সুয়েজ খালে: হাঙ্গর শিকার
প্লেগ সংক্রমণের সম্ভাবনায় লেখক ও তার সহযাত্রীদের
সমস্যা কি ছিল? অথবা “চব্বিশ ঘন্টা এইখানে পড়ে থাকো”- কোথায় কেন পড়ে থাকতে
হবে?
“সুয়েজখালে: হাঙ্গর শিকার” প্রবন্ধটি
পরিব্রাজক বিবেকানন্দের বিচিত্র ভ্রমণ অভিজ্ঞতার একটি ঝলক। দ্বিতীয়বার ইউরোপ ভ্রমণকালে
গোলকুণ্ডা জাহাজে চড়ে রেড সি পার হয়ে ১৪ই জুলাই সুয়েজ বন্দরে পৌঁছান। তখন মিশরে
প্লেগ এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সুয়েজ খাল ইউরোপের প্রবেশপথ। ইউরোপীয়রা সদাসতর্ক যাতে
মিশরীয় প্লেগ ইউরোপে সংক্রমিত না হয়। সুয়েজ বন্দরে মালপত্র নামানোর জন্য জাহাজকে
ভিড়তেই হলো কিন্তু প্লেগ সংক্রমণকে কেন্দ্র করে খালাসীসহ যাত্রীদেরকে এক জটিল সমস্যা
বা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
• সমস্যা 1: বন্দরের কুলিরাই সাধারণত মালপত্র নামায়,
কিন্তু প্লেগ সংক্রমনের ভয়ে কোনো মিশরীয় কুলিকে জাহাজ ছুঁতে দেওয়া হবে না। জাহাজের
খালাসিদেরকেই কুলি হয়ে ক্রেনে করে মালপত্র আলটপকা ফেলতে হচ্ছে সুয়েজি নৌকায়। এতে
বিপন্ন বেচারা খালাসিদের যেমন বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে, তেমনি অপটু হাতে কাজ করতে সময়ও
লাগছে প্রচুর।
• সমস্যা 2: প্লেগ
বিষ অর্থাৎ প্লেগের জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার দশ দিন পর আক্রান্ত রোগীর রোগলক্ষণ প্রকাশ
পায়। যেহেতু মিশরে ভয়ঙ্করভাবে প্লেগ এর সংক্রমণ ঘটেছে তাই কোন মিশরীয় ব্যক্তিকে
ছুঁয়ে ফেললে তাকে দশ দিন কারাঁটীন (Quarantine)অর্থাৎ জাহাজে আটক থাকতে হবে এবং নেপলস
ও মার্সাইতে কোনো লোককে নামতে দেওয়া হবে না – যাত্রীদের পক্ষে এ এক মহাসমস্যা।
• সমস্যা 3: সারাদিনে
মাল নামানো শেষ হলে রাত্রে জাহাজ চলতে পারতো কিন্তু সংকীর্ণ সুয়েজখালে জাহাজ রাত্রে
নির্বিঘ্নে চলাচল করার জন্য অবশ্যই বিজলি আলোর প্রয়োজন। সে আলো পরাতে হলে কোনো সুয়েজী
লোককে জাহাজ ছুঁতে হবে। কিন্তু প্লেগ সংক্রমনের ভয়ে সে আশা দুরাশাই রয়ে যায়। সুতরাং
মাল নামানোর পরেও রাত্রে জাহাজ চলতে পারবে না।
• সমস্যা 4: চতুর্থ
সমস্যাটি উক্ত তিনটি সমস্যারই ফল। অপটু হাতে মাল নামানো এবং অতি সতর্কতার কারণে ধীরগতিতে
মাল নামাতে সারা দিন সময় লেগে যাবে। বিজলি আলোর অভাবে আটকে থাকতে হবে সারারাত সুয়েজ
বন্দরে। ফলে যে সময় অপচয় হবে, সে সমস্যা ও প্লেগ সংক্রমণের কারণেই।
এভাবেই প্লেগ সংক্রমণ
প্রতিরোধে অতি সর্তকতা অবলম্বনের কারণে জাহাজের যাত্রীদের
সমস্যার কথা লেখক বাস্তবতার সাথে সরস উপস্থাপন করেছেন।
- “শিক্ষার সার্কাস” কবিতার মূল বক্তব্য/ কবির মনোভাব/ সব শিক্ষাকে সার্কাস বলার কারণ ব্যাখ্যা করো
- তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো |
- গুরু নাটকে সংগীত প্রয়োগের সার্থকতা দেখাও | গুরু নাটক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
- নুন কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের জীবন যন্ত্রণা।
- “নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়েই থাকে”- ছন্দ কি? কী নইলে ছন্দ মেলে না? ইতিহাসের পদটা কিভাবে খোঁড়া হয়ে থাকে?
- “তারা বলে ভয় করে যে কর্তা”- কারা এ কথা বলে? তাদের কিসের ভয়? কর্তা জবাবে কি বলেন?
- “কর্তার ভূত” কি নিছক ভূতের গল্প নাকি রাজনৈতিক রুপককাহিনী আলোচনা করো
- গুরু নাটকে গুরুর স্বরূপ বিশ্লেষণ কর | গুরু নাটক একাদশ শ্রেণি বাংলা নোটস |
- সাধু ও চলিত ভাষার সংজ্ঞা | সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য আলোচনা করো |