অভিজ্ঞতা ভিত্তিক
অভিজ্ঞতাভিত্তিক
পাঠক্রম (Experience Curriculum) :
যে পাঠক্রম শিক্ষার্থীদের
অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে রচনা করা হয়, তাকেই অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রম বলে। বিশিষ্ট
দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ ডিউই বলেছেন, “Education is reconstruction and reconstitution
of experience.” এই ধরনের পাঠক্রমের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলা যায়—যে পাঠক্রমে শিক্ষার্থীদের
চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা নির্বাচিত করে,
অবিচ্ছিন্নভাবে পাঠক্রমের মধ্যে নির্দিষ্ট ক্রমে সন্নিবেশিত করা করে, সেই পাঠক্রমকে
বলা হয় অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রম।
অভিজ্ঞতাভিত্তিক
পাঠক্রমের উপযোগিতা :
(১) বৌদ্ধিক বিকাশ : অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রমে
বিভিন্ন বিষয়ভুক্ত জ্ঞান সঞ্জিত থাকে বলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণ প্রক্রিয়া সহজ
হয়। এর দ্বারা শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটে।
(২) সামাজিক বিকাশ : এই ধরনের পাঠক্রমের দ্বারা
শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করে বলে শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত
ও দলগত দিক থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এর মধ্য দিয়ে শিশুদের সামাজিক বিকাশ ঘটে।
(৩) নৈতিক বিকাশ : এই পাঠক্রমের দ্বারা শিক্ষার্থীদের
ব্যক্তিসত্ত্বার উন্নতি সাধিত হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা জাগ্রত হয়
ও ভালোমন্দ বোধ জাগ্রত হয়।
(৪) চাহিদাভিত্তিক : এই ধরনের পাঠক্রম শিক্ষার্থীদের
চাহিদাভিত্তিক। কারণ বিভিন্ন ধরনের পাঠক্রম অনুশীলনের দ্বারাই শিক্ষার্থীদের নিজেদের
চাহিদাগুলি পূরণ হয়ে থাকে।
(৫) আদিম প্রবৃত্তি দূরীভূত হয় : এই ধরনের পাঠক্রম
শিশুর মধ্যেকার আদিম প্রবৃত্তিগুলিকে দূর করতে সক্ষম। আধুনিক নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনের
মধ্য দিয়ে এই প্রবৃত্তিগুলি দূর হয়।
অভিজ্ঞতাভিত্তিক
পাঠক্রমের ত্রুটি :
(১) চাহিদা পুরণে অক্ষম : অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রম
শিক্ষার্থীদের সমস্ত রকম চাহিদা পূরণ করতে অক্ষম। কারণ সমাজভেদেও পরিবেশভেদে শিক্ষার্থীদের
চাহিদার মধ্যেও বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। পাঠক্রম যেহেতু মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর
প্রতিষ্ঠিত, তাই সবসময় শিক্ষার্থীদের চাহিদা সম্পূর্ণ পূরণ হয় না।
(২) প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনে বাধা : এই ধরনের
পাঠক্রম শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে। কিন্তু
এর ফলে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনে অনেক অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। তাই জ্ঞান অর্জনে নানা
বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
(৩) সময় সাপেক্ষ : প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে
জ্ঞান লাভ করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সবরকম
অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সারা জীবন লেগে যাবে।
(৪) অর্থ ও শিক্ষকের অভাব : অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রমকে
কার্যকরী করতে হলে স্পষ্ট পরিকল্পনার দরকার। এর জন্য প্রচুর অর্থ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত
শিক্ষকের প্রয়োজন। কিন্তু বহু দেশে এই দুটিরই যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
(৫) বিশৃঙ্খলা- অভিজ্ঞতাভিত্তিক পাঠক্রমে কাজের
উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই কর্মের আধিক্য এবং প্রাধান্যের কারণে শিক্ষার
কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
§ অবিচ্ছিন্ন পাঠক্রম বলতে কী বোঝো? অবিচ্ছিন্ন পাঠক্রমের উপযোগিতা এবং ত্রুটি আলোচনা কর
সুশিক্ষকের
বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Competent Teacher)
§ শিক্ষার্থীর উপর বংশগতি ও পরিবেশের প্রভাব
§ শিক্ষায় বংশগতি ও পরিবেশের গুরুত্ব
(Importance of Heredity and Environment in Education)
§ শিক্ষকের ভূমিকা (The Role of the Teacher)
§ শিক্ষকের কাজ ও
দায়িত্ব (Function and Responsibilities of a Teacher)
§ ‘শিক্ষা’ বা
Education’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশ্লেষণ করো
§ আধুনিক যুগের
শিক্ষার উদ্দেশ্যাবলি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করো
§ শিক্ষার উদ্দেশ্য
হচ্ছে শিক্ষার্থীর সুসংহত বিকাশ-উক্তিটি আলোচনা করো
§ শিক্ষার উদ্দেশ্য
সংগতিবিধান বা অভিযোজন—উক্তিটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো
§ শিক্ষার ব্যপক অর্থ
বলতে কী বোঝায় | ব্যপক অর্থে শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো
§ সংকীর্ণ অর্থে শিক্ষা ও ব্যাপক অর্থে
শিক্ষার পার্থক্য লেখ
§ শিক্ষার লক্ষ্য বা
উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা করো
§ শিক্ষার লক্ষ্যের
প্রয়োজনীয়তা | শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করো
§ শিক্ষার লক্ষ্য
পরিবর্তনশীল কেন?
§ শিক্ষার
সমাজতান্তিক লক্ষ্য বলতে কি বোঝ | সমাজতান্তিক লক্ষ্যের বৈশিষ্ট্য বা মূলনীতি বা
লক্ষ্যগুলি লেখ