পাঠক্রম কয় প্রকার ও কি কি? জীবন কেন্দ্রিক পাঠক্রমের সম্পর্কে আলোচনা কর |

পাঠক্রমের প্রকারভেদ
(Different types of Curriculum)

পাঠক্রমকে মূলত দুটি
ভাগে
ভাগ করা হয়।

1. গতানুগতিক বা বিষয়মুখী পাঠক্রম।

2. আধুনিক পাঠক্রম।

 আধুনিক
পাঠক্রমকে আবার ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়।

                               
i.       
কর্মকেন্দ্রিক বা সক্রিয়তা ভিত্তিক পাঠক্রম।

                             
ii.       
 অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রম।

                           
iii.       
 জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রম।

                            
iv.       
অবিচ্ছন্ন পাঠক্রম।

                             
v.       
শিল্পকেন্দ্রিক পাঠক্রম।

                            
vi.       
কেন্দ্রীয় বা মূল পাঠক্রম।

 



জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রম
(Life Centred Curriculum) :

জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রমে
মূলত শিক্ষার্থীর জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তার শিক্ষণীয় পরিবেশের প্রতি লক্ষ্য রেখে
বিষয়বস্তু নির্বাচন করা হয়। এই পাঠক্রমে শিক্ষার্থীর দৈহিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক
প্রভৃতি দিকের বিকাশের উপযোগী বিষয়বস্তু রাখার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনশীল সমাজের বিভিন্ন
চাহিদা প্রত্যাশার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেয়। জন ডিউই-র বক্তব্য অনুসারে বলা যায়—শিক্ষা
ভবিষ্যৎ জীবনের প্রস্তুতি নয় ; জীবনের সঙ্গে একাত্ম সম্পর্কে আবদ্ধ (Education is
life itself, and not a preparation for life)। আর এই সম্বন্ধ স্থাপনে সহায়তা করার
জন্য যে বিষয়বস্তু নির্বাচিত হয় সেই বিষয়বস্তুই জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রম। সতরাং, যে
পাঠক্রম শিশুর জীবন প্রক্রিয়ার ও জীবন ধারণের পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত এবং তাদের
ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, তাকেই বলা হয় জীবনকেন্দ্রিক শিক্ষার পাঠক্রম।

 

জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রমের
বৈশিষ্ট্য

জীবনকেন্দ্রিক পাঠক্রমের
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল-

1.এই পাঠক্রম শিক্ষার্থীর বর্তমান জীবন এবং
ভবিষ্যৎ জীবনের সঙ্গে বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত।

2. দুই এই ধরনের পাঠক্রম শুধুমাত্র তথ্য নির্ভর
নয় বরং সমাজের প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ম ও অভিজ্ঞতা নির্ভর।

3. এই ধরনের পাঠক্রমে বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয়ে
নীতির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

4. এই পাঠক্রম শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত
করে।

5. এই পাঠক্রম শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা  সামগ্রিকতা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।

6. এটি শিক্ষার্থীর জ্ঞানমূলক অভিজ্ঞতার সঙ্গে
বাস্তব জীবনের সম্পর্ক স্থাপনের সহায়ক হয়।

7. সর্বোপরি
এই পাঠক্রম শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব,
আদর্শ প্রভূতির যথাযথ বিকাশের সহায়তা করে।

জীবন কেন্দ্রিক পাঠক্রম
যেহেতু শিক্ষার্থীর চাহিদাও আগ্রহকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে তাই এটি একটি আদর্শ ব্যবস্থা
বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু বাস্তব প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের পাঠক্রমেরও সীমাবদ্ধতা
বা ত্রুটি রয়েছে। কারণ মানব জীবনের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা যুক্ত করার
পরিকল্পনা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা যত সহজ তার বাস্তব রূপায়ণ তত সহজ নয়।

 

শিক্ষার্থীর উপর বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব

§  শিক্ষায় বংশগতি ও পরিবেশের গুরুত্ব (Importance of Heredity and Environment in Education)

§  শিক্ষকের ভূমিকা (The Role of the Teacher) 

§  শিক্ষকের কাজ ও দায়িত্ব (Function and Responsibilities of a Teacher)

§  ‘শিক্ষা’ বা Education’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ করো

§  প্রাচীন মতে শিক্ষা কী?

§  আধুনিক মতে শিক্ষা কী ?

§  আধুনিক যুগের শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করো

§  শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীর সুসংহত বিকাশ-উক্তিটি আলোচনা করো

§  শিক্ষার উদ্দেশ্য সংগতিবিধান বা অভিযোজন—উক্তিটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো

§  শিক্ষার ব্যপক অর্থ বলতে কী বোঝায় | ব্যপক অর্থে শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো

§  সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা ও ব্যাপক অর্থে শিক্ষার পার্থক্য লেখ

§  শিখনের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।

§  শিক্ষার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা করো

§  শিক্ষার লক্ষ্যের প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করো

§  শিক্ষার লক্ষ্য পরিবর্তনশীল কেন?

§  শিক্ষার সমাজতান্তিক লক্ষ্য বলতে কি বোঝ | সমাজতান্তিক লক্ষ্যের বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতি বা লক্ষ্যগুলি লেখ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
Instagram Group Join Now
Scroll to Top