সমুদ্রের অন্তহীন জলরাশিতে উৎপন্ন সমুদ্র তরঙ্গের
কাজ উপকূলভাগে অত্যন্ত স্পষ্ট। সাধারণত বাতাসের কারনে জলের পৃষ্ঠের ঘর্ষণের ফলে
সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্ট হয়। জা বিপুল শক্তি নিয়ে উপকূল ভাগে আঁচড়ে পড়ে এবং ক্ষয়, বহন ও
সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে।
কাজ উপকূলভাগে অত্যন্ত স্পষ্ট। সাধারণত বাতাসের কারনে জলের পৃষ্ঠের ঘর্ষণের ফলে
সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্ট হয়। জা বিপুল শক্তি নিয়ে উপকূল ভাগে আঁচড়ে পড়ে এবং ক্ষয়, বহন ও
সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে।
সামদ্রিক ক্ষয়ের প্রক্রিয়া সমূহ
মূলত ছয়টি প্রক্রিয়ায় উপকূল ভাগের সামদ্রিক
ক্ষয়কার্য ঘটে,-
ক্ষয়কার্য ঘটে,-
1. জলপ্রবাহ জনিত ক্ষয়-
প্রবাহিত জলে বিপুল পরিমাণে শক্তই থাকে, জা
হাতুড়ির মতো আঘাত করে উপকূলের শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে।
হাতুড়ির মতো আঘাত করে উপকূলের শিলাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে।
2. অবঘর্ষণ ক্ষয়- তটভূমিতে সমুদ্রতরঙ্গ বাহিত নুড়ি, পাথ্রের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে শিলাক্ষয় প্রাপ্ত
হয়।
হয়।
3. ঘর্ষণক্ষয়– তরঙ্গ বাহিত শিলাখণ্ড পারস্পারিক ঘর্ষণেও উপকুল ভাগে ক্ষয় সাধন হয়ে থাকে।
4. দ্রবন ক্ষয়- তরঙ্গের সঙ্গে রাসানিক বিক্রিয়ায় সাধারন ও চুনাপাথ্র, চক, ডলোমাইট ইত্যাদি
বিয়োজিত হয়ে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় অপসারিত হয়।
বিয়োজিত হয়ে দ্রবণ প্রক্রিয়ায় অপসারিত হয়।
এছাড়াও আবদ্ধ বায়ুর সংকোচণ, প্রসারণ ও ক্যাম্পোটিসের মাধ্যমেও উপকূল ভাগের ক্ষয় সাধন হয়ে থাকে।
সামদ্রিক ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ
সমুদ্র ভৃগু(Sea Cliff)- সমুদ্র তীরেপাড় ক্রমাগত সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাঁজের সৃষ্টি করে খাঁজটি
ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে খাঁড়া পাড় রূপে সমুদ্রের উপর ঝুলতে থাকে, একে সমুদ্র ভৃগু
বলে।
উদাহরণ – ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গোকর্ণা মনোরম
সুন্দর সমুদ্র ভৃগু, বিশাখাপত্তনামের ডলফিন নোজ।
সুন্দর সমুদ্র ভৃগু, বিশাখাপত্তনামের ডলফিন নোজ।
তরঙ্গ কর্কিত মঞ্চ- সমুদ্র তরঙ্গের
আঘাতে উপকূলের উচু খাঁড়া পাড় বা ভৃগু পিছু হঠতে থাকে যার ফলে মঞ্চের মতো যে প্রায়
স্মতল পৃষ্টের সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গ কর্কিত মঞ্চ
আঘাতে উপকূলের উচু খাঁড়া পাড় বা ভৃগু পিছু হঠতে থাকে যার ফলে মঞ্চের মতো যে প্রায়
স্মতল পৃষ্টের সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গ কর্কিত মঞ্চ
বলে।
উদাহরণ- উত্তর কঙ্কণ উপকূলে রাভাস নদীর দক্ষিণে
হাতিহরেশ্বর ও রত্নাগিরিতে তরঙ্গ কর্কিত মঞ্চ দেখা যায়।
হাতিহরেশ্বর ও রত্নাগিরিতে তরঙ্গ কর্কিত মঞ্চ দেখা যায়।
কেভ বা গুহা- ভৃগুর কঠিন শিলা
ক্ষয়ের ফলে যদি কোন কোমল শিলা উন্মোচিত হয় তখন তা গভীর ভাবে ক্ষয় পেয়ে ভৃগুর মধ্যে
গুহা বা কেভ এর সৃষ্টি করে।
ক্ষয়ের ফলে যদি কোন কোমল শিলা উন্মোচিত হয় তখন তা গভীর ভাবে ক্ষয় পেয়ে ভৃগুর মধ্যে
গুহা বা কেভ এর সৃষ্টি করে।
ব্লোহোল বা গ্লুপ- ক্ষয় কার্যের ফলে
গুহা কখনো কখনো খাঁড়া গহ্বর সৃষ্টি করে বাইরের দিকে চলে আসে এই গহ্বরকে ব্লোহোল
বলে। স্কটল্যান্ডে এটি গ্লুপ নামে পরিচিত।
গুহা কখনো কখনো খাঁড়া গহ্বর সৃষ্টি করে বাইরের দিকে চলে আসে এই গহ্বরকে ব্লোহোল
বলে। স্কটল্যান্ডে এটি গ্লুপ নামে পরিচিত।
জিও– দুর্বল শিলা বরাবর একাধিকব্লোহোল সৃষ্টি হলে গুহার ছাদ ধসে গিয়ে দীর্ঘ ও সংকীর্ণ খাঁজের সৃষ্টি করে, একে
স্কটল্যান্ডে ও ফ্যারাও দ্বীপে জিও বলে।
খিলান, স্ট্যাক, স্ট্যাপ-
খিলান– দুই পাশ থেকে গুহার ক্ষয়ের ফলে যখন তারা মিলিত হয়ে মাঝের
ফাঁকা অংশকে ঘিরে কঠিন শিলা খিলান আকারে অবস্থান করে ।
স্ট্যাক-ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে খিলান ধসে গিয়ে উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রের মধ্যে
স্তুপাকারে দাঁড়িয়ে থাকলে তাকে স্ট্যাক বলে।
স্টাপ- স্ট্যাকগুলি দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে ক্ষয়
হয়ে উদ্ধাং বসে গিয়ে জলপৃষ্ঠের সমান
উচ্চতায় অবস্থান করে একে স্ট্যাপ বলে।
উদাহরণ- গোয়া সমুদ্র উপকূলে খিলান, স্ট্যাক,
স্ট্যাপ দেখা যায়।
স্ট্যাপ দেখা যায়।
ঝুলন্ত উপত্যকা- উপকূলের পশ্চাদ অপসরণ কখনো
কখনো খুব দ্রুত হলে নদী তার সাথে তাল রেখে নিম্নক্ষয় ক্রতে পারে না। মনে
হয় যেন নদী একটি ঝুলন্ত উপত্যকা থেকে নীচের দিকে পতিত হচ্ছে। একে ঝুলন্ত উপত্যকা
বা Hanging Vally বলে।
কখনো খুব দ্রুত হলে নদী তার সাথে তাল রেখে নিম্নক্ষয় ক্রতে পারে না। মনে
হয় যেন নদী একটি ঝুলন্ত উপত্যকা থেকে নীচের দিকে পতিত হচ্ছে। একে ঝুলন্ত উপত্যকা
বা Hanging Vally বলে।
উদাহরণ-
ইংল্যান্ডের গঠিত ডোভার উপকূলে এরূপ Hanging Vally দেখা যায়।
ইংল্যান্ডের গঠিত ডোভার উপকূলে এরূপ Hanging Vally দেখা যায়।