বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো একাদশ শ্রেণি প্রথম সেমিস্টার MCQ প্রশ্ন-উত্তর
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো
১. “বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো”- গল্পটির উৎস লেখ।
উঃ- প্রখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকান সাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ এর “A very old man enormous wings” নামক গল্পের অনুবাদ। গল্পটি মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় অনূদিত “এই শহরে কোনো চোর নেই” শীর্ষক গল্প-সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।
২. আলোচ্য গল্পটি কোন ধারার গল্প?
উঃ- Magic realism বা জাদুবাস্তবতার ধারা।
৩. মার্কেজের লেখা কয়েকটি গল্প গ্রন্থের নাম লেখ।
উঃ- “একশো বছরের নিঃসঙ্গতা”, “কলেরার দিনগুলিতে প্রেম”, “চিলিতে গোপনে”, “কর্নেলকে কেউ চিঠি লেখে না”, “এই শহরে কোনো চোর নেই”, “বিপন্ন এক নাবিকের গল্প”।
৪. মার্কেজ কত সালে নোবেল পেয়েছেন?
উঃ- ১৯৮২ সালে।
৫. গল্পে যে দম্পতির কথা বলা হয়েছে তাদের নাম লেখ।
উঃ- স্বামীর নাম পেলাইও, স্ত্রীর নাম এলিসেন্দা।
৬. পেলাইও ও এলিসেন্দা কবে প্রচুর কাঁকড়া মেরেছিল?
উঃ- বৃষ্টির তৃতীয় দিনে।
৭. পেলাইওকে ভিজে একশা উঠোন পেরিয়ে মরা কাঁকড়া গুলোকে কোথায় ফেলে দিতে হয়েছিল?
উঃ- সমুদ্রে।
৮. পেলাইও-র নবজাত শিশুটির কোন অসুখ করেছিল?
উঃ- সারারাত ধরে জ্বর ছিল।
৯. জ্বর হওয়ার কারণ হিসেবে তারা কি জানিয়েছিল?
উঃ- পচা মরা কাঁকড়ার বদ গন্ধ।
১০. কবে থেকে সারা জগত কেমন বিষন্ন হয়ে আছে?
উঃ- মঙ্গলবার থেকে।
১১. সমুদ্র আর আকাশ কেমন হয়ে উঠেছে?
উঃ- একটা ছাই ধূসর বস্তু।
১২. বেলাভূমির বালি কেমন হয়ে উঠেছে?
উঃ- মার্চ মাসের রাত্রে ঝকঝক করে গুঁড়ো গুঁড়ো আলোর মত হয়ে উঠেছিল এবং কাদা আর পচা খোলক মাছগুলো এক ভাপে সেদ্ধ হওয়া দগদগে স্তূপ।
১৩. দুপুর বেলাতে আলো কেমন ছিল?
উঃ- দুর্বল অর্থাৎ অত্যন্ত কম।
১৪. “সেই দুঃস্বপ্ন দেখে আঁতকে ওঠে”- কে কি দুঃস্বপ্ন দেখেছিল?সে সেই দুঃস্বপ্ন দেখে কি করেছিল?
উঃ- পেলাইও দেখেছিল এক খুবই থুত্থুরে বুড়ো কাদার মধ্যে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে পড়ে আছে আর প্রচণ্ড চেষ্টা সত্ত্বেও কিছুতেই উঠতে পারছে না।তার বিশাল দুই ডানার কেবলই বাধা পেয়ে যাচ্ছে। এই দুঃস্বপ্ন দেখে পেলাইও আঁতকে উঠে তার স্ত্রী এলিসেন্দার কাছে ছুটে গিয়েছিল।
১৫. পেলাইও যখন এলিসেন্দাকে ডাকতে গেলো তখন সে কি করছিল?
উঃ-তার জ্বরাক্রান্ত বাচ্চাটির কপালে জল পট্টি দিচ্ছিল।
১৬. পেলাইও এলিসেন্দাকে কোথায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিল?
উঃ- উঠোনের পেছন কোনায়।
১৭. ডানাওয়ালা বুড়োর পরনে কি ছিল?
উঃ- নেকড়া কুড়িনির পোশাক।
১৮. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োর চকচকে মাথায় কি ছিল?
উঃ- কয়েকটা বিবর্ণ চুল।
১৯. ফোকলা মুখটায় দাঁত কেমন ছিল?
উঃ- খুবই কম।
২০. ডানাওয়ালা বুড়োর গলার স্বর কেমন ছিল?
উঃ- রিনরিনে।
২১. ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখতে পেলাইও ও এলিসেন্দার কি মনে হয়েছিল?
উঃ- তুফানে উল্টে যাওয়া কোনো ভিনদেশী জাহাজের নিঃসঙ্গ ভরাডুবি নাবিক।
২২. ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখাবার জন্য তারা কাকে ডেকে এনেছিল?
উঃ- জীবন-মৃত্যুর সব গলিঘুঁজিরই হদিস রাখে এমন এক পড়শিনীকে।
২৩. ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখে পড়শিনী কি বলেছিল?
উঃ- ডানাওয়ালা বুড়ো আসলে এক দেবদূত যে তার বাচ্ছাকে নিয়ে যেতে এসেছিল কিন্তু এই মুষল বৃষ্টি তাকে একেবারে কাবু করে ফেলেছে।
২৪. পরমজ্ঞানী পড়শিনীর প্রজ্ঞা অনুযায়ী কোনটি দেবদূতের খাদ্য হিসাবে বিধান বিধিত?
উঃ- ন্যাপথলিন।
২৫. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ো কি ফিরিয়ে দিয়েছিল?
উঃ- পোপের ভোজ।
২৬. দেবদূত একমাত্র কোন খাবার খেত?
উঃ- বেগুন ভর্তা।
২৭. দেবদূতের একমাত্র অতিপ্রাকৃত শক্তি কি ছিল?
উঃ- ধৈর্য।
২৮. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োর ডানায় কি গজিয়েছিল?
উঃ- নাক্ষত্র পরভৃত।
২৯. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োকে যখন মুরগিরা ঠোকরাত কিংবা মানুষরা যখন তাকে ঢিল ছুঁড়তো তখন সে কেমন থাকত?
উঃ- শান্ত থাকত।
৩০. “আঁতকে জেগে উঠেছিল সে তখন”- তাঁর আঁতকে ওঠার কারণ কি ছিল?
উঃ- লোকেরা তার পাশটা তপ্ত লোহা দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর | একাদশ শ্রেণি | প্রথম সেমিস্টার | বাংলা নোটস |
৩১. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োটি চান্দ্র ধুলোর এক ঘূর্ণি হাওয়া কেন তুলেছিল?
উঃ- তপ্ত লোহার ছ্যাঁকায়।
৩২. ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োর এই নিষ্ক্রিয় ঔদাস্যকে বেশিরভাগ মানুষ কি বুঝেছিল?
উঃ- কোনো বীর নায়কের বিশ্রাম নয় বরং কোনো মহাপ্লাবনের পূর্বমুহূর্তে থমথমে ছমছমে ঘুম।
৩৩. পাদ্রে গোনসাকা ভিড়ের ছ্যাবলামিটাকে কিভাবে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন?
উঃ- বাড়ির ঝি চাকরানীদের প্রেরণা পাওয়া সব সূত্র দিয়ে।
৩৪. রোম থেকে আসা চিঠিতে ডানাওয়ালা বুড়োর ভাষার সঙ্গে কোন ভাষার মিলের কথা জানতে
উঃ- চাওয়া হয়েছিল? সিরিয়ার প্রাচীন ভাষা।
৩৫. কোন দৈব ঘটনায় পাদ্রে গোনসাকা সব নাজেহাল বিপত্তির ইতি টেনে দিয়েছিল?
উঃ- মাকড়সায় পরিণত হওয়া মেয়েটির ঘটনা।
৩৬. মেয়েটি মাকড়সায় পরিণত হলো কিভাবে?
উঃ- তার বাবা-মার কথার অবাধ্য হয়ে।
৩৭. সার্কাসের মাকড়সায় পরিণত হওয়া মেয়েটির সবচেয়ে হৃদয়বিদারক কি ছিল?
উঃ- তার অকৃত্রিম দুঃখী করুণ গলা।
৩৮. মাকড়সায় পরিণত হওয়া মেয়েটিকে দেখতে কেমন ছিল?
উঃ- একটা মস্ত ভেড়ার মতো বড়ো তারানতুলা, তার মাথাটা এক বিষাদময়ী কুমারী মেয়ে।
৩৯. মেয়েটিকে আজব মাকড়সার বদলে দিয়েছিল কী?
উঃ- এক বা একটি বিদ্যুৎ শিখা।
৪০. মাকড়সায় পরিণত হওয়া মেয়েটিকে কোন খাবার এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছিল?
উঃ- যাদের প্রাণে সবচেয়ে দয়াদাক্ষিণ্য আছে তাদের ছুঁড়ে দেওয়া মাংসের বড়া।
৪১. দেবদূতের মানসভ্রম খ্যাতি ধুলোয় লুটিয়ে পড়ার কারণ কি ছিল?
উঃ- মাকড়সায় পরিণত হওয়া মেয়েটির আগমন।
৪২. দেবদূতের নামে যে সমস্ত অলৌকিক অঘটনের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেগুলি কি কি?
উঃ- এক অন্ধ আঁতুর তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে না পেলেও তার তিনটি নতুন দাঁত গজিয়েছিল, এক পঙ্গু বেচারি হেঁটে হেঁটে গিরি লঙ্ঘন করতে না পারলেও একটা লটারি প্রায় জিতেই যাচ্ছিল কিংবা এক কুষ্ঠ রোগীর গায়ের ঘা গুলি থেকে বেরিয়ে ছিল সূর্যমুখী ফুল।
৪৩. বাড়ির মালিকদের বিলাপ করার কারণ ছিল না কেন?
উঃ- তারা প্রচুর টাকা কামিয়ে বড়লোক হয়ে গিয়েছিল বলে।
৪৪. দেবদূতকে দেখার জন্য দর্শনী বাবদ পাওয়া টাকায় তারা কেমন বাড়ি বানিয়েছিল?
উঃ- এক চক মেলানো দোতলা বাড়ি, যার ছিল অলিন্দ আর বাগান এবং উঁচু তারের জাল যাতে কাঁকড়ারা আর ভিতরে ঢুকতে না পারে, জানলায় ছিল লোহার গরাদ যাতে কোনো পথহারা দেবদূতও ঢুকে না পড়ে।
৪৫. পেলাইও কি করেছিল?
উঃ- চিরকালের মতো তার সাধ্য পালের কাজে ইস্তফা দিয়ে শহরের কাছে একটা খরগোশ পালন করবার খিঞ্জি গোলকধাঁধা বানিয়ে নিয়েছিল।
৪৬. এলিসেন্দা কি কি কিনেছিল?
উঃ- উঁচু খুরওয়ালা ঢাকা জুতো আর রামধনু রঙা রেশমী কাপড়ের অনেক প্রস্থ পোশাক।
৪৭. দেবদূত এবং এলিসেন্দা ও পেলাইওর সন্তান কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল?
উঃ- জলবসন্ত।
৪৮. বাচ্চাটির ডাক্তার কি শোনবার লোভ সামলাতে পারল না?
উঃ- দেবদূতের হৃদপিন্ডের ধুকপুক আওয়াজ।
৪৯. বাচ্ছার ডাক্তারকে সবচেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কী?
উঃ- ডানাগুলোর যুক্তি ও প্রকৃতি যা কোনো মানুষের আবশ্যিক অঙ্গ বলে মনে হয়।
৫০. বাচ্চাটি কখন স্কুলে যাওয়া শুরু করল?
উঃ- রোদে বৃষ্টিতে মুরগির খাঁচা সম্পূর্ণ ধ্বংসের কিছুকাল পরে।
৫১. “দেবদূতে দেবদূতে থইথই নরকে বাস করা কি যে জঘন্য কান্ড”- এলিসেন্দার এমন মনে হয়েছিল কেন?
উঃ- একইসঙ্গে ডানাওয়ালা বুড়োকে নানান জায়গায় দেখা যেত বলে।
৫২. পেলাইও দেবদূতকে কি ছুঁড়ে দিয়েছিল?
উঃ- কম্বল।
৫৩. পেলাইও দেবদূতকে করুণা করে কোথায় শুতে দিয়েছিল?
উঃ- আটচালার নীচে।
৫৪. পেলাইও ও এলিসেন্দা শেষে কি আবিষ্কার করেছিল?
উঃ- রোজ রাতে ডানাওয়ালা বুড়োর জ্বর আসে এবং বিকারের ঘোরে জিভ জড়ানো ভাষায় সে নরওয়েবাসীর মতো প্রলাপ বকে।
৫৫. পেলাইও ও এলিসেন্দা ভয় পেয়েছিল কেন?
উঃ- ডানাওয়ালা বুড়ো বুঝি মরতে বসেছে।
৫৬. জ্ঞানীগুণী পড়শিনী কি বলতে পারেনি?
উঃ- মৃত দেবদূতকে নিয়ে কি করানো উচিত।
৫৭. বুড়ো দেবদূত কখন সেরে উঠতে শুরু করল?
উঃ- প্রথম রোদ্দুরে ভরা দিনগুলো আসতে।
৫৮. কখন বুড়ো দেবদূতের ডানায় আড় ধরা পালক গজিয়ে উঠেছিল?
উঃ- ডিসেম্বরের গোড়ায়।
৫৯. বুড়োর নতুন ডানার পালকগুলো দেখে কী মনে হচ্ছিল?
উঃ- যেন সেগুলো কোনো কাকতাড়ুয়ার পালক।
৬০. “এ বিষয়ে সে খুবই সজাগ ছিল”- কোন বিষয়ে সজাগ ছিল?
উঃ- নিজের সুস্থতার বিষয়ে।
৬১. “সে খুবই সাবধান ছিল”- কোন বিষয়ে?
উঃ- আকাশ ভরা ঝিকিমিকি তারাভরা।
৬২. ডানাওয়ালা বুড়ো যখন উড়ে গিয়েছিল তখন এলিসেন্দা কি কাটছিল?
উঃ- পেঁয়াজকলি।
৬৩. এলিসেন্দা জল না দিয়ে কি দেখেছিল?
উঃ- ডানাওয়ালা বুড়োর উড়ে যাওয়া।
৬৪. সবজি বাগানে কী গভীর খাঁজের সৃষ্টি করেছিল?
উঃ- ডানাওয়ালা বুড়োর নখ।
৬৫. ডানাওয়ালা বুড়ো তার জুবুথুবু উল্টোপাল্টা ডানা ঝাপটিয়ে কি প্রায় ধসিয়ে দিচ্ছিল?
উঃ- আটচালা।
৬৬. “এলিসেন্দা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললে”- কাদের জন্য?
উঃ- নিজের জন্য আর দেবদূতের জন্য স্বস্তি।
৬৭. ডানাওয়ালা বুড়ো কার উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল?
উঃ- শেষ বাড়ি গুলোর উপর দিয়ে।
৬৮. এলিসেন্দা দূরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ডানাওয়ালা বুড়োকে কি মনে করেছিল?
উঃ- তার জীবনের কোনো উৎপাত বা জ্বালাতন নয় বরং সমুদ্রের দিকচক্রবালে নিছকই কাল্পনিক একটা ফুটকি।
ভৌম জল (Ground Water) | ভৌমজলের উৎস বা শ্রেণীবিভাগ | প্রস্রবণ বা Spring | প্রস্রবণ এর শ্রেণীবিভাগ