দ্বাদশ শ্রেণীর “আদরিণী” প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় থেকে সমস্ত MCQ প্রশ্ন-উত্তর দেওয়া হল।

“আদরিণী” প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
১. শহর থেকে কত ক্রোশের মধ্যে কতজন জমিদারের হতি ছিল?
উঃ- দুই- তিন ক্রোশের মধ্যে দু- তিন জন জমিদারের হাতি ছিল।
২. জয়রাম মুখোপাধ্যায় কার কাছ থেকে কত টাকায় কি নামের একটি হাতি কিনে ছিলেন?
উঃ- বীরপুরের উমাচরণ লাহিড়ির কাছ থেকে দুই হাজার টাকায় আদরিণী নামে একটি মেয়ে হাতি কিনেছিলেন।
৩. পরের দিন কটার সময় হাতিটি জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি এসেছিল ?
উঃ- সকাল সাতটার সময়।
৪. হাতিটি আসায় দুই-একজন অশিষ্ট বালক-সুর করে কী বলতে লাগল?
উঃ- “হাতি, তোর গোদা পায়ে নাতি”।
৫. আদরিণীকে কীভাবে বরণ করেছিল?
উঃ- বিপত্নীক জয়রামবাবুর জেষ্ঠ্যা পুএবধূ একটি ঘটিতে জল নিয়ে হাতির চার পায়ে ঢেলে দিলেন, তার পর আদরিণী হাঁটু পেতে বসলে বড়ো পুত্রবধূ তেল ও সিঁদুরে তার কপাল রাঙা করে দিলেন। ঘন ঘন শঙ্খধ্বনি বাজানো হল, হাতিটি আবার উঠে দাঁড়ালে একটি ধামা ভরে আলো চাল, কলা ও অন্যান্য মাঙ্গল্য দ্রব্য তার সামনে রাখা হল।
৬. নিমন্ত্রণ রক্ষা করে পিরগঞ্জ থেকে ফেরার পর জয়রাম মুখোপাধ্যায় কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন ?
উঃ- মহারাজ নরেশচন্দ্রের সঙ্গে নিমন্ত্রন থেকে ফেরার পরদিন বিকালে।
৭. জয়রাম মুখোপাধ্যায় উপাচরণ লাহিড়ির কাছে কী বার্তা পাঠিয়ে ছিল?
উঃ- হাতির সঙ্গে একজন বিশ্বাসী কর্মচারী পাঠাতে হবে।
৮. হাতিটিকে বরণের পরমা খেতে দেওয়া হলে সে কী করেছিল?
উঃ- কিছুটা খেয়ে বাকিটা ছিটিয়ে দিয়েছিল।
৯. মহারাজের দ্বিতল বৈঠকখানার নীচে কী ছিল ?
উঃ- বিস্তৃত প্রাঙ্গন।
১০. জয়রাম মুখোপাধ্যায় কীভাবে মহারাজের দরবারে পৌঁছেছিলেন?
উঃ- হাতির পিঠে।
১১. “মুখুজ্যে মশাই ও হাতিটি কার”- এই প্রশ্নের উত্তরে জয়রাম কী বলেছিলেন?
উঃ- আজ্ঞে হুজুর বাহাদুরেরই হাতি।
১২. এই প্রশ্নের উত্তরে জয়রাম মোক্তার হাতিটির ব্যাপারে মহারাজকে কী বুঝিয়ে বলেছিলেন?
উঃ- যেহেতু তিনি মহারাজের দ্বারা প্রতিপালিত তাই হাতিটিও মহারাজেরই।
১৩. জয়রাম মুখোপাধ্যায় কোথায় ফিরে এসে ঘটনাটি বন্ধুদের বললেন?
উঃ- সন্ধ্যার পর গৃহে ফিরে নিজ বৈঠকখানায়।
১৪. জয়রাম কবে থেকে সুনিদ্রা পেলেন?
উঃ- বন্ধুদের কাছে কাহিনী বলার পর।
১৫. পাঁচ বছর পর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের আয় কমতে থাকার প্রধান কারণ কী ছিল ?
উঃ- নতুন নিয়মে পাশ করা শিক্ষিত মোক্তারের আগমন।
১৬. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সংসার চালাতে প্রধান সমস্যা কী ছিল?
উঃ- অধিক ব্যায় ও কম আয়।
১৭. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কয় ছেলে ছিল ?
উঃ- তিনজন ছেলে। তার মধ্যে প্রথম দুটি মূর্খ এবং ছোটো ছেলেটি কোলকাতায় পড়াশোনা করছে।
১৮. সেকালের মোক্তাররা মাথায় কি পরতেন? মুখোপাধ্যায় মহাশয় কী পরতেন?
উঃ- সে কালের মোক্তাররা শামলা ব্যবহার করতেন এবং মুখোপাধ্যায় মহাশয় পাগড়ি বাঁধতেন।
১৯. নতুন প্রজন্মের মোক্তারের সঙ্গে মুখোপাধ্যায়ের কী পার্থক্য ছিল?
উঃ- তারা ইংরাজী জানতেন এবং মুখোপাধ্যায় জানতেন না।
২০. মুখোপাধ্যায় কেন অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?
উঃ- বয়স হয়ে যাওয়ায়, উপার্জন কমে যাওয়ায়, ইংরাজী না জানার ফলে আদালতে সম্মান কমে যাওয়ায় অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
২১. আদালতে মুখুয্যে মহাশয়কে কে অনুবাদ করে সাহায্য করতেন?
উঃ- ইংরাজী জানা জুনিয়ার।
২২. প্রায় ষাট বছর বয়স হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মুখোপাধ্যায় মহাশয় অবসর নেননি কেন?
উঃ- বড়ো ছেলেটি মানুষ হয়নি, দুটো টাকা উপার্জন করে না, তাই সংসারের ব্যায় নির্বাহের জন্য মুখুয্যে মহাশয় অবসর নেননি।
২৩. অবসর নিলে মুখুয্যে মহাশয় কী করতেন?
উঃ- বাড়িতে বসে হরিনাম করতেন।
২৪. কোন ঘটনার পর মুখুয্যে মহাশয় আর আদালতে জাননি?
উঃ- এক হত্যা মামলায় ইংরেজ জজের কাছে জয়ী হওয়ার পর।
২৫. জজ সাহেব মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে কী বলে প্রশংসা করেছিল?
উঃ- তিনি একজন ভালো উকিল।
২৬. মুখোপাধ্যায় জজ সাহেবকে কী বলে আশীর্বাদ করেছিল?
উঃ- তিনি যেন হাইকোর্টের জজ হন।
২৭. জজ সাহেবের প্রশংসা শুনে মুখোপাধ্যায় কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন?
উঃ- তাঁর চোখে জল এসেছিল।
২৮. মুখোপাধ্যায় মহাশয় আদালতে কী বলে তার বক্তব্য শেষ করেন?
উঃ- জর্জ সাহেব বাহাদুর ও এসেসব মহোদয়গণ বলে।
২৯. মুখোপাধ্যায় মহাশয় আদরিণীকে ভাড়া দেওয়ার জন্য কত টাকা ভাড়া দিয়েছিলেন?
উঃ- ৪ টাকা।
৩০. হাতিকে ভাড়া দেওয়ার বিজ্ঞাপন কোথায় এঁটে দেওয়া হয়েছিল?
উঃ- শহরের প্রত্যেক ল্যাম্পপোস্টে, পথের পাশের বৃক্ষ কাণ্ডে এবং অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানে।
৩১. হাতি ভাড়া দিয়ে কত আয় হয়েছিল?
উঃ- ১৫-২০ টাকা।
৩২. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কোন ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল? তার ডাক্তার খরচের জন্য দৈনিক কত খরচ হত?
উঃ- বড়ো ছেলে। ৫-৭ টাকা।
৩৩. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের বড়ো নাতনির নাম কী? তার বয়স কত?
উঃ- কল্যাণী। ১২ বছর।
৩৪. কল্যাণীর পিতার স্বভাব কেমন?
উঃ- কল্যাণীর পিতা মেয়ের বিবাহ সম্পর্কে একেবারে নির্লিপ্ত। সে নেশাভাঙ করে, তাস পাশা খেলে, ফ্লুনুট বাজিয়ে বেড়ায়।
৩৫. কল্যাণীর সাথে যে পাত্রের বিবাহ স্থির হরেছিল সে কোথায়, কি পড়াশোনা করে?
উঃ- রাজশাহী কলেজে L.A পড়ে।
৩৬. কল্যাণীর বিবাহ বাবদ কত টাকা খরচ হতে পারে?
উঃ- পাত্রের দুই হাজার টাকা পণ ও বিবাহের খরচ বাবদ পাঁচশ টাকা সব মিলিয়ে ২৫০০ টাকা।
৩৭. “একদিন সংবাদ আসিল”- কী সংবাদ এল?
উঃ- জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের ছোটো ছেলেটি যে B.A পরীক্ষা দিয়েছিল সেও ফেল করেছিল।
৩৮. “আপনি জ্ঞানী লোক, মায়া পরিত্যাগ জরুরি”- কার কোন পরিত্যাগের কথা বলা হয়েছে?
উঃ- জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুরা তাকে আদরিণী নামক হাতিটির প্রতি মায়া পরিত্যাগ করে তাকে বিক্রি করে সেই টাকায় নাতনি কল্যাণীর বিবাহ দেওয়ার পরামর্শ দেন।