সংক্ষিপ্ত ন্যায় কাকে বলে? ইহা কয় প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা সহ ব্যাখ্যা করো | ন্যায়ের যুক্তি গঠনের সিদ্ধান্ত নির্ণয় করার উপায় |

সংক্ষিপ্ত ন্যায় কাকে বলে? ইহা
কয় প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা সহ ব্যাখ্যা করো | ন্যায়ের যুক্তি গঠনের সিদ্ধান্ত
নির্ণয় করার উপায়
 | Class xii Philosophy Note with PDF |

 


সংক্ষিপ্ত ন্যায় কাকে বলে?

সংক্ষিপ্ত ন্যায়- যে  ন্যায়ের পূর্ণ
অবয়ব থাকে না তাকে সংক্ষিপ্ত ন্যায় বলে।

সংক্ষিপ্ত ন্যায় কয় প্রকার ও কি কি?

            সংক্ষিপ্ত ন্যায় চার প্রকার। যথা- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ধরনের
সংক্ষিপ্ত ন্যায়।

 বিস্তারিত আলোচনা সহ ব্যাখ্যা-

প্রথম ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায়- যে ন্যায়ে প্রধান আশ্রয়বাক্য উহ্য থাকে
তাকে প্রথম ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায় বলে। 

যেমন- সে সুখী। কেননা সে ধার্মিক।

দ্বিতীয় ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায়- যে ন্যায়ে অপ্রধান আশ্রয়বাক্য উহ্য
থাকে তাকে দ্বিতীয় ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায় বলে।

 যেমন- সে সুখী। কারণ ধার্মিক ব্যক্তিরাই সুখী হয়।

তৃতীয় ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায়– যে ন্যায়ের সিদ্ধান্ত বচন উহ্য থাকে তাকে
তৃতীয় ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায় বলে।

যেমন- প্রত্যেক ধার্মিক সুখী  এবং সে ধার্মিক।

চতুর্থ ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায়– যে ন্যায়ে একটিমাত্র বাক্যের মধ্যে সম্পূর্ণ
ন্যায়টি প্রচ্ছন্ন থাকে তাকে চতুর্থ ধরনের সংক্ষিপ্ত ন্যায় বলে। 

যেমন- লোকটি এতই দুর্বল
যে হাঁটতে পারে না।

ন্য   ন্যায়ের যুক্তি গঠনের সিদ্ধান্ত নির্ণয়
করার উপায়

a.  সুতরাং, অতএব, ফলে, ফলেই, কাজেই, সেহেতু ,সেজন্য, তাই, তাই বলা যায়-
ইত্যাদি এই জাতীয় শব্দ যুক্ত বাক্যটি অবশ্যই সিদ্ধান্ত বচন হয়।

b.
কেননা, কারণ- যুক্ত কোন বাক্য থাকলে তার ঠিক আগের বাক্যটি সিদ্ধান্ত বচন হয়।

c.
এবং ,ও, অথবা, হয় বা না হয়, কিংবা -ইত্যাদি এই জাতীয় শব্দ দিয়ে দুটি বাক্য
যুক্ত থাকলে তার কোনটাই সিদ্ধান্ত বচন হয় না। সেজন্য সেই দুটি ছাড়া অন্য বাক্যটি
সিদ্ধান্ত বচন হয়।

d.
যেহেতু- দিয়ে কোন বাক্য থাকলে সে ক্ষেত্রে যুক্তির অর্থ বুঝে সেহেতু- রূপ একটি
সিদ্ধান্ত বচন খুঁজে নিতে হয়।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top