দ্বাদশ শ্রেণীর পাশ্চাত্য অধিবিদ্যা– দ্রব্য থেকে সমস্ত প্রশ্ন-উত্তর

পাশ্চাত্য অধিবিদ্যা- দ্রব্য
১. দ্রব্য শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ কি?
উঃ- Substance । যার অর্থ হল নিম্নে দণ্ডায়মান।
২. সাধারণ মতে দ্রব্য কি?
উঃ- দ্রব্য হল গুণের আধার বা আশ্রয়।
৩. লৌকিক মতে দ্রব্যের লক্ষণ কি?
উঃ- a. দ্রব্য হল গুণের আধার।
b. দ্রব্য এক অপরিবর্তনীয় সত্তা।
৪. প্লেটোর মতে দ্রব্য কি?
উঃ- সামান্য ও বিশেষের সমন্বয়।
৫. দ্রব্য সম্পর্কে সাধারণ সমন্বয়ের মতকে কি বলা হয়?
উঃ- লৌকিক মত।
৬. দ্রব্য কিসের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করে?
উঃ- গুণের মাধ্যমে।
৭. “ধারণা বা জাতি হলো সৎবস্তু”- কে বলেছে?
উঃ- প্লেটো / অ্যারিস্টোটল।
৮. “বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ব্যক্তি আকার ও উপাদানের মিলিত ফল”- কার মত?
উঃ- অ্যারিস্টোটল।
৯. ” Metaphysics” গ্রন্থটি কার লেখা?
উঃ- অ্যারিস্টোটল।
১০. বুদ্ধিবাদী দার্শনিক কারা?
উঃ- প্রাচীন বুদ্ধিবাদী হলেন প্লেটো, অ্যারিস্টোটল প্রমুখ। আধুনিক বুদ্ধিবাদী হলেন ডেকার্ত, স্পিনোজা ও লাইবনিজ।
১১. ডেকার্তের লেখা বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কি?
উঃ- মেডিটেশন।
১২. ডেকার্তের মতে দ্রব্য কি?
উঃ-“যা স্বনির্ভর তাই দ্রব্য”।
১৩. ডেকার্তের মতে দ্রব্যের লক্ষণ কি?
উঃ- স্বনির্ভরতা।
১৪. ডেকার্ত কয় প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- নিরপেক্ষ দ্রব্য (ঈশ্বর), সাপেক্ষ দ্রব্য (আত্মা বা মন ও জড়)।
১৫. দ্বৈতবাদী দার্শনিক কাকে বলা হয়?
উঃ- ডেকার্তকে। কারণ- ঈশ্বর ছাড়া মন ও জড়কে পরস্পরবিরোধী দ্রব্য বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
১৬. ডেকার্তের মতে দ্রব্য কয়টি ও কি কি?
উঃ- তিনটি। যথা- ঈশ্বর, আত্মা ও জড়।
১৭. ডেকার্তের মতবাদ এর পরিণতি কি?
উঃ- দ্বৈতবাদ।
১৮. স্পিনোজার মতে দ্রব্য কি?
উঃ- যা তার অস্তিত্বের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করে না এবং যাকে নিজের সাহায্যেই বোঝা যায় তাকেই দ্রব্য বলে।
১৯. স্পিনোজার মতে দ্রব্যের লক্ষণ কি?
উঃ- দুটি লক্ষণ। যথা- স্বনির্ভরতা, স্ববেদ্যতা।
২০. স্পিনোজা কয়টি দ্রব্য স্বীকার করেছেন?
উঃ- একটি। তা হলো ঈশ্বর।
২১. “ঈশ্বর একমাত্র দ্রব্য” / “সবকিছুই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সবকিছু” / “দ্রব্য= ঈশ্বর= প্রকৃতি” / “সমুদ্র ছাড়া যেমন তরঙ্গ অস্তিত্বহীন, তেমনি ঈশ্বর ছাড়া জীব ও জড় অস্তিত্বহীন”- এগুলি কার মত?
উঃ- স্পিনোজা।
২২. স্পিনোজাকে অদ্বৈতবাদী দার্শনিক কেন বলা হয়?
উঃ- তিনি একমাত্র দ্রব্য হিসেবে কেবল ঈশ্বরকে স্বীকার করেছেন।
২৩. স্পিনোজার মতবাদ এর পরিণতি কি?
উঃ- অদ্বৈতবাদ।
২৪. “স্পিনোজার দ্রব্য যেন একটি সিংহের গুহা”- একথা কে বলেন?
উঃ- হেগেল।
২৫. লাইবনিজের মতে দ্রব্য কি?
উঃ- যা নিজে নিজে ক্রিয়া করতে পারে তাই দ্রব্য।
২৬. দ্রব্যের লক্ষণ কি?
উঃ- আত্ম সক্রিয়তা।
২৭. লাইবনিজ কয়টি দ্রব্য স্বীকার করেছেন?
উঃ- তিনি অসংখ্য দ্রব্য মেনেছেন। যেগুলিকে তিনি নাম দিয়েছেন মনাড বা চিৎ পরমানু।
২৮. লাইব নিজের মতে সর্বশ্রেষ্ঠ মনাড কি?
উঃ- ঈশ্বর।
২৯. বহুত্ববাদী দার্শনিক কাকে বলা হয়?
উঃ- লাইবনিজ অসংখ্য দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকার করায় তিনি দর্শনে বহুত্ববাদী দার্শনিক নামে পরিচিত।
৩০. “দ্রব্য এক নয় বহু” / “দ্রব্য হল অবিভাজ্য স্বয়ংক্রিয় এবং চেতন” / “মনাড বা চিৎ পরমাণু হলো উঃ- জগতের উপাদান” / ” মনাড একমাত্র দ্রব্য”/ “মন বাতায়নহীন চিৎ পরমাণু ” / “দ্রব্য হল অসংখ্য চেতন পরমাণু”- উক্তি গুলি কার?
উঃ- লাইবনিজের।
৩১. পূর্ব প্রতিষ্ঠিত শৃঙ্খলাবাদ স্বীকার করেছেন কে?
উঃ- লাইবনিজ।
৩২. লাইবনিজের দ্রব্য তত্ত্বের নাম কি?
উঃ- মনাডতত্ত্ব।
৩৩. দ্রব্য সম্পর্কে লকের মতামত কি?
উঃ- জ্ঞাত গুণের অজ্ঞাত আধার হল দ্রব্য।
৩৪. লক কয়টি দ্রব্য স্বীকার করেছেন ও কি কি?
উঃ- তিনটি। যথা- জড় দ্রব্য, আত্মা দ্রব্য ও ঈশ্বর দ্রব্য।
৩৫. লকের মতে দ্রব্যের গুণ কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণ।
৩৬. মুখ্য গুণ কাকে বলে?
উঃ- লকের মতে যে গুণগুলি বস্তুতে থাকে সেগুলিকে মুখ্য গুণ বলে। যেমন- আকার,ওজন, আয়তন, গঠন, বিস্তৃতি ইত্যাদি।
৩৭. গৌণ গুণ কাকে বলে?
উঃ- লকের মতে যে গুণগুলি বস্তুতে থাকে না, ব্যক্তি মনে থাকে সেগুলিকে গৌণ গুণ বলে। যেমন- বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ ইত্যাদি।
৩৮. মুখ্য ও গৌণ গুণের মধ্যে পার্থক্য করেছেন কে?
উঃ- লক।
৩৯. “মুখ্য গুণ গুলি বস্তুগত এবং গৌণগুণ গুলি মনগত”- উক্তিটি কার?
উঃ-লক।
৪০. লকের মতে ধারণা কয় প্রকার ও কি কি?
উঃ- দুই প্রকার। যথা- সরল ধারণা ও জটিল ধারণা।
৪১. “দ্রব্য হল জ্ঞাত গুণের অজ্ঞাত আধার”/ “দ্রব্য অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়”/ “দ্রব্য এমন কিছু যা আমি জানি না”/ “দ্রব্য সম্পর্কে আমরা পরোক্ষ জ্ঞান লাভ করি”/ “জন্মের সময় আমাদের মন থাকে অলিখিত সাদা কাগজের মতো”- উক্তিগুলি কার?
উঃ- লক।
৪২. বার্কলের মতে দ্রব্য কি?
উঃ- গুণের সমষ্টি হল দ্রব্য।
৪৩. বার্কলে কয়টি দ্রব্য মেনেছেন ও কি কি?
উঃ- দুইটি দ্রব্য। যথা-আত্মা ও ঈশ্বর।
৪৪. বার্কলে কোন দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন ও কেন?
উঃ- জড়দ্রব্য প্রত্যক্ষ করা যায় না বলে তা অস্বীকার করেছেন।
৪৫. “জীবাত্মা ও পরমাত্মাকে দ্রব্য বলেছেন” কে?/ “জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন” কে?/ “বিমূর্ত জড় দ্রব্যের অস্তিত্ব নেই”/ “বস্তু = ধারণা”- উক্তিগুলি কার?
উঃ- বার্কলে।
৪৬. “অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর”- উক্তিটি কার?
উঃ- বার্কলে।
৪৭. মুখ্য ও গৌণ গুণের পার্থক্যকে অস্বীকার করেছেন কে?
উঃ- বার্কলে।
৪৮. “বস্তুর অস্তিত্ব জ্ঞাতার মনের ওপর নির্ভরশীল”- উক্তিটি কার?
উঃ- বার্কলের।
৪৯. বার্কলের দ্রব্য সম্পর্কীয় মতবাদ এর অনিবার্য পরিণতি কি?
উঃ- অহংসর্বস্ববাদ।
৫০. অহংসর্বহ্ববাদ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কোন দার্শনিক ঈশ্বর প্রকল্প গঠন করেছেন?
উঃ- বার্কলে।
৫১. “সমস্ত জগৎ ঈশ্বরের প্রত্যক্ষের বিষয়”- উক্তিটি কার?
উঃ- বার্কলে।
৫২. বস্তুর অস্তিত্বের ধারাবাহিকতা প্রমাণের জন্য ঈশ্বরের প্রসঙ্গ অবতারণা করেছেন কে?
উঃ- বার্কলে।
৫৩. হিউমের মতে দ্রব্য কি?
উঃ- গুণের সমষ্টি হল দ্রব্য।
৫৪. হিউম কয়টি দ্রব্য অস্বীকার করেছেন?
উঃ- তিনটি।যথা- জড়, আত্মা ও ঈশ্বর।
৫৫. পাশ্চাত্য দর্শনের সংশয়বাদী দার্শনিক কাকে বলা হয়?
উঃ- হিউম কে। কারণ- তিনি জড়,আত্মাও ঈশ্বর এই তিনটি দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন।
৫৬. হিউমের মতে জড়দ্রব্য কি?
উঃ- জড় দ্রব্য হল সংবেদন এর সমষ্টি।
৫৭. হিউমের মতে আত্মা দ্রব্য কি?
আত্মা দ্রব্য হল মানসিক ক্রিয়ার সমষ্টি।
৫৮. হিউমের মতে ঈশ্বর দ্রব্য কি?
উঃ- ঈশ্বর দ্রব্য প্রত্যক্ষ গ্রাহ্য নয়।
৫৯. “সকল ধারণা মুদ্রণ থেকে উৎপন্ন”-উক্তিটি কার?
উঃ- হিউমের।