History এবং ইতিহাসের পার্থক্য
History শব্দটি গ্রিক শব্দ “Historia” থেকে এসেছে। “Historia” শব্দটির অর্থ হলো সত্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত অনুসন্ধান। গ্রিক পণ্ডিত হেরোডোটাস সর্বপ্রথম খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে তার গবেষণা কাজে নামকরণে Historia বা History
শব্দটি ব্যবহার করেন। এবং আজও বিষয়টি এই নামে পরিচিত হয়ে আসছে। সম্ভবত হেরোডোটাস এর পূর্বে হোমারের কাব্য ইলিয়াড এ Historia শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়।
শব্দটি ব্যবহার করেন। এবং আজও বিষয়টি এই নামে পরিচিত হয়ে আসছে। সম্ভবত হেরোডোটাস এর পূর্বে হোমারের কাব্য ইলিয়াড এ Historia শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়।
গ্রিক শব্দ
“Historia” এর অর্থ হল অনুসন্ধান, গবেষণা,
আবিষ্কার বা সংবাদ। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক E. H. Carr তার “What Is History” গ্রন্থে লিখেছেন “History Consists Of A Carpus Of Ascertained facts”. Carr মনে করেন যে- “ইতিহাস হল ঐতিহাসিক ও তার তত্ত্বের মধ্যে নিরন্তন ও অন্তহীন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া”। তাই এস.অকশট যথার্থ মন্তব্য করেছেন যে- “ইতিহাসে কোন তথ্য কখনই বিশুদ্ধ আকারে আমাদের হাতে আসে না, কারণ তা বিস্তৃত আকারে থাকেও না। ঐতিহাসিকদের গবেষণার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস প্রসারিত হয়”। আর. জি.
কলিংউড এর মতে History হলো “Reenactment Of
Past Experience”। তিনি মনে করেন যে “সকল ইতিহাসই চিন্তা–চেতনার ইতিহাস”। সুৎরাং History হল এক লিপিবদ্ধ বিবরণী যাতে মানুষের জীবন ও মানব সমাজের বৃত্তান্ত আলোচিত হবে।
“Historia” এর অর্থ হল অনুসন্ধান, গবেষণা,
আবিষ্কার বা সংবাদ। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক E. H. Carr তার “What Is History” গ্রন্থে লিখেছেন “History Consists Of A Carpus Of Ascertained facts”. Carr মনে করেন যে- “ইতিহাস হল ঐতিহাসিক ও তার তত্ত্বের মধ্যে নিরন্তন ও অন্তহীন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া”। তাই এস.অকশট যথার্থ মন্তব্য করেছেন যে- “ইতিহাসে কোন তথ্য কখনই বিশুদ্ধ আকারে আমাদের হাতে আসে না, কারণ তা বিস্তৃত আকারে থাকেও না। ঐতিহাসিকদের গবেষণার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস প্রসারিত হয়”। আর. জি.
কলিংউড এর মতে History হলো “Reenactment Of
Past Experience”। তিনি মনে করেন যে “সকল ইতিহাসই চিন্তা–চেতনার ইতিহাস”। সুৎরাং History হল এক লিপিবদ্ধ বিবরণী যাতে মানুষের জীবন ও মানব সমাজের বৃত্তান্ত আলোচিত হবে।
History শব্দটি থেকে “ইতিহাস” শব্দটি অনেক ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতি-হ-আস অর্থাৎ ইতিহাস হল এরূপ ছিল বা ঘটেছিল। এই নিরউক্তিগত অর্থে অতীতের সব কিছু ইতিহাসের পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু অতীতকে দু‘ভাগে ভাগ করা যায়- সাধারণত অতীত ও ইতিহাসের অতীত। সাধারণ অতীতের তুলনায় ইতিহাসের অতীতের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। ইতিহাস হল পৃথিবীর মানুষের বিবর্তন ও ক্রমবিকাশের এক প্রামাণ্য দলিল। “The Vadic Age” গ্রন্থে ইতিহাসের সংজ্ঞা নির্দেশ করে বলা হয়েছে যে “মানুষ ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, বিভিন্ন মানব গোষ্ঠীর মধ্যে আদান প্রধান, সংঘর্ষ ও
সমন্ময়, এর ফলে বৃহত্তর মানব সমাজের ক্রমোন্নতির ধারাবাহিক বিবরণ হল ইতিহাস”। আবার
নির্দষ্ট কোনো ভৌগলিক অঞ্চলে নির্দষ্ট সময়কালে কোনো মানুষ বা কোনো জনসমষ্টি কর্তৃত
সম্পাদিত কর্মের প্রামাণ্য উৎস ও তথ্য ভিত্তিক লিখিত, বস্তু্নিষ্ট ও ধারাবাহিক
বিবরণ হল ইতিহাস।
সমন্ময়, এর ফলে বৃহত্তর মানব সমাজের ক্রমোন্নতির ধারাবাহিক বিবরণ হল ইতিহাস”। আবার
নির্দষ্ট কোনো ভৌগলিক অঞ্চলে নির্দষ্ট সময়কালে কোনো মানুষ বা কোনো জনসমষ্টি কর্তৃত
সম্পাদিত কর্মের প্রামাণ্য উৎস ও তথ্য ভিত্তিক লিখিত, বস্তু্নিষ্ট ও ধারাবাহিক
বিবরণ হল ইতিহাস।
প্রসঙ্গত নীহাররঞ্জন
রায়, ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়, রণবীর চক্রবর্তী সম্পাদিত A Source Book of
Indian Civilization গ্রন্থে History ও ইতিহাস
সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তা
ধারায় History ও ইতিহাসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কারণ প্রাচীন ইতিহাসে পুরান ঐতিহ্যকে ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার দ্বারা প্রাচীন গাঁথা, উপকথা ও উপাখ্যানকে
নির্দেশ করা হয়। অথর্ববেদ, মহাভারত
ও পুরাণে ইতিহাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্য তার অর্থশাস্ত্রে
বলেছেন– “পুরান ,ইতিবৃত্ত,
আখ্যান , ধর্মশাস্ত্র হল ইতিহাস”।
রায়, ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়, রণবীর চক্রবর্তী সম্পাদিত A Source Book of
Indian Civilization গ্রন্থে History ও ইতিহাস
সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিন্তা
ধারায় History ও ইতিহাসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কারণ প্রাচীন ইতিহাসে পুরান ঐতিহ্যকে ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার দ্বারা প্রাচীন গাঁথা, উপকথা ও উপাখ্যানকে
নির্দেশ করা হয়। অথর্ববেদ, মহাভারত
ও পুরাণে ইতিহাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্য তার অর্থশাস্ত্রে
বলেছেন– “পুরান ,ইতিবৃত্ত,
আখ্যান , ধর্মশাস্ত্র হল ইতিহাস”।
পরিশেষে একথা বলা চলে যে- পৃথিবীতে
মানব সমাজের বিবর্তন ও ক্রমোন্নতির ধারাবাহিক বিবরণ হল ইতিহাস, যা ঐতিহাসিকের গবেষণার বা রচনার মধ্য দিয়ে সৃষ্ট বা আকার প্রাপ্ত হয়।
মানব সমাজের বিবর্তন ও ক্রমোন্নতির ধারাবাহিক বিবরণ হল ইতিহাস, যা ঐতিহাসিকের গবেষণার বা রচনার মধ্য দিয়ে সৃষ্ট বা আকার প্রাপ্ত হয়।