[PDF] মিশ্র ন্যায় বা
যৌগিক যুক্তি |
যৌগিক যুক্তি
বা মিশ্র ন্যায় কাকে বলে?
যে ন্যায়ে ভিন্ন জাতীয় বচন দ্বারা গঠন করা হয় তাকে
মিশ্র ন্যায় বা যৌগিক যুক্তি বলে।
মিশ্র ন্যায় কয় প্রকার ও কি কি?
তিন প্রকার- প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়, বৈকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়, দ্বিকল্প
ন্যায়।
প্রাকল্পিক
নিরপেক্ষ ন্যায় কাকে বলে? এর গঠন কি? এটি কয় প্রকার ও কি কি? প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ
ন্যায়ের বৈধতার নিয়ম কি কি? এর বৈধ মূর্তি কি?
- প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়-
যে মিশ্র ন্যায়ের প্রধান আশ্রয় বাক্য প্রাকল্পিক
বচন এবং অপ্রধান আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্ত নিরপেক্ষ বচন দ্বারা গঠন করা হয়, তাকে প্রাকল্পিক
নিরপেক্ষ ন্যায় বলে।
যেমন- যদি মেঘ
হয় তবে বৃষ্টি হবে।
এমন যে মেঘ হয়েছে।
∴ এমন যে বৃষ্টি হয়েছে।
আকার- যদি P তবে Q
এমন যে P
∴ এমন যে Q
- গঠন ও বৈশিষ্ট্য-
i. এটি একপ্রকার
মাধ্যম যুক্তি।
ii. এটি এক প্রকার
মিশ্র ন্যায়।
iii. এই ন্যায়ের
প্রধান আশ্রয় বাক্যটি প্রাকল্পিক হয়।
iv. এর অপ্রধান
আশ্রয় বাক্য নিরপেক্ষ বচন হয়।
v. এর সিদ্ধান্তটিও
নিরপেক্ষ বচন হয়।
- শ্রেণীবিভাগ-
প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় দুই প্রকার।
যথা- গঠনমূলক ও
ধ্বংসমূলক।
- A.
গঠনমূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়-
এখানে “গঠনমূলক” বলতে স্বীকার অর্থে বোঝায়। তাই যে প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ
ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্যের পূর্বগকে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে
অনুগকে স্বীকার করা হয় তাকে গঠনমূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় বলে।
যেমন- যদি সূর্য ওঠে তবে আলো ফুটবে।
এমন যে সূর্য উঠেছে। (P)
∴ এমন যে আলো ফুটেছে। (Q)
গঠনমূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায় এর
বৈধতার নিয়ম-
এই
ন্যায়ের প্রধান আশ্রয় বাক্যের পূর্বগকে
অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে অনুগকে স্বীকার করলে যুক্তিটি বৈধ হয়।
সেই বৈধ মূর্তির নাম MODUS PONENS। সংক্ষেপে যাকে বলা হয় M.P
যেমন
– যদি বৃষ্টি পড়ে তবে মাটি ভিজবে।
এমন যে বৃষ্টি পড়েছে । (P)
∴
এমন যে মাটি ভিজেছে। (Q)
এটি একটি গঠনমূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়। এই ন্যায়ের
প্রধান আশ্রয় বাক্যের পূর্বগ অংশকে (বৃষ্টি হওয়া) অপ্রধান আশ্রয় বাক্যে স্বীকার
করে সিদ্ধান্তে অনুগ অংশকে (মাটি ভেজা) স্বীকার করায় যুক্তিটি বৈধ হয়েছে। তাই এর
বৈধ মূর্তির নাম MODUS PONENS ।
মনে রাখার বিষয় এই ন্যায়ে অপ্রধান আশ্রয় বাক্য দেখেই
যুক্তির বৈধতা নির্ণয় করতে হয়।
- ব্যতিক্রম-
কিন্তু এই গঠনমূলক ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্যের অনুগকে অপ্রধানে স্বীকার করে সিদ্ধান্তে
পূর্বগকে স্বীকার করলে যুক্তিটি অবৈধ হয়। এবং যুক্তিটিতে “অনুগ অস্বীকার জনিত
দোষ” দেখা যায়।
যেমন-
যদি বন্ধু আসে তবে আমি যাব।
এমন যে আমি যাব ।
∴
এমন যে বন্ধু এসেছে।
এই ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্যের অনুগকে অপ্রধানে
স্বীকার করে সিদ্ধান্তে পূর্বগকে
স্বীকার করায় যুক্তিটি অবৈধ হয়েছে এবং যুক্তিটিকে “অনুগ স্বীকার জনিত দোষ” বলে।
- B. ধ্বংস মূলক প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ ন্যায়- যে প্রাকল্পিক
নিরপেক্ষ ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্যের অনুগকে অপ্রধান আশ্রয় বাক্যে অস্বীকার করে
সিদ্ধান্তে পূর্বগকে অস্বীকার করা হয়।
বৈধতার নিয়ম- এই ন্যায়ে প্রধান আশ্রয় বাক্যের অনুগকে
অপ্রধানে অস্বীকার করে সিদ্ধান্তে পূর্বগকে
অস্বীকার করলে যুক্তিটি বৈধ হয়। এই বৈধ মূর্তির নাম MODUS TOLLENS । সংক্ষেপে M.T
যেমন- যদি রাম আসে তবে শ্যাম যাবে।
এমন নয় যে শ্যাম যাবে।
∴ এমন নয় যে রাম এসেছে।
- আকার- যদি P
তবে Q
এমন নয় যে Q
∴
এমন নয় যে P