“সুয়েজ খালে: হাঙ্গর শিকার”
“সুয়েজ খালে: হাঙ্গর শিকার” প্রবন্ধে যে হাস্য-কৌতুকের প্রকাশ
সাহিত্য নব রসের ঝর্ণাধারা। বীর, করুন, রৌদ্ররসের
মত হাস্যরসের নির্মল ঝর্ণাধারায় অবগাহন করে যুগে যুগে সাহিত্য আকর্ষণীয়তা ও অমরতা
লাভ করেছে। হাস্যরস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে- শব্দ কৌতুক(pun), স্মিতকৌতুক(humour),ব্যাঙ্গকৌতুক(satire)
এবং বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক(wit)। বিবেকানন্দের
“সুয়েজ খালে: হাঙ্গর শিকার” প্রবন্ধে উল্লেখিত সকল শ্রেণীর হাস্যরসের সার্থক
প্রকাশ ঘটেছে।
রচনাটি শুরুতে প্লেগ
বা বনিটো সম্পর্কে সম্ভ্রমার্থক ক্রিয়া
ব্যবহারে (ফুটে বেরোন/ আমদানি হন) কৌতুকের প্রকাশ ঘটে। তা ছাড়া “ইঁদুর বাহন প্লেগ”,
“দিশি ছুঁৎ ছাঁত”, “বাঘা”,”থ্যাবড়া, “শ্রী হাঙ্গর”,
“হাঙ্গর তো চোঁচা” ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহারে শব্দকৌতুকের প্রকাশ ঘটেছে।
আবার হাঙ্গর দেখার
আগ্রহ ও ব্যাকুলতা প্রকাশ করতে ব্যবহৃত “সচকিত নয়নং পশ্যতি তব পন্থানং” অথবা দীর্ঘ প্রতীক্ষায়
ব্যর্থ হয়ে “সখি শ্যাম না এলো” পদবন্ধের ব্যবহার,থ্যাবড়ার প্রতি বাঘার
কল্পিত সতর্কবাণী, বাঘার উদ্দেশ্যে থ্যাবড়ার মহৌষধির পরামর্শ প্রদান- প্রকৃতি ঘটনায়
পাহাড়ি ঝর্ণার মতো স্মিত হাস্যের কলধ্বনি ওঠে।
আবার “বাঘা
মানুষ ঘেঁষা হয়ে মানুষের ধাত পেয়েছে”, “ভালো আছো তো হে”, “আমি
একাই ঠকবো?” অথবা “আহা ও লোভ কি ছাড়া যায়?” প্রভৃতি কথায় আমরা এক
মুহুর্তে বুঝে নিতে পারি যে এসব উক্তিতে লেখক মানব চরিত্রকে কটাক্ষ করেছেন।এভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের
শাণিত আঘাতে স্যাটায়ারের অসাধারণ প্রকাশ ঘটেছে।
পাইলট কিসের বর্ণনায়
লেখক বলেছেন-
তারা শ্রী হাঙ্গরের প্রসাদ পায়।আবার পরক্ষনেই
বলেন- “কিন্তু হাঙ্গরের সে মুখব্যদান দেখলে তারা যে বেশি সফল হয়, তা বোধহয় হয়
না”। আবার বিপন্মুক্ত বাঘা থ্যাবড়াকে সাবধান না করায় লেখক বলেন- “আহা হাঙরদের
ভাষা নেই। নইলে বাঘা নিশ্চিত পেটের খবর তাকে দিয়ে সাবধান করে দিত”। এসব উক্তিতে
প্রথমে হাসির উদ্রেক না ঘটলেও একটু ভাবনাচিন্তার পর পাঠক হাস্যরসের সন্ধান পান। এভাবে
মেঘ চাপা সূর্যালোকের মত শব্দবন্ধের অন্তরালবর্তী বুদ্ধিদীপ্ত হাস্যরসের ও অসামান্য
প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়।
উপরিউক্ত আলোচনা
থেকে সহজেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, স্বামীজি হাস্যরস সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশ্বের
যে কোনো হাস্যরসিক সাহিত্যিকের সমগোত্রীয়।
- প্লেগ সংক্রমণের সম্ভাবনায় লেখক ও তার সহযাত্রীদের সমস্যা কি ছিল?
- “চব্বিশ ঘন্টা এইখানে পড়ে থাকো”- কোথায় কেন পড়ে থাকতে হবে?
- “শিক্ষার সার্কাস” কবিতার মূল বক্তব্য/ কবির মনোভাব/ সব শিক্ষাকে সার্কাস বলার কারণ ব্যাখ্যা করো
- তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো |
- গুরু নাটকে সংগীত প্রয়োগের সার্থকতা দেখাও | গুরু নাটক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
- নুন কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের জীবন যন্ত্রণা।
- “নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়েই থাকে”- ছন্দ কি? কী নইলে ছন্দ মেলে না? ইতিহাসের পদটা কিভাবে খোঁড়া হয়ে থাকে?
- “তারা বলে ভয় করে যে কর্তা”- কারা এ কথা বলে? তাদের কিসের ভয়? কর্তা জবাবে কি বলেন?
- “কর্তার ভূত” কি নিছক ভূতের গল্প নাকি রাজনৈতিক রুপককাহিনী আলোচনা করো
- গুরু নাটকে গুরুর স্বরূপ বিশ্লেষণ কর | গুরু নাটক একাদশ শ্রেণি বাংলা নোটস |
- সাধু ও চলিত ভাষার সংজ্ঞা | সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য আলোচনা করো |