অলৌকিক গল্পে অলৌকিক কাহিনীটি কি? গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত- কোন গল্পের কথা বলা হয়েছে? দ্বাদশ শ্রেণি নোটস |



Note With PDF | *অলৌকিক
গল্পে অলৌকিক কাহিনীটি কি? 
অথবা “গল্পটা
শুনতে বেশ ভালো লাগছিলো”- কোন গল্পটি? 
অথবা “বিশ্বাস
হলো না”- কোন ঘটনাটি বিশ্বাস হলো না? 
অথবা “গল্পটা
মনে পড়লেই হাসি পেত”- কোন গল্পের কথা বলা হয়েছে? 
অথবা “গল্পটা
আমাদের স্কুলে শোনানো হল”- কোন গল্পটি শোনানো হল? 

              বিখ্যাত কথাশিল্পী কর্তার সিং দুগগাল এর “অলৌকিক”
গল্পে এক কৌতুহলী কিশোর ওরফে লেখক তার মায়ের কাছে একটি গল্প শুনেছিলেন ।

          কোন এক
উষ্ণতম দিনে গুরু নানক তার শিষ্যদের নিয়ে পথ চলতে চলতে জনমানব শূন্য হাসান আব্দাল
এর রুক্ষ জঙ্গলে এসে পৌঁছান। সেখানে মর্দানা নামে তার এক
  অনুচর অত্যন্ত তৃষ্ণা কাতর হয়ে পড়ে।তাকে বোঝানোর
শত চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নানক ধ্যানে বসেন। চোখ খুলে তিনি তাকে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা
এলাকার একমাত্র জলপূর্ণ কুয়োর অধিকারী দরবেশ বলীকান্ধারীর
  কাছে জল প্রার্থনা করতে পাঠান। বলীকান্ধারী প্রথমে
তাকে জলদানে সম্মত হলেও মর্দানা “পীর নানকের সঙ্গী “একথা শুনেই ক্রুদ্ধ হয়ে
তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। এবং নানক সম্পর্কে কটূক্তি করেন। পরপর তিনবার এই ঘটনা
ঘটার পর
  মর্দানা মূর্ছিত প্রায়
হয়ে পড়ে। নানক তার পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস দিয়ে তাকে সামনের একটি পাথর সরাতে বলেন
এবং সেখান থেকেই জলের ঝর্ণা বেরিয়ে আসে। এ জল আসলে বলীকান্ধারীর
  কুয়োর জল। ফলে তার কুয়ো শুকিয়ে যায়। তিনি ক্রুদ্ধ
হয়ে নানকের উদ্দেশ্যে পাহাড়ের উপর থেকে একটি বড় পাথর গড়িয়ে
  দেন। গুরু সবাইকে “জয় নিরঙকার” ধ্বনি দিতে
বলেন এবং কাছে আসতেই পাথরটিকে হাত দিয়ে থামিয়ে দেন। গুরু নানকের হাতের ছাপ অঙ্কিত
হয়ে যায়। তাতে এবং তার নাম হয় পাঞ্জা সাহেব।

             ● গল্পটি
শুনে হাসি পাওয়া বা অবিশ্বাস করার কারন- সাধারণভাবে কার্যকারণ সম্পর্ক যুক্ত বাস্তবের
ভূমিতে সম্ভব এমন ঘটনাই
 
আধুনিক মানব এর কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা লাভ করে। এখানে পাহাড়ের চূড়া থেকে গড়িয়া আসা
প্রকাণ্ড পাথরখণ্ড যতই নিচের দিকে নামতে থাকবে ততই তীব্রতর হবে তার বেগ। কোন মানুষের
পক্ষেই তা থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এমন ঘটনা নজিরবিহীন। বাস্তবে কখনো ঘটেনি। তাছাড়া
পাথরের উপর আপনা থেকেই হাতের ছাপ মুদ্রিত হওয়া ও অবাস্তব। যদিও পাথরের নিচে থেকে জলের
ঝর্ণা বেরিয়ে আসা যুক্তিসিদ্ধ। কিন্তু এভাবে পতনশীল পাথরের চাঙরকে থামিয়ে দেওয়া
এবং তাতে হাতের চিহ্ন অঙ্কিত হওয়ার ঘটনা অবাস্তব এবং অবিজ্ঞান প্রসূত। কিশোর বা লেখক
 আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিক বোধসম্পন্ন যুক্তিবাদী মানুষ।
এই ঘটনার কোন বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিসিদ্ধ। কারণ খুঁজে পাননি তিনি। তাই এ ঘটনা তার কাছে
অলৌকিক বা অবিশ্বাস্য মনে হতো। আমরা জানি অসঙ্গতি-ই হাসির কারণ। যেহেতু ঘটনাটি বাস্তবে
অসম্ভব এবং অসঙ্গত তাই লেখক এর হাসিও পেত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top