক্যতত্ত্ব

 

1.   
বাক্যতত্ত্ব বলতে
কী বোঝো
?

       ভাষা বিজ্ঞানের যে শাখায়
বাক্যস্থিত শব্দগুলির বিন্যাস
,জোটবদ্ধ
হওয়ার রীতি এবং সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে তাকে বাক্যতত্ত্ব বলে। অর্থাৎ বাক্যতত্ত্ব
বাক্যের পদের
  সঙ্গে পদের সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের সৌজন্যে জোটবদ্ধ হয়ে
একাধিক পদ কিভাবে বাক্য তৈরি করে সেই প্রক্রিয়ার নানান দিক নিয়ে আলোচনা করে।

 

2. বাক্য কাকে বলে?

       ভাষার কতগুলি নির্বাচিত
উপাদান বা শব্দ বাক্যবিধি অনুযায়ী পাশাপাশি বসে যখন একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে
বা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করে
, তবে সেই পদসমষ্টিকে বাক্য বলে।

যেমন-
রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি রচনা করেন।

 

 

3. গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত রকমের হয়? উদাহরণসহ আলোচনা করো।

গঠনগত দিক
থেকে বাক্য তিন রকমের-

১. সরল
বাক্য

২. জটিল
বাক্য

৩. যৌগিক
বাক্য

 

১. সরল
বাক্য:
যে বাক্যে একটি উদ্দেশ্য এবং একটিমাত্র বিধেয় থাকে বা একটি উদ্দেশ্য এবং
একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।

যেমন-
ছাত্রীরা বই পড়ে।

একটি উদ্দেশ্যের মধ্যে একাধিক কর্তা থাকলেও তা সরল বাক্য
রূপে গণ্য হয়।

যেমন- আমি
সাইকেলে আর ভাই রিক্সা চড়ে স্কুলে যাই।

সরল বাক্যে একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকলেও একাধিক অসমাপিকা ক্রিয়া থাকতে পারে।

যেমন-
ছেলেরা ফুল ছিঁড়ে
, ফল পেড়ে,ডাল ভেঙে তছনছ করত।বাক্যটিতে ছিঁড়ে,পেড়ে, ভেঙে প্রভৃতি
অসমাপিকা ক্রিয়া থাকলেও সমাপিকা ক্রিয়া একটিই তাই এটি সরল বাক্য।

 

২. জটিল
বাক্য:
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য বা উপবাক্য থাকে এবং এক বা একাধিক আশ্রিত
বা অপ্রধান খন্ড বাক্য থাকে তাকে জটিল বাক্য বলে।উদ্দেশ্য সম্পর্কিত মূল বক্তব্যটি
যে অংশে থাকে তা প্রধান খণ্ডবাক্য এবং প্রধান খন্ড বাক্যের গায়ে হেলান দিয়ে বা
আশ্রয় করে যে খণ্ডবাক্য গুলি থাকে তাদেরকে অপ্রধান খন্ড বাক্য বলা হয়।

উদাহরণ- যে
ভালো পড়াশোনা করে সে ভালো ফল করে।বাক্যটিতে উদ্দেশ্য সম্পর্কে মূল বক্তব্য হল-
“সে ভালো ফল করে” এটি প্রধান খণ্ডবাক্য আর ভালো ফল করার শর্ত বা
উদ্দেশ্যের বিশেষণ হিসেবে “যে ভালো পড়াশোনা করে” এই আশ্রিত বাক্যটি
ব্যবহৃত হয়েছে।

 

৩. যৌগিক
বাক্য:
যে বাক্যে একাধিক সরল বা জটিল বাক্য সংযোজক বা বিয়োজক দিয়ে যুক্ত থাকে
তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

 

উদাহরণ- আমি
নিয়মিত স্কুলে যাই এবং মন দিয়ে পড়াশোনা করি। বাক্যটিতে “আমি নিয়মিত
স্কুলে যাই” আর “মন দিয়ে পড়াশোনা করি” এই দুটি স্বাধীন সরলবাক্য
“এবং” সংযোজক দিয়ে যুক্ত হয়েছে। ফলে এটি একটি যৌগিক বাক্য হয়ে উঠেছে।

উদাহরণ-
“আমি নিয়মিত স্কুলে যাই এবং যে সব বিষয়ের পড়া থাকে তা মন দিয়ে
পড়ি”। বাক্যটিতে একটি সরল বাক্য এবং একটি জটিল বাক্য সংযোজক দিয়ে যুক্ত
হয়েছে- এটি ও যৌগিক বাক্য।


 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *