গুরু নাটক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলব না গো গান
দিয়ে দ্বার খোলাব”-
গান আমাদের মনের দরজাকে নিমেষে উন্মুক্ত করে
দেয়। সুরে ও রসের আবেগে জারিত করে মুখের কথাকে প্রাণের কথায় পরিণত করে, গেঁথে দেয়
অন্তরের অন্তঃস্থলে। তাই নাটকের দ্বন্দ্বমুখর পরিবেশেও গানের সংযোজন লক্ষ্য করা যায়।
গান তৈরি করে দেয় সিচুয়েশন আবার এক একটি সিচুয়েশনে গভীর কোনো বক্তব্যকে পৌঁছে দেয়
পাঠক শ্রোতাদের মনের অন্দরে।চরিত্র ও ঘটনাকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতেও গানের ভূমিকা অস্বীকার
করা যায় না। তবে অতিরিক্ত সংগীতময়তা নাটকীয় গতিবেগকে শ্লথ করে দেয়।
গুরু নাটকে সংগীতের
ব্যবহারে নাট্যকার যথেষ্ট নিপুণতার পরিচয় দিয়েছেন। “অচলায়তন” নাটকে যেখানে
গানের সংখ্যা ছিল 23 টি সেখানে অভিনয়যোগ্য রূপ “গুরু”-তে এই গানের সংখ্যা
কমে হয়েছে মাত্র সাতটি। সম্ভবত নাট্যদ্বন্ধকে গতিময় ও তীব্রতর করার জন্য এবং অভিনয়কে
টানটান করার জন্যই নাট্যকারের এই সঙ্গীত সংকোচন।
“গুরু”
নাটকের প্রথম গান “তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে” গানটিকে চারটি অংশে ভাগ করে
প্রয়োগ করেছেন নাট্যকার।গুরুর আগমনবার্তা যখন বালক দলের মধ্যে সৃষ্টি করেছে অদম্য
কৌতূহল, সঞ্জীব, জয়োত্তম, মহাপঞ্চকের কথায় এসেছে গুরুর আগমন প্রসঙ্গ। তখন গুরুর আগমন
সংকেত ঘোষিত হয়েছে পঞ্চকের এই গানের মধ্য দিয়ে। শুধু মানব মনে নয়, গুরুর আগমন বার্তায়
আকাশ-বাতাস সমগ্র প্রকৃতি জুড়ে সৃষ্টি হওয়া আলোড়নকে স্পষ্ট করে তোলা হয়েছে এই গানের
মাধ্যমে।
পরের গানটি মুক্তির
দ্যোতক। আচার সর্বস্ব নিয়ম তন্ত্রের কঠিন বাঁধনে থেকে মুক্তিই এই নাটকের মূল বস্তু।
সেই বক্তব্যকেই সুস্পষ্ট করে তোলে দ্বিতীয় গান – “ওরে ওরে ওরে আমার মন মেতেছে”।
এই গানটির মাধ্যমে মুক্তির অফুরন্ত আনন্দ দর্শক মনকে সহজেই ছুঁয়ে যায়।
অচলায়তনের প্রাচীর
ডিঙিয়ে পঞ্চক চলে যায় যূনকদের কাছে তখনই সেই অসীম গুরুর উদ্দেশ্যে মিলন পথে অনুসন্ধিৎসু
মনের প্রকাশ তৃতীয় গান – “এ পথ গেছে কোনখানে গো কোনখানে” এর মধ্য দিয়ে।
নিয়মতন্ত্র নয়
উন্নতি বা অগ্রগতির জন্য চাই কাজ, আর কোন কাজ ছোট নয়- এই রবীন্দ্র ভাবনাই ব্যক্ত হয়েছে
যূনকদের-
“আমরা চাষ করি আনন্দে” এবং
“সব কাজে হাত লাগাই মোরা” গান দুটিতে। কর্মময় বন্ধনহীন জীবনের কথা আর আত্মশক্তিতে
দৃপ্ত থাকার আদর্শই ধ্বনিত হয়েছে সুর ও বাণীর স্নিগ্ধ ধারায়।
- নুন কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের জীবন যন্ত্রণা।
- “নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়েই থাকে”- ছন্দ কি? কী নইলে ছন্দ মেলে না? ইতিহাসের পদটা কিভাবে খোঁড়া হয়ে থাকে?
- “তারা বলে ভয় করে যে কর্তা”- কারা এ কথা বলে? তাদের কিসের ভয়? কর্তা জবাবে কি বলেন?
- “কর্তার ভূত” কি নিছক ভূতের গল্প নাকি রাজনৈতিক রুপককাহিনী আলোচনা করো
- গুরু নাটকে গুরুর স্বরূপ বিশ্লেষণ কর | গুরু নাটক একাদশ শ্রেণি বাংলা নোটস |
- সাধু ও চলিত ভাষার সংজ্ঞা | সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য আলোচনা করো |